নানা হুমকির মধ্যেও হকির চাকাকে সচল রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে ফেডারেশন। একেরপর এক জাতীয় পর্যায়ের টুর্নামেন্ট শেষ করেছে তারা। বহুপ্রতীক্ষিত দলবদল সম্পন্ন করার পর বিজয় দিবস টুর্নামেন্টের বেশ জমজমাটভাবেই পর্দা নামানো হয়েছে। কাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে জনপ্রিয় ক্লাব কাপের আসর। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহ বলেন, মানলাম আমাকে অনেকেই পছন্দ করেন না।
হয়তোবা কাজ করতে গিয়ে কিছু ভুলও করেছি। কিন্তু আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে হকিকে ধ্বংস করে দিবে তা মানা যায় না। যাক তারপরও আশা করব যারা অভিমান করে দূরে সরে আছেন তারা মাঠে ফিরবে। কারণ হকি কারোর ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। আজ আমি ফেডারেশনের আছি কালকে নাও থাকতে পারি।
কিন্তু দেশের হকিতো চিরদিনের জন্যে। একে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব সবারই। মোহামেডান যদি না আসে তাহলে কি লিগ করা সম্ভব। রহমতউল্লাহ বলেন, দেখেন কোনো কাজ কারোর জন্য থেমে থাকবে না। বিজয় দিবস শেষ করেছি, ক্লাব কাপও জানুয়ারিতে শুরু হবে।
এই আসর শেষ হলেই একদিন পরই প্রিমিয়ার লিগ শুরু করব। মনে রাখতে হবে সামনেই ঢাকাতে বেশকিছু আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হবে। সুতরাং ঘরোয়া আসরগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে। কথা উঠেছে এমনিতেই প্রিমিয়ার লিগে মাত্র ৭টি দল অংশ নেবে। এরপর আবার সমস্যা দেখা দিয়েছে পাকিস্তানকে নিয়ে।
কারণ প্রতিবার লিগে প্রায় প্রতিটি দলে পাকিস্তানি খেলোয়াড় দেখা যায়। যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসিকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কে কিছুটা অবনতি ঘটেছে। শোনা যাচ্ছে এই ঘটনায় পাকিস্তান ক্রিকেট দল এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশে নাও আসতে পারে। ক্রিকেটাররা যদি না আসে তাহলে হকি খেলোয়াড়রা ঢাকা লিগ খেলতে পাকিস্তানের অনুমতি পাবে কিনা। বিষয়টি চিন্তার কারণ হলেও অনেকে বলছেন, এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই।
দলের শক্তি বৃদ্ধি করতে প্রতিবেশি ভারতের দিকেই তখন তাকাতে হবে। শোনা যাচ্ছে কোনো কোনো ক্লাব এখনই ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। তবে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মেজর (অব.) শাহাবুদ্দিন আহমেদ চাকলাদার বলেন, আমি এই অবস্থায় ঢাকা লিগে বিদেশিদের না খেলানোর পক্ষে। কারণ এমনিতেই এত স্বল্পসংখ্যক দল নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসর মাঠে নামানো ঠিক হচ্ছে না। তারপরও ফেডারেশন যখন খেলা মাঠে রাখতে চাচ্ছে তখন অযথা আর বিদেশিদের খেলিয়ে লাভ কি? দেখেন মোহামেডান, মেরিনার্স, ওয়ারী ও বাংলাদেশ স্পের্টিং না খেলাতে এমনিতেই অনেক দেশি খেলোয়াড় মাঠে নামার সুযোগ হারাবে।
বিশেষ করে মোহামেডান, মেরিনার্স না খেলাতে পয়সা নেওয়ার পরও তারকা খেলোয়াড়দের দেখা যাবে না। সুতারং লিগ হবে একেবারে জৌলুসহীন। এরপর যদি সাত ক্লাবে আবার বিদেশিদের দেখা যায় তাহলে হিসাব করে দেখুন ক'জন দেশি খেলোয়াড় মাঠে নামতে পারছেন? এই অবস্থায় অন্তত এই মৌসুমে বিদেশি আনার প্রয়োজন মনে করছি না। দেশিদের লিগ সীমাবদ্ধ রাখা হোক, হয়তো এ থেকে আগামীর তারকার সন্ধান মিলবে। চাকলাদার বলেন, আমাদের হকির ইতিহাস প্রাচীন।
অথচ রেষারেষির কারণে এ খেলা এগিয়ে যেতে পারছে না। তাই আমার অনুরোধ থাকবে যতই দ্বন্দ্ব বা মতবিরোধ থাকুক না কেন, সব ভুলে এখনই হকির উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়তে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।