হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহ বলেন, “হকি খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক প্রিন্স এই আন্দোলনে ইন্ধন জোগাচ্ছেন। তিনি অবসর নিয়ে এখন মোহামেডানের কর্মকর্তা। একদিকে তিনি মোহামেডানের হয়ে দলবদল পেছানোর কথা বলছেন, অন্যদিকে খেলোয়াড়দের খেপিয়ে ফেডারেশনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। ”
“খেলোয়াড়দের জন্য আমরা অনেক কিছু করেছি। নিয়মিতভাবে প্রতিযোগিতা আয়োজনের চেষ্টা করছি।
কারণ খেলা হলেই খেলোয়াড়রা টাকা-পয়সা পাবে। কেউ-কেউ আমাদের এই অগ্রযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। ”
তবে শিগগিরি সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী রহমতউল্লাহ। তিনি বলেন, “আশা করি খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারবো। হকির বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ২৮ মের মধ্যে দলবদল হওয়ার কথা।
তার আগেই খেলেয়াড়দের আন্দোলনে যাওয়া খুবই দুঃখজনক। ”
“অবশ্য অনেক খেলোয়াড়ই বুঝতে পেরেছে কাজটা ঠিক হচ্ছে না। কেউ-কেউ আমাকে ফোন করে দুঃখ প্রকাশও করেছে। ”
আরিফুল হক প্রিন্স দলবদল ছাড়া আর কিছুই ভাবছেন না। তিনি বলেন, “আমরা খেলোয়াড়রা দলবদলের নির্দিষ্ট তারিখ চাই।
আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ”
“আসলে এটা হচ্ছে রহমত ভাইয়ের (খাজা রহমতউল্লাহ) একটা চক্রান্ত। নানা ভাবে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতেই তিনি এই কাজটি করছেন। কারণ তিনি বুঝতে পারছেন, নির্বাচনে হেরে যেতে পারেন।
”
অবসরের পরও প্রিন্সের খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা নিয়ে হকি অঙ্গনের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। এ প্রসঙ্গে জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় বলেন, “আমি তো এই পদে থাকতে চাই না। খেলোয়াড়রাই আমাকে যেতে দিতে চায় না। তাছাড়া এমন কোনো কথা নেই যে সাবেক কোনো খেলোয়াড় এই পদে থাকতে পারবে না। ক্রিকেট-ফুটবলেও সাবেক খেলোয়াড়রাই এ ধরনের সংগঠন চালায়।
”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।