তুমি জানতে চাইলে আমি প্রকৃতিকে তোমার চেয়ে বেশী ভালোবাসি কিনা?
আমার সরাসরি উত্তর ছিল বাসি, তা শুনে তোমার অনেক রাগ হলো, তুমি আমার সাথে কথা বললে না দুদিন। কিন্তু আমার ভালোলাগাটা; আমি এই যে সহজ ভাবে জানালাম এটা যদি তোমার মনো কষ্ট দেয় তা হলে তুমিই বোঝ তোমার চেয়ে আমি কেন প্রকৃতিকে বেশী ভালোবাসব না? আরে বাবা প্রকৃতি কী আমার কোন কিছু দাবী করছে?
বরং ঘিরে থাকে জড়িয়ে রাখে আমাকে ভালোবাসায়। আমার উদাস দুপুর উজ্জ্বল আলোয় মনো মুগ্ধকর করে তুলছে। বর্ষনধারায় খুলে দেয় মনের আগল সুরে সুরে, উড়িয়ে নিয়ে যায় যত দগ্ধতার যন্ত্রনা। রঙ্গিনপত্র পল্লবে আমার মনে ঝালর দুলিয়ে উৎসবের, আগুনমুখি কষ্টের বোধগুলো মোমের মতন গলিয়ে দেয়।
কত কত সে রূপ, শুধু আমাকে ভালোলাগা দেয়। মন ভরিয়ে তুলে। আর এই যে তুমি প্রকৃতিকে ভালোবাসি বলায় আমার সাথে দুদিন কথা বলছো না। আমার বুকে বিদ্ধ হয়ে আছে যন্ত্রনার কাটা। তারপরও হাসিমুখে ঘুরছি ফিরছি চলছি- তোমার সাথে।
অথচ হাসি মুখে আনন্দের সাথে তুমি গ্রহণ করতে পারতে বিষয়টা। প্রকৃতি তোমার প্রতিপক্ষ নয়। তাকে ঈর্ষা করা মানে তুমি নিজেকে ছোট করে তুলছো আমার কাছে। প্রকৃতি আমাকে শুধু দিয়ে যায় অনন্ত অফুরন্ত। আর আমি পূর্ণ হই ভরভরন্ত।
আমাদের মাঝে কখনও জাগে না খরার ঢেউ। তুমুল ঝড়ের বাতাস। আমরা শুধুই ভালোবাসি একে অপরকে কোন প্রত্যাশা না করে। প্রতিদান না চেয়ে।
এই যে আমার সাথে রাগ করেছো তুমি, খুশি নও প্রকৃতি কেন আমাকে অমৃতধারায় স্নান করায়, সুখ সাগরে ভাসায় উচ্ছাসে আনন্দে নেচে উঠি আমি ধা ধিন ধিন তা, না তিন তিন তা বোলে দোলে উঠে আমার শরীর, বিলায়ীত ভঙ্গীতে মুদ্রাতোলে।
ঘাসের বুকে ঢেউয়ের দোলায়, রঙিন পত্রপল্লবের আবেশে, রঙধনুর সাত রঙে বৃষ্টির নিক্কন ধ্বনীতে, সূর্যের উঠা নামায় চাঁদের জোয়ারে আমি পাগলপারা হাসি তরঙ্গে তরঙ্গে।
তা নামায় তোমার মনে অমাবস্যা! সে কেন এনে দিল আমার মনে ঝর্ণাধারা। আমার মুখে সাঁঝের আঁধার দেখলে তুমি খুশি হও! আমার বুকে তুমুল ঝড় উঠলে তুমি আনন্দ পাও? আমার স্থির নদীর বয়ে যাওয়া তোমার কাছে যন্ত্রনাময়!
সু খবর আপেক্ষিক করে তুলো তোমরা বড় বেশী বিলাশী চাওয়ায়। আমি তাল মিলাতে পারি না যেমন আমি বয়ে যেতে পারি শ্রারণধারায় বা শরতের মেঘে, শীতের বরফপাতও আমায় এমন কাঠিণ্যে বাঁধে না তোমার মনের দ্যোতানায় সারা জাগাতে এক বিন্দু আশংকা জেগে থাকে সব সময় মনের ভিতর কখন তাল কেটে যায়। এই উদ্বিগ্নতা এক অনুভবে পুরো সময়টাকেই নষ্ট করে।
যদি হতে আকাশের মতন অথবা পাহাড়ের মতন বিশাল আমি থইথই জলকেলিতে ব্যস্ত থাকতাম সুখের মুদ্রা তুলে।
জোৎস্নার স্নিগ্ধতা বা অতলান্ত পাখির কুজন জলকনার মতন হীরের স্পটিক হৃদয় খেলে না। চারপাশের অগুনতি ঝগড়ার কাল দাগ বরঞ্চ তোমার মুখে এক ধরণের চাপা আনন্দ এনে দেয়। মুচকি হাসিতে ঢেকে রাখো উৎফুল্লতা বড়ো স্বযত্নে। যেন কিছুই স্পর্শ করছে না এমন এক ভান ধরে থাকো।
জানো কী ঠিক কি চাও ?
আরো একটু না হয় সহজ হলে, খুব কী ক্ষতি হবে তাতে- ভেবে দেখো ভালবাসা। মেধুর আলোর উদ্ভাস হয়ে রঙধনু হলে ক্ষতি তো নাই কোন।
যদি শুনতে চাও-সব নয় শুধু শুনিয়ে যাব কিছু রাতের খবর। দেখো ভেবে কেমন লাগে-
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।