আমি ব্লগ লেখার চাইতে ব্লগ পড়তে ভাল বাসি।
র্যাবের ক্রসফ্যায়ারে যখন সন্ত্রসী মরে, তখন আমাদের মিডিয়া থেকে শুরু করে আন্তর্যাতিক মনবতা কর্মীদের মানবাধিকার উতলিয়ে পরে। আর যখন পুলিশ গুলিকরে একজন সাধারন ছাত্রকে হত্যাকরে তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে লেবেল লাগিয়ে দিল তখন মনে হয় মানবাধিকারের দরকার নাই। তখন তাকে হত্যাকরা যায়েজ আছে। আমরা জানি র্যাবের ক্রসফায়ার বিচার বহির্ভুত হলেও তা একটি প্রসেস দিয়ে আসে।
আধিকাংশ ক্ষেত্রেই সন্ত্রাসীরা যাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবার সাহস কারো নেই তাদের কেই ক্রসফায়ারে ফেলা হয়, কিন্তু পুলিশ তো এলিট ফোর্স না। তারা যাদি এধরনের হত্যাকান্ডতে অংশ গ্রহন করে তাহলে মানুষ যাবে কারকাছে। পুলিশ কে তো তাহলে সকল আইনের উর্ধে তূলে দেওয়া হল। আমাদের দেশের পুলিশ যেভাবে দুর্নীতিতে জরিত তাহলে আমাদের পুলিশ বাহিনী ভাড়াটে খুনি হিসেবে আত্বপ্রকাশ করবে। আর আমাদের মত সাধারন মানুষ যাদের কোন মামু নাই তাদেরকে ক্রসফায়ারে ফালাবে অথবা ক্রসফায়ারের নামে চাদাবাজি করবে।
আমার ভাবতেও অবাক লাগে যার বিরুদ্ধে একটি মামলা কিংবা জিডিও নেই, যে কিনা একটি ভদ্রঘরের সন্তান, কলেজের ১ম বর্ষে পরে, বয়স আঠারো বছর হবে কিনা সন্দেহ আছে তাকে কিভাবে হত্যাকরে তাকে আবার সন্ত্রাসীর লেবেল লাগানো হল। এখন কোথায় সেই মেরুদন্ডহীন মানবাধীকার কর্মীরা, কোথায় সেই সংবাদ কর্মীরা যারা কিনা ক্রসফায়ারের বিপক্ষে। এই হত্যাকান্ডের যদি বিচার না হয় তাহলে আপনি আমি কেউ নিরাপদ থাকবনা এই ভাড়াটে খুনীদের হাত থেকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।