বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility
ব্লগ কেন, সংবাদ-পত্রই বা কেন, সব জায়গায় শুধু ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত নিয়ে টানা উত্তেজনা চলছে ।
প্রথম কথাতেই আসি, ভারত আমাদের একমাত্র প্রতিবেশী না হলেও একমাত্রই বলা যায় । একদিকে সমুদ্র আর চারপাশে ভারতবেষ্টিত বাংলাদেশ আর কোনার দিকে নাফ নদী পেরিয়ে বার্মা ।
সুতরাং ভারতই একমাত্র যে এখানকার অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম । ইতিমধ্যে দেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই করছে ।
বর্তমানেও বলিষ্ঠভাবে করে যাচ্ছে । যেমন: ট্রানজিট, ওয়ারিদ টু এয়ারটেল ইত্যাদি ।
বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের চোরাচালানের ব্যাপারটা খুবই ভয়াবহ । তাতে বি এসফ কি আর বিডিআরই কি , দুই দেশের সীমান্তরক্ষীকেই কড়াকড়ি নজরদারী করতে হয় ।
হয়ত বিএসফ থেকে নির্দেশ এসেছে কাটাতারের বেড়া উপেক্ষা করে পার হলে দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ !
যদিও এটি কোন আইন নয় কিন্তু এটিও একটি আইন ! যেমন উট পাখি উড়তে না পারলেও পাখি !
যেমনটি ১৪৪ ধারা... বাংলাদেশ আইন অনুযায়ী ।
অন্যান্য দেশেও কারফিউ আইনটি আছে । এতেও দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ !(নির্দিষ্ট সময় অন্তর ঘরে না ফিরলে) তবে সব ক্ষেত্রে নয় । তবে জরুরী প্রয়োজনে তা ব্যবহার করা হয় । যখন সামরিক আইন জারি করার প্রয়োজন বোধ করে, তখনই বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ।
যাই হোক মূল কথা থেকে সরে আসছি ।
বিএসএফ মনে করে আমাদের সীমান্তের সবাই উলফাকে সহায়তা করে কিংবা চোরাচালানের সাথে জড়িত । (কথা সত্যি নয়) অথবা অসর্তকভাবেও গুলি করে বসে ।
এটা আমার কথা না, তাদের ভাব ভঙ্গিই বলে দেয় ।
এখন আসি সঠিক পদ্ধতি কি বর্ডার পার হবার >>>>>>>>>>>
করিডর এ ভিসার মাধ্যমে কিংবা আকাশ পথেও/সমুদ্র বন্ধরে একই পদ্ধতিতে । আর দুনিয়ার তাবত সব পদ্ধতিই হারাম ।
যা ফেলানীর মত হাজার হাজার মানুষ করে যাচ্ছে ।
অন্য দেশে প্রবেশের জন্য অনুমতি লাগে যেমন আমাদের ঘরে একজন অতিথি আসে । আমরা তাকে সাদরে গ্রহন করি ।
যদি ব্যাপারটা নৌপথে হয় তবে সেক্ষেত্রে দেখা মাত্রই গুলি করার নির্দেশ কোন জনমেও নাই । কারণ কোস্ট গার্ড দের উন্নত স্পিড বোট থাকে যার সাহায্যেই আনডিফাইন্ড বোট কিংবা জাহাজকে তারা পয়েন্ট করে ক্যাচ করতে পারে ।
তারা হয় ওয়াটকি তে যোগযোগ করে থামানোর নির্দেশ দেয় । ব্যাপারটা একইভাবে আকাশেও প্রযোজ্য । অজানা উড়ন্ত বস্তুর সাথে যোগযোগের চেষ্টা করা হয় এবং বলা হয় ফিরে যাবার জন্য । এরপর প্রয়োজন বোধে ডাউন করা হয় মানে বুঝলেনই তো বুম বুম । তবে পৃথিবীর বিশেষ জায়গায় দেখা মাত্রই এন্টি এয়ারক্রাফট ফায়ার করে ।
তা অবশ্যই ঝাঝালো সীমান্ত এলাকায় যেখানে যুদ্ধ লেগেই চলে ।
কিন্তু স্থলপথে ব্যাপারটা পুরাটাই ভিন্ন । এজন্য আমরা পুরোপুরি বি এসফকে দোষ দিতে পারি না ।
আমি ব্যক্তিগতভাবে বি এস এফকে সর্মথনও দেই না । তারা যা করছে মানবতাবিরোধী কিন্তু যদি তাদের আইন তাদেরকে সঠিক বলে তাহলে আমাদের কিছুই করার নাই ।
কিন্তু আমার একটা কথা, বাংলাদেশের মানুষ ভারত যায় কি করতে ? ভারতে কি কাজের সুবিধা অনেক?
আর বাংলাদেশের বি ডি আরই বা কি করে? বাংলাদেশের বি ডি আর এর সীমান্তে কাটাতারের বেড়া নাই কেন ??? (যাও আছে তা বি এস এফ এর সমুতল্য নয়)
একটা দেশে কাটাতারের বেড়া তখনই দেয় যখন পাশ্ববর্তী দেশের মানুষকে স্বাগতম না করা হয় ! সুতরাং ফেলানীর দষা তারা আগে থেকেই ইঙ্গিত দিয়ে দিচ্ছে কাটাঁ তারের মাধ্যমে !
তাহলে আমরা কেন স্বদেশের টাকা ফেলে বিদেশী রূপির দিকে হাত বাড়াব । আমরা কি চাইলে টাকার মান রূপিকে ছাড়িয়ে যেতে পারি না?
ফেলানীকে সাপোর্ট দিতে পারছি না, কারণ সেও ভুল করেছে এইভাবে পারি দিয়ে আর ভারত এইভাবে মানবতা বিরোধী কাজ করে সঠিক করে নাই । তাদের ব্যাপারটা তারাই সামলামে সুতরাং আমরা এটা ভুল বলতে পারব না আবারও সঠিকও বলতে পারব না । (কারণ ব্যাপারটা ব্যাপারটা পুরাটাই ভারতের আভ্যন্তরীণ ,, যেহেতু ভারতীয় সীমান্তের মধ্য ঘটনাটা ঘটেছে, তাদের চোখে যে কারণেই হোক, আমাদের চোখে তা মানবতাবিরোধী)
পারি না কি ফেলানীর মত কেউ যেন সোনার লোভে ভারত না পারি দিয়ে নিজ দেশে কিছু করি ?
এখন আমাদের উচিত আমাদের দেশকে সমৃদ্ধ করা । ভারত যা করেছে মানবতাবিরোধী কিন্তু ওরা শকুন হলে তো আমরা হতে পারি না ।
তাহলে শকুন আর মানুষের মধ্যে পাথ্যর্ক হল কই ?
আমাদের প্রচেষ্টা আর যেন কোন ফেলানীকে ভারত পারি দিতে না হয়, দেশেই আমরা সমৃদ্ধ ভবিষ্যত তৈরী করব ।
*কেউ যদি পাশ্চাত্যের সীমান্তরক্ষী বা কোষ্ট গার্ডের সাথে উপমহাদেশীয়দের তুলনা দেন, তাহলে ভুল করবেন । কারণ আমার জাতে গরম !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।