দোষগুণ মিশিয়ে সাধারন একজন মানুষ।
বাংলাদেশের সীমান্তে ড্রোন নিয়োগ করবে ভারত সরকার।
কারণ? ফেলানিরা এখন থেকে আর তারকাটায় ঝুলবে না। ড্রোন দিয়া হামলা চালাইলেই তো ঝামেলা শেষ।
তা না করে এতদিন খালি খালি সীমান্তে অমিয় ঘোষ কে নিয়োগ কর রে।
বাছা অমিয় ঘোষ “তুমি গুলি করতে পার নির্দ্বিধায়” নির্দেশ দাও রে।
অমিয় ঘোষ, তুমি টার্গেট খুঁজে বের কর রে।
মরল ফেলানি তো সেই লাশ তারকাটা থেকে নামাও রে।
আবার মিডিয়ার চাপ আর ফেলানির বেকুব বাপের চাপ সামলাও রে।
তারপর সি পি ত্রিবেদির নেতৃত্বে হাস্যকর বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন কর রে।
সেই বিচারে অমিয় ঘোষ কে নির্দোষ ঘোষণা কর রে।
আবার যথারীতি মিডিয়া আর ফেলানির বাপের চাপ সামলাও রে।
এত তালগোল মিয়া কেমনে কি? ড্রোন হইলে তো আর এত কামকাজ নাই। খালি উপর থেইকা টার্গেট খুঁজো রে আর মারো রে। তারপর তৈল দ্বারা নসিকা লেপন, অতঃপর নিদ্রাযাপন।
ড্রোনের হামলার পর মনে হয় না কারো পক্ষে তারকাটায় ঝুলে থাকার প্রয়োজন হবে। ছিন্নভিন্নই তো হয়ে যাবে পুরো দেহ। ঝুলাঝুলির ব্যাপার স্যাপার শেষ। ফেলানিদের বাপেরা এরপর আর ঝুলে থাকা মেয়েটাকেও খুঁজে পাবে না।
একটা কথা ভাই ভারত সরকার।
আপনাদের এই ড্রোন গুলো বাংলাদেশের সীমান্তে কাজে না লাগালেও চলবে।
তার চেয়েও কিছু উপযুক্ত যায়গা আছে আপনাদের দেশে।
ড্রোন গুলো নিয়ে যান মুম্বাইয়ের বাস গুলোর ভিতরে। যেখানে আপনাদেরই দেশের জনগণ কতৃক ধর্ষিত হয় আপনাদেরই দেশের মেডিকেল ছাত্রী।
আপনাদের দেশের অনিরাপদ বহু যায়গা আছে যেখানে গিয়ে ধর্ষিত হয় আপনাদেরই দেশের নারী সাংবাদিক।
ওই যায়গাগুলোতে ড্রোন নিয়ে যান।
আমাদের দেশের ফেলানিরা আপনাদের ধর্ষণ করতে যাবে না, আপনারা নিজের দেশের জনগণ দ্বারা ই ধর্ষিত হয়ে যাবেন।
ভেতরে ভেতরে।
সীমান্তে যারা ফেন্সিডিলের ব্যবসা করে তারা আপনাদের গুলিতে মরে না। যারা অবৈধ গরু ব্যবসা করছে তারা আপনাদের গুলিতে মরে না।
মরে শুধু ফেলানিরা।
আবার ড্রোন দেখাইতে আইছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।