আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সময়ের ভাষন.....।

আমি একজন মানুষকে খুব ভালোবাসি

(শেখার জন্য লেখা...) স্ব-ইচ্ছায় নয়, বরংঞ্চ মুজিবরের অবৈধ (মুজিব বাংলাদেশের জন্য জনগনের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রধান ছিলেন না) সংসদের অবৈধ স্পিকার মালেক উকিলের ভাষায় 'ফেরাউনের ধংসের' পর তাদের রেখে যাওয়া 'তলাবিহীন ঝুড়ি' , গনতন্ত্রের কবরস্থান, মুক্তিযোদ্ধের চেতনা থেকে হাজার মাইল দুরে, একনায়কতন্ত্রি বাকশালী লাল ঘোড়ার খুরাঘাতে ছিন্ন ভিন্ন জনপদ- সরকারের উচ্চশিখর থেকে তলানি পর্যন্ত যেখানে ছিল স্বজনপ্রীতির মহাসমাহার, শীর্ষ নেতার সন্তানসহ আওয়ামী নেতা-কর্মীদের হরিলুট, চুরি, ডাকাতি, খুন-রাহাজানী, অরাজকতায় মহামারী-মহাদুর্ভিক্ষে এক অন্ধকার কালো রাত, যেন বিশ্বযুদ্ধে লন্ডভন্ড, ক্ষত-বিক্ষত এক অরক্ষিত নারী শিশু- এমত অবস্থায় জন্মভুমি বাংলাদেশ এর নিঃষপেশিত-নিরযাতিত সিপাহী-জনতার আন্দোলন-ই স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াকে আল্লাহর নিয়ামতরূপে, ঘোর-অন্ধকারের শেষ আলোক বর্তিকারূপে জাতির অস্তিত্ব রক্ষার দায়িত্ব নিতে রাষ্ট্রপতির আসনে টেনে এনেছে । সেই দিনটি, সেই ক্ষনটি জাতি চিরকাল নাজাতেরক্ষন, নাজাতেরদিন, পাপমোছনের দিন, নাজাত দিবস হিসাবে স্বরন করবে । গনমানুষের ইচ্ছায় এবং দ্বিতীয়বারের মত প্রিয় মাতৃভুমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা র্স্বাবভৌমত্ব রক্ষার তাগিদেই সেদিন বাংলার শ্রেষ্ঠ-সন্তান, স্বাধীনতার ঘোষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জিয়াকে রাষ্ট্রের দায়ীত্ব নিতে হয়েছিল । সরকারের দায়ীত্ব নিয়ে শহীদ হওয়ার আগমূহুর্ত পর্যন্ত জিয়া দেশ ও জনগনের মুক্তির জন্য কাজ করেছেন । রাজনীতি, অর্থনীতি,পররাষ্ট্রনীতিসহ জনকল্যানের সকল দ্বারে ঘুরেছেন জিয়া ।

দু-হাত দিয়ে দেশের দুঃখি মানুষের ভাগ্যান্নয়নে কাজ করেছেন । মেধা-মনন সর্বশক্তি দিয়ে বাকশালী ধংসস্তুপ থেকে টেনে তুলেছেন মৃতপ্রায় মাতৃভুমিকে । দাঁড় করে গিয়েছেন বিশ্বের সাথে এই বাংলাদেশকে সন্মানের সারিতে । দেহ-মন-প্রান দিয়ে শহীদ জিয়া মুজিব হত্যার ব্যাপারে কিছুই জানতেন না, জানার কথাও না । সামরিক বাহিনীর এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে সকল দায়-দায়ীত্ব ছিল তত্কালিন সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল শফিউল্লাহর, যিনি বর্তমান আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, স্ব-ঘোষিত সেক্টর কমান্ডার ও হাস্যকর ঘাদানিকের নেতা ।

জনগন মনে করেন এই বহুরূপী ধূর্ত শফিউল্লাহ-ই সকল নাটের গুরু। অথচ এই লোকটি এখন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রিয় পাত্র । তাই খন্দকার মোস্তাক সরকারের মন্ত্রীসভার সকল সদস্য ও খুনী শফিউল্লাহর বিচার না করে তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধের কাল্পনিক চেতনাধারী(?)আওয়ামী বাকশালিরা বিচারের নামে ষড়যন্ত্রের শিকার কতগুলো বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসি-কাষ্ঠে হত্যা করেছে মাত্র এবং আরো হত্যা করার পাঁয়তারা করছে। মুজিবের পর এই বাংলাদেশে সর্বপ্রথম অবৈধভাবে স্ব-ইচ্ছায় ক্ষমতা দখল করেন বিচারপতি আবু সায়েম চৌধুরী আর আওয়ামিলীগ নেতা মোস্তাক আহম্মেদ । জিয়া নয়।

সেই বিচারপতি আবু সায়েম চৌধুরী আর মোস্তাক আহম্মেদ এর বিচার না করে আমরা কি নিজেদেরকে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মানবতার কাছে অপদার্থ, অশিক্ষিত, অমানবিক প্রমান করছি না ? স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম গনতন্ত্র হ্ত্যাকারি মরহুম শেখ মুজিবরের মরনোত্তর বিচার করে ফাঁসি এখন সময়ের দাবী । মতিউররহমান রেন্টু তো বিবেকের ধংসনে বলেছেন, যদি শেখ মুজিবরের মরনোত্তর ফাঁসি না হয়, তাহলে যেন তাকে(মতিউররহমান রেন্টু) ফাঁসি দেওয়া হয় । মুজিব কন্যার ইচ্ছা পুরন করতে গিয়ে সে নিজেও বহু পাপ করেছে, যার শাস্তি শুধু কেবল ফাঁসি, আর কিছু নয় । ১৯৭২ এ জন্ম নেয়া স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানটিকে ১৯৭৫ই ছিন্ন–ভিন্ন করে, শিশু গনতন্ত্রকে গলা টিপে নির্মম-নিষ্ঠুর ভাবে হ্ত্যা করেছিল এই কুখ্যাত খুনি স্বৈরাচারি মুজিব, কারন সে ছিল উচ্চবিলাসী ক্ষমতালোভি টুংগীপাড়ার অজপাড়া গাঁয়ের একটি অসহিস্নু অদুরর্দশি মাথামোটা লাঠিয়াল সভাবের ছেলে শুধু কেবল গলাবাজী করে রাজনীতিতে সুযোগ পেয়ে এবং ভারতের সুদুর প্রসারি নীলনকসার ষড়যন্ত্রের গেড়া-কলে পা ঢুকিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার তথা ব্রাম্মনাবাদের সবক নিয়ে ক্ষমতার নেশায় কি করতে কি করেছে তা তিনি নিজেও জানেতন বা চাইতেন না । ভারত তাঁর সেই দু্র্বলতার সুযোগে নিজেদের চিরকালের ভৌগলিক নিরাপত্তা এবং ধীরে ধীরে পদে পদে বাংলাদেশের নিরিহ মানুষগুলোর রক্ত চুষে এ জাতিকে খোকলা হড্ডিসার কংকাল বানানোর এক মহাপরিকল্পনা গ্রহন করে ।

এর প্রথম অধ্যায় শেখ মুজিবরের জীবিত অবস্থায় সম্পুর্ন করেছে । বার বার রং হেডেড এক মহিলাকে বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসানোর জন্য ভারত করে নাই এমন কোন কাজ নাই এবং এ নিয়ে দু’বার তারা বাংলার মানুষের জীবন নিয়ে ‘হলী’ খেলে তাদের একান্ত বাধ্যগত সুশীলা, মহা-কুচক্রী, নাট্য পটিয়সী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসিয়ে ভারতের মহাপরিকল্পনার দ্বিতীয় অধ্যায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । সত্য বড়ই তিতাঃ যে আওয়ামী লীগের- বাকশালী নরপশুদের হাতে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ এ একটি স্বাধীন দেশে তিরিশ হাজার প্রতিবাদি কন্ঠস্বর- জাসদ / গনবাহিনীর টগবগে তরুন হারিয়েছে তাজা প্রান এবং অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানহীন অসহায় আবাল-বৃদ্ধা-বনীতা নিঃর্বিশেষে প্রায় তিন হাজার নারীকে হারাতে হয়েছে মান-ইজ্জত-সম্ভ্রম । এক মুঠো ভাতের জন্য গর্ভধারীনি মা বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে নাড়িছেড়া-ধন কোলের সন্তান । এ কারনেই হয়তো ১৯৭৫ সনে জাসদ গনবাহিনীর প্রান-পুরুষ কর্নেল তাহেরের গোপন পরিকল্পনা মাফিক এবং সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল শফিউল্লাহর সম্মতিতে সেনাবাহীনির একাংশ মুজিবশাহীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং সপরিবারে তাকে হত্যা করে ।

গনবাহিনীর প্রান-পুরুষ কর্নেল তাহের জানতেন জেনারেল জিয়া একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক । কোন অন্যায় কাজে তাকে জড়ানো যাবে না, তাই বিদ্রোহের প্রথমপরবে তারই ইশারায় জেনারেল জিয়াকে বন্দি করা হয়, অদুরদর্শী কর্নেল তাহের মনে করে ছিলেন কয়েকজন অফিসারকে দিয়ে শেখ মুজিবরের আন্ডা-বাচ্ছাসহ হত্যা করে তার নিয়ন্ত্রনে জাসদকে ক্ষমতায় বসাবেন । আপামর সিপাহী-জনতার চাপের মুখে পরে যখন বুঝতে পারলেন জাসেদর মহা অদুরদর্শী অপদার্থ নেতাদের দিয়ে আর যাই হোক দেশ চালানো যাবে না এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল জিয়া ছাড়া অন্য কেউ এ জাতির হাল ধরার যোগ্যতা রাখে না । তাই শেষে আবার নিজেই জেনারেল জিয়াকে মুক্ত করে দেশ পরিচালনার ভার তুলে দেন এই ভেবে যে জেনারেল জিয়া তাকে ক্ষমা করে দিবে কিন্তু আইন তো নিজের গতিতে চলে...অথচ খুনি কর্নেল তাহেরের জন্য হাসিনা সরকারের কান্না-কাটি জনগনের দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরানোর প্রায়াস মাত্র, আর বর্তমান ও সাবেক জাসদের অপদার্থ নেতাদের আওয়ামী প্রেম দেখলে যে কেউ বলে দেবে সবার আগে এদের বিচার হওয়া উচিত । সেই তারাই (আওয়ামী-জাসদ চক্র) আবারো দেশে রক্তের বন্যা বহাতে চাইছে।

সেই আওয়ামী লীগের রক্ষীবাহিনী ও জাসদ গনবাহিনীর হুকুমদাতাদের বিচার করার আজ সময় এসেছে । এই দুটি দলের তত্কালিন দায়িত্বশীল নেতাদের কারনেই সেদিন হাজার হাজার টগবগে শিক্ষিত তরুনকে এদের নির্মম-নিষ্ঠুর ক্ষমতা কুক্ষিগত করার রাজনীতির গেড়াকলে প্রান দিতে হয়েছে । সদ্য স্বাধীন দেশে (১৯৭২-১৯৭৫) আওয়ামী বাকশালী রক্ষীবাহিনী ঠান্ডা মাথায় লাল ঘোড়া দাবড়িয়ে এদের হত্যা করেছে । লোভি জাসদ নেতারা সেদিন হাজার হাজার টগবগে শিক্ষিত তরুনকে বলির- পাঠা বানিয়ে ক্ষমতার স্বাধ নিতে চেয়েছে, সেসব হত্যার বিচারের বানী আজও নিব্রিতে কাঁদে । এই দুই দলের হত্যাকারিরা আজ একই পানশালায় বসে আনন্দ-ফু্র্তি করছে, একই জোটে একসাথে বসে আবারও মানুষ হত্যার পরিকল্পনা করছে ।

আবারও গুম-হত্যার মহৌত্সবে মেতে উঠেছে, এ পাগলা ঘোড়ার লাগাম ধরার কেউ কি নেই ? অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে বিচার বিভাগ আর পুলিশ বিভাগ সরকারের হাতের পুতুল হয়ে গেছে, কার কাছে যাবে এই নিরীহ জনগন ? ২৪০০০ জাসদ কর্মী হত্যার দায় এদের বিচার একদিন বাংলার মাটিতেই হবে । আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ গত ১৫/১২/২০১০ প্রচারিত এক টিভি চ্যানেলে দেখলাম ৭০ এর ছাত্রলীগ সভাপতি বর্তমানে জাসদ(রব)এর সভাপতি আ,স,ম রব বলছেন, ১৯৫৮ সনের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কোন ষড়যন্ত্র মামলা ছিলনা, সেটা ছিল আগরতলা মামলা । তবে আমরা আগরতলা গিয়েছি, মুজিব ভাই আগরতলা গিয়েছিলেন । সচিন দা আমাকে বলেছেন তোমার নেতা এসেছে তার পায়জামায় কাদামাটি মাখাছিল, বহুকষ্টে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছিলেন । এসব কথা এখন বলতে পারি ।

মুজিব ভাই ভারতের সাহায্য চাইতেই সেদিন আগরতলা গিয়েছিলেন । পাকিস্তানিরা এটাকে আগরতলা ষড়যন্ত্র বলে । উনার সাথে তখন বাংলাদেশ কল্যান পার্টি সভাপতি মেজর জেনারেল(অবঃ) সৈয়দ মুহাম্ম্দ ইব্রাহীম বসে সভাবসুলব মুচকি মুচকি হাসছিলেন । এ প্রজন্মের একজন মুসলিম হিসেবে আমার মনে হয়েছে এটাই ছিল মুসলিমদের জন্য একটি বা দুটি শক্তিশালি আত্ননির্ভশীল দেশ গঠনের পায়ে প্রথম ভারতীয় সফল কুঠারাঘাত । যার ধারাবাহিকতায় ফারাক্কাসহ আমাদের ৫৪টি নদ-নদীতে ভারতীয় আগ্রাসী মরন বাঁধ দিয়ে ভারত আজ নদীমাতৃক বাংলাদেশকে গলাটিপে হত্যা করছে, আরো বাঁধ দেওয়ার পাঁয়তারা করছে, আমাদের বেরুবাড়ি, দহগ্রাম, আংরপতাসহ ছিটমহলগুলো আজ বেদখল, তালপট্টিসহ আমাদের অনেক ছোট-বড় দ্বীপ ও জলসীমা, তেল-গ্যাসক্ষেত্র আজ ভারতের দখলে ।

সীমান্তে প্রায় প্রতিদিন ২/১ জন করে আমাদের ভাই/বোনদের ওরা পাখীর মত গুলি করে হত্যা করছে । ওরা আমাদের চট্টগ্রাম বন্দর দখল করতে চায় । কানেকটিভিটির নামে আমাদের মায়ের বুকের উপর দিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে ভারত থেকে ভারতে যাওয়ার জন্য ৭০০ কিঃমিঃ করিডর নিয়ে বাংলাদেশকে দ্বীখন্ডিত করতে চায় । কিন্তু বাংলাদেশ থেকে নেপাল যেতে মাত্র ২০ কিঃমিঃ আন্তর্জাতিক ট্রান্জীট পথ নিয়ে কথা বলতেও তারা রাজি না । আমাদের দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীসহ সকল সন্ত্রাসীদের জন্য ভারতের মাটিতে গড়ে তুলেছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তাসহ অসংখ্য প্রশিক্ষন কেন্দ্র ।

প্রতিনিয়ত ভারতীয় নাগরিক, মারনাস্ত্র, মাদকদ্রব্যসহ সীমান্ত পথে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিচ্ছে অসংখ্য অবৈধ পন্য সামগ্রী যা দেশের গনতান্ত্রিক রাজনীতিকে বার বার ধংস করছে আর অর্থনীতিকে করছে পংগু পরনির্ভরশীল । ভারতের সাথে আমাদের বৈধ বানিজ্য ঘাটতি আজ ২.৫ হাজার কোটি টাকারও বেশী যা একটি স্বাধীন বাংলাদেশকে ধীরে ধীরে ভারতনির্ভর জনপদে পরিনত করছে । ভারতের মন্ত্রী সংবাদসম্মেলনে বাংলাদেশের মন্ত্রীর পাশে বসেই বলছে বাংলাদেশ একটি ‘বাফার রাষ্ট্র’ । প্রান-কেন্ডি খেয়ে আমাদের খুকুমনির সাথে আমরাও তা অবলিলায় হজম করে নিয়েছি । ভাগ্গিস প্রান-কেন্ডি ছিল ।

তুমি যাকে মৃত্যু বল, তুমি যাকে বল শেষ, সমূল পতন আমি তার গভীরে বিশ্বাসী বারুদের চোখ দেখে বলি এসব মৃত্যু কোন শেষ নয়, সব নয় এসব মৃত্যু থেকে শুরু হয় আমাদের সূর্যময় পথ। ’ হ্যাঁ, সূর্যময় পথ তৈরি হয়েছে ঠিকই, তবে তা জাসদের সেই বিপ্লবী আদর্শের জন্য নয় বরং নেতাদের বর্তমান ভোগ-বিলাসের। আর বহুরুপী মিথ্যাবাদী রাষ্ট্রদ্রোহী স্বৈরাচারি এরশাদ । নির্লজ্জ বেহায়য়া টাইপের এই লোকটি ২৮ মার্চ ১৯৮২ যখন একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জনপ্রিয় গনতান্ত্রিক সরকারকে বিনা কারনে বন্দুকের নলে হটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নেয় । তখনই আনন্দের সাথে তত্কালিন আওয়ামী নেতা শেখ হাসিনা বলে দিলেন- ‘I am not unhappy’ অর্থাত রাষ্ট্রদ্রোহী এরশাদ গনতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করায় উনি মহা খুশি ।

এবারও ২০০৭ মইন উ গং এক অদ্ভুত সরকারের খোলষে যখন সামরিক শাসন জারি করল তখন তিনি (শেখ হাসিনা) যেমন বললেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে এদের সকল পাপ ধুয়ে মুছে ছাপ করে দেব । জনগনের এখন আর বুঝতে বাকি নাই, যে বাংলাদেশে প্রথমবার ১৯৭৫ সামরিক শাসন জারি হয়েছে শেখ মুজিবরের অদক্ষতা আর দুর্শাসনের কারনে এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার শেখ হাসিনা গংদের গোপন মদদে এবং পৃষ্টপোষকতায় । তার পরও সামরিক বাহিনীর ভয়ে সদা ভীত হাসিনা গং আদালতের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীকে প্রতিনিয়ত ধমক দিয়ে যাচ্ছে- “খবরদার ক্ষমতা নেবেনা”। যেন হাসিনার ক্ষমতা চিরস্থায়ী হয় । কিন্তু হাসিনা গংরা কি জানেনা যে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা নিতে চাইলে কখনই সংসদ, সংবিধান বা আদালতের অনুমতি চাইবে না ।

তাহলে কেন এই নর্তন-কুদন, কেনইবা আদালত আদালত খেলা? শত শত খুনের আসামীকে জেল থেকে ছেড়ে দিয়ে দলিয় ক্যাডার- খুনের আসামীকে বিচারপতি বানানোর চেষ্টা, এদেঁর দিয়ে কি বিচারবিভাগকেও খুন করাতে চান হাসিনা? ক্ষমতায় গেলে দেশটাকে সোনার টুকরা বানাবে বলে ২০০১ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ২৭৩ দিন হর্তাল দিয়ে, লাগাতার অবরোধ দিয়ে দেশ ধংস করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা, রাজপথে লগি-বৈঠা দিয়ে সাঁপের মত মানুষ হত্যা করেছে, একজন আহসানুল্লাহ মাষ্টারের মৃত্যুতে টংগী রেল ষ্টেশনে যাত্রীসহ দন্ডায়মান গোটা রেলগাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অথচ সেদিন রেলষ্টেশন বা রেলগাড়ির সাথে সেই মৃত্যুর কোন সম্পর্কই ছিল না- আজ সিরাজ গন্জে রেলপথে দাড়ানোর কারনে ৭ জন নিরীহ মানুষের তাজা প্রান ছিনিয়ে নিয়েছে যে রেলগাড়ি প্রতিবাদে ক্ষুদ্ধ জনতা সে রেলে আগুন দিয়েছে মাত্র আর তাতেই হাসিনা গং সাত সাতটি জীবনের কথা, তাদের পরিবারের কথা একবারও না ভেবে নিষ্প্রান রেলগাড়ির জন্য সে কি মায়া কান্না – বড়াইগ্রামে নির্বাচিত উপ-জেলা চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্য দিবালোকে শত শত মানুষের চোখের সামনে চিন্হীত আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে হত্যা করলো- আর হাসিনা বলে দিল এটা বিএনপির আভ্যান্তরীন কোন্দল । ভুলে গেলেন কোন্দল হলেও প্রধানমন্ত্রীর সরকারের দায়ীত্ব তার সঠিক তদন্ত করা এবং বিচার করা । বিচারের আগে কোন মন্তব্য না করা । যাতে তদন্ত ও বিচার কাজে প্রভাবান্নিত হতে পারে । ভিডিও ফুটেজ দেখে তদন্ত ও বিচার করবেন বলেছিলেন ।

ভিডিও ফুটেজ এ কি দেখলেন হাসিনা গং? আমাদের আদি পুরুষরা হয়তোবা সভ্য ছিলেন না, হয়তো অন্য কোন জাতি, গোত্র বা ধর্মাবলম্বী ছিলেন, ছিলেন অন্ধকারে, কিন্তু এখন আমরা সভ্য-শিক্ষিত l বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মানবতার ধর্ম ইসলাম গ্রহন করে আলোতে এসেছি l আমরা হয়েছি মুসলমান জাতি l শিক্ষায় দীক্ষায় উন্নত এক আত্মবিশ্বাসী সুশৃংখল আধুনিক জাতি l আমাদের আছে আল-কোরান যা পৃথীবি ধংসের (কিয়ামতের) পুর্ব পর্যন্ত মানব জাতির কল্যানে পথ প্রদর্শক হিসেবে থাকবে l এ কথা যিনি বা যে মুসলমান বিশ্বাস করেনা- সে আর যাই হোক মুসলমান বলে গন্য হবার কথা নয় l কিছু উদ্ভট মুঘল শাসকের মত ইসলাম'কে যারযার সুবিধা মত বিশ্লেষন করে, সুবিধা মত ইসলামী নাম রেখে- মরার পর জানাজা পাওয়ার আশা করা কেবলই নিজের সাথে প্রতারনার শামিল l এ সব তথাকথিত আধুনিকতা এবং প্রগতিবাদের ধজ্বাধারী প্রতারকরা ধর্মনিরপক্ষতার নামে সমাজকে কলুশিত করছে আর ইসলাম'কে সরাসরি অস্বীকার করছে l আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে ইহুদিদের হুকুম তালিম করছে । পবিত্র কোরানকে অবমাননা করে বিশ্বের প্রায় ১৫০কোটি মুসলমানের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত হানার স্পর্ধা দেখাচ্ছে- ফলে বেড়ে যাচ্ছে উশৃংখলতা, ইভটিজিং, ধর্ষন, আত্মহত্যা, খুন, রাহাজানি, প্রতারনাসহ নতুন নতুন অনেক সমস্যা l ধংস হচ্ছে ধর্মীয়মুল্যবোধ, সমাজিকমুল্যবোধ, অর্থনীতি, রাজনীতিসহ দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব l দিনে দিনে আমরা পরিনত হচ্ছি মেরুদন্ডহীন জাতিতে l হাসিনা গং সহ এসব নরকের কীটেরা নিজেরাই জানেনা তারা কি বলছে, কেনইবা বলছে l এরা আসলে ভীতু কাপুরুষের দল l ভোগবাদী পরাশক্তির মতামতের বিপক্ষে যাওয়ার সাহস না থাকায় এবং ক্ষমতার লোভে এরা সত্য ধর্ম ইসলামকে, আল্লাহ প্রদত্ত পবিত্র কোরানকে, নবিকে, রাসুলকে, কিয়ামত-হাসরকে, বেহেস্ত-দোজখকে বেমালুম অস্বীকার করে চলেছে l বুকে জড়িয়ে নিচ্ছে ধর্মহীনতাকে এবং জাতি হিসেবে বাংগালীত্বকে, আরয-ভারতীয় বাংগালীদের অজ্ঞানতাকে l পুরাতন অচল ধর্মবিশ্বাস, রীতিনীতি, পুজা-পর্বন আচার-আচরনকে ধরে রাখার চেষ্টায় দিনরাত গলদঘর্ম হচ্ছে l এসব করে সত্য ও শান্তির ধর্ম ইসলাম থেকে দুরে থাকার সুযোগ হয়তো এরা পাবে, কিন্তু মৃত্যু থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনই সুযোগ নাই l প্রায় শত বছর আগে নোবেল পুরষ্কার পাওয়া, হাসিনা গং দের প্রাতঃপুজনীয় মহামানব-মহাজ্ঞানী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তো বলেই গেছেন বাংগালী আর মুসলমান এক নয় l তবুও এরা কেন বুঝতে চায় না? নাকি এদের গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্য বলেননি l তাহলে কি রবীন্দ্রপ্রেমও মুখে মুখে? শুধুই কথার কথা ? ধোকাবাজি ? একদিন উদম গায়ে জংগলী ছিলাম- জংগলে বাস করতাম বলে চিরদিন তাই থাকতে হবে কেন? আমরা কি কখন সভ্য হতে পারি না ? কেন আমাদেরকে পেছনের দিকে টানা হচ্ছে? শেখ হাসিনার বংশগত(বাংগালী/হিন্দু) ইতিহাস যাই হোক না কেন সেখানে আমাদের যেতে হবে কেন? না! আমরা আবার বাংগালী বা হিন্দু হতে চাই না l কারন তাদের (বাংগালীদের) জীবন ব্যবস্থা, আচার-নীতি, ধর্ম-কর্ম, পোষাক-পরিচ্ছেদ কোনটাই আমাদের (মুসলমানদের) মত না l বাংলাদেশের মুসলমান, বাংগালী, হিন্দু, খৃষ্টান, বোদ্ধ ও আদিবাসী সবাই বাংলাদেশী, বাংলা মায়ের সন্তান l সবাই এ মাটিতেই থাকবো l আমাদের মৌলিক/মানবিক অধিকারগুলো সবার জন্যই এক l মুসলমানদের রীতি-নীতি যদি সকল মানুষের কাজে লাগে, সকল মানুষের মৌলিক/মানবিক অধিকার নিশ্চিত করে, সকল মানুষ নিজ নিজ ধর্ম-কর্ম নির্বিগ্নে পালন করতে পারে তাহলে শতকরা নব্বই জন মুসলমানের দেশ হিসেবে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করতে বাধা কোথায় ? আমার বিশ্বাস হাসিনা গং রা তা ভালো করেই জানে l তাহলে শুধু কেবল রাজনীতি করার জন্য আওয়ামিলীগ এটাকে ইসু বানাতে চায় l নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভংগ করতে ওস্তাদ পে-রোলে জেল থেকে ছাড়া পাওয়া প্রধানমন্ত্রী হাসিনা l বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া উর রহমানকে ছোট করতে গিয়ে তাঁর (হাসিনার) জন্মদাতা পিতা মরহুম শেখ মুজিবরকে রাজাকার দুর্নিতিবাজ বানিয়ে দিতেও কুন্ঠাবোধ করলেন না হাসিনা গংরা l বললেন জিয়া রাজাকার ছিলেন, তাহলে তার পিতা শেখ মুজিবর কি করে একজন রাজাকারকে বীর মুক্তিযোদ্ধা খেতাব প্রদান করলেন? তাহলেতো শেখ মুজিবর সবচেয়ে বড় রাজাকার দুর্নিতিবাজ ছিলেন ! বেগম জিয়া, তারেক, কোকোসহ তাদের অনেক আত্নীয়সজন এবং দলিয় ও রাষ্ট্রিয়-পররাষ্ট্রিয় গন্য-মান্য অনেকেই কফিনে জিয়াকে সনাক্ত করেছেন এবং শেষ দেখা দেখেছেন l তারপর রাজধানী ঢাকার প্রান কেন্দ্র জাতীয় সংসদ ভবন চত্তরে লক্ষ লক্ষ মানুষ কেঁদে কেঁদে যার জানাজা পড়লেন l তখন রুশ-ভারতের চক্রান্তে হাসিনা গং বাংলাদেশের সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জিয়া উর রহমানকে হত্যা করার পর শেখ হাসিনা মুসলমানদের বোরকা পরে ভারতে পলায়ন করতে গিয়ে ধরা পড়লেন l অথচ যে হাসিনা সেদিন ঢাকাতেই ছিলেন না আজ ৩২ বছর পর সে হাসিনা ধীড়তার সাথে বলে দিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার কফিনে নাকি জিয়ার লাশ ছিল না l তাহলে কি আমরা ধরে নিব যে সত্যি-ই সেখানে জিয়ার লাশ থাকার কথা ছিল না তার পরিকল্পনায়? সেজন্যই কি তার সহযোগী খুনিরা জিয়ার লাশ গোপন করার আপ্রান চেষ্টা করেছে ? ছিঃ হাসিনা ছিঃ l পক্ষান্তরে, শেখ হাসিনা তো দুরের কথা তার কোন আত্নীয়সজন পর্যন্ত শেখ মুজিবরের লাশ সনাক্ত করে দাফন করে নাই l ১৫ই আগষ্ঠ একই রকম অনেক গুলো কফিন বিভিন্ন গাড়িতে করে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে দাফন করা হয় l এর মধ্যে শেখ মুজিবরের লাশ কোথায় দাফন করা হয়েছে কে জানে? টুংগী পাড়ায় আদৌ শেখ মুজিবরের লাশ আছে? নাকি শেখ হাসিনার ভাষায় অন্য কোন প্রানীর কবরে এত দিন ফুল দিয়ে আসছে l বিশ্ব কুলাংগার, পিতৃ-পরিচয়হীন জয় যখন খুনি ইহুদীদের সাথে বসে নীল নকসার মাধ্যমে প্রচার করে, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে শতকরা ৩৫ জন ইসলামী জংগী আর শতকরা ৯০ জন মুসলমানের বাংলাদেশে বোরকা বিক্রি বেড়ে গেছে শতকরা ৫০০ ভাগ । তখনই জনগন বুঝতে পারে ব্রাম্মনাবাদ আর ক্রুসেড যুক্ত হয়েছে, বাংলাদেশে কিছু একটা ঘটবে । বোরকা বিক্রি বন্ধ করার জন্য পবিত্র কোরানকে অবমাননা করার স্পর্ধা দেখিয়ে শতকরা ৯০ জন মুসলমানের ধর্ম ইসলামকে সরাসরি চ্যালেন্জ করে হাসিনার বেতনভোগি আদালত । আইন করে দিল আমাদের মেয়েদেরকে বোনদেরকেসহ কাউকে বোরকা পরতে বলা যাবেনা ।

তাহলে আপনাকে জেলে যেতে হবে । ধর্মনিরপেক্ষ হাসপাতাল আর স্কুল/মাদ্রাসা বানানোর আকাংক্ষা পোষন করে এই ভারতীয় দালাল আর সম্রাজ্যবাদের জামাই হাসিনার অবৈদ প্রনয়ের ফল, যৌবনে পাপের ফসল জাতির শত্রু জয় l আজ আওয়ামি গুন্ডাদের ছোড়া গুলি বিদ্ধ হয়ে ভিন্নমতের মুমুর্ষ মানব-সন্তান সরকারি হাসপাতাল গুলোতে বিনাচিকিত্সায় মারা যাচ্ছে । শিক্ষানীতিতে ৫ম শ্রেনী পযর্ন্ত ধর্ম শিক্ষা না দেওয়ার বিধান রেখে স্কুল/মাদ্রাসা গুলোকে ধর্মহীন করা হচ্ছে । জাতি দেখলো ক্ষমতায় বসেই জয় গং ঘোড়া-মইন্না আর তার মা রং হেডেড হাসিনাকে দিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ৫৭ জন চৌকস উচ্চ পদস্থ সেনা অফিসারকে কি নির্মমভাবে হত্যা করেছে এই স্বাধীন বাংলার মাটিতে । বিডিআর পিলখানায় ৫৭ জন চৌকস উচ্চ পদস্থ সেনা অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যা করেই হাসিনা যেন তার বহু প্রতিক্ষীত ট্রাম কার্ডটি হাতে পেয়ে গেলেন, এক ঢিলে কয়েকটি পাখী শিকার করার সুযোগ পেয়ে গেলেন l এক নম্বরে- জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জিয়া উর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত এবং তারঁই বিধবা স্ত্রী বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশনেত্রী তিনবারের প্রধানমন্ত্রী সংসদে বিরধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে ১৫ ঘন্টা অনাহারে অবরুদ্ধ করে রেখে সপরিবারে ১৩ নভেম্বর ২০১০ বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে নির্মমভাবে মায়ের বয়সী ষাটোর্দ্ধ একজন মহিলাকে টেনে হিচড়ে এক-কাপড়ে তাঁর আইনসংগতভাবে দলিল করা বাড়ী থেকে দেশের সর্ব উচ্চ আইন-আদালতের তোয়াক্কা না করে সর্ম্পুন বেআইনীভাবে রাস্তায় বের করে দিলেন- গৃহহীন করলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একজন শহীদ সেনা অফিসার, একজন সাবেক জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতির এতীম সন্তনদেরকে, অসহায় স্ত্রী-পরিবারকে l কারন এ বাড়ির প্লটটি নাকি সেনানিবাসের এ গ্রেডের প্লট, এটা নাকি স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার চাইলেও কাউকে লিজ দিতে পারেন না, তাছাড়া আসল এবং মুল কারন হচ্ছে সেনানিবাসের বাড়ীতে থেকে রাজনীতি করা যাবে না, বিশেষ করে বিএনপির রাজনীতি, আর সব শেষ কারন হচ্ছে যখন একজন শহীদ সেনা অফিসার, একজন সাবেক জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতির এতীম সন্তনদেরকে, এবং বিধবা স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ীটি দান করা হয়েছিল তখন তিনি অসহায় ছিলেন-এখন তো তাঁর পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, তাই এখন এ বাড়ী তার কাছ থেকে ফেরত নেয়াই সরকlরের প্রধান কর্তব্য l দেশের উন্নতির জন্য মংগলের জন্য তা আবার করতে হবে মুসলমানদের পবিত্র ঈদুল আজহার ৩ দিন আগেই (যে পবিত্র ঈদুল আজহার দিন যে ভাবে বিশ্ব ইহুদী সংস্থার সন্ত্রাসিরা মুসলমান সাদ্দামকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল)তাহলেই দেশে শান্তী আসবে, দ্রব্যমুল্য কমে যাবে, ঘরে ঘরে পানি আসবে, গ্যাস আসবে কারেন্ট আসবে আর কখনও এগুলো যাবেনা- সর্বপরি আইনের শাসনের সুবাতাস ফুর ফুর করে বইতে শুরু করবে l আমার কামনা-হে ! আল্লাহ তাই যেন হয় l কিন্তু জনগন বলছে এগুলো নাকি শুধুই প্রতিহিংসার আগুনে অংগার হাসিনার প্রতিশোধ পরায়ন মনের ধোকবাজীকে সুগার কোটেড করা মাত্র l হাসিনার বাবা যেমন সত্যিকার ভাবে কখনই স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি চেয়েছিলেন পাকিস্থানের গদি, তেমনি হাসিনাও স্বাধীন বাংলাদেশ চায় না, চায় শুধু এ দেশের সকল মানুষের রক্ত চুষে বাপের রক্তের প্রতিশোধ নিতে- এ দেশকে পরাধীন করে বাপের ভুলের পায়শ্চীত্ব করতে চায় তাই তো এ দেশে হাসিনা থাকতে চান না- শুনলাম বাপের ভিটীও বেচে দিবেন, সমস্যা নাই- বিদেশে উনার বাড়ী আছে না? চিন্তা নাই l আইনজীবিগন বলছেন এ বাড়ির প্লটটি নাকি সেনানিবাসের বি৪ গ্রেডের প্লট l যা সেনানিবাসের নক্সা-রেকর্ড দ্বারা প্রমানিত l স্বাধীনতার ২৫০ বছর পরও আমরা ইংরেজ ঐপনিবেশিক আইন স্বাধীন বাংলাদেশে মানতে বাধ্য l আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দেশের সর্বোচ্চ পদকে অবমাননা করা হলো l অবস্থার পরিবর্তন হলেও একজন শহীদ সেনা অফিসার, একজন সাবেক জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতির এতীম সন্তনদেরকে এবং তাঁর বিধবা স্ত্রীকে দান করা সম্পদ ফেরত নেওয়ার নজির ইসলাম তথা গোটা বিশ্বে কোথাও নেই l সর্বপরি মহান জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা, ৩বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, ৯ বছর রাজপথে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে জাতিকে নেত্রীত্বদানকারি দেশনেত্রীকে ভিটীছাড়া করাই সরকারের প্রধান কাজ নয় l সারা বিশ্ব হতাসার সাথে লক্ষ্য করছে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ আজ শত সমস্যায় জর্জরিত l সর্বক্ষেত্রে দলীয় করনের কারনে চারি দিকে হাহাকার l দ্রব্যমুল্যের কষাঘাতে মানুষের নাবিশ্বাষ, চারি দিকে শুধু নাই নাই l খাদ্য নাই, গ্যাস নাই, পানি নাই, বিত্ত্দু্ত নাই, চাকুরি নাই l মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নাই, নারীদের ইজ্জতের নিরাপত্তা নাই l চিকিত্ত্তসা ব্যবস্থা ভেংগে পড়েছে, শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মহীনতার প্রানপন চেষ্টা l মানবিক মুল্যবোধের আমুল অবক্ষয় জাতিকে নিয়ে যাচ্ছে গভীর সংকটের গহবরে l সেদিকে সরকারের খেয়াল নাই l সরকার যেন মহাকালের বুভুক্ষ হিংস্র হায়নায় পরিনত হয়েছে l শুধুই খাই খাই করছে l সরকারি পুলিশলীগ-চাপাতিলীগ-ঘাতকলীগের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মামলাবাজি, দখলবাজি, ভর্তিবানিজ্য, চাকুরীবানিজ্য, ইভটিজিং, ধর্ষন, খুন, জনজীবনে নেমে এসেছে এক মহামারি l সরকারি বাহিনী দখল করছে দিনমজুর থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা, সাবেক ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী, ৯ বছর রাজপথে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলে জাতিকে আপসবহীন নেত্রীত্বদানকারি দেশনেত্রীর ভিটীমাটি l গো গ্রাসে গিলে খাচ্ছে শৌচাগার, গোরস্থানসহ রাস্তা-ঘাট, রেল লাইন, বন-জংল, খাল-বিল, নদী-নালা, সমুদ্রশৈকত-প্রবালদ্বীপসহ সবকিছু l সরকার যুদ্ধাপরাধীর মত ননইসুকে ইসু বানিয়ে সরকার দেশটাকে নিয়ে কানা-মাছি ভোঁ ভোঁ, যারে পায় তারে ছোঁ- খেলছে l রাজনৈতিক ধারালো হাতিয়ার নিয়ে এখেলায় যে সত্যি সরকারের চোখ বন্ধ, যে কোন সময় শক্ত কিছুর সাথে প্রচন্ড আঘাতে স্বাধীনতাটাই না ভেঙে খান খান হয়ে যায়, আমার ভয় সেখানে l ভারতের আশায় দেশটাকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বাকশালিরা..জনগনের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাচ্ছে লক্ষন মোটেও শুভ নয় l কিন্তু আমি একশত ভাগ নিশ্চত যুদ্ধাপরাধীর দুরের কথা সঠিকভাবে কোন অপরাধের বিচারই এরা করবেনা.. জামায়াত ভীতি সৃষ্টি করে ভোট ব্যাংক ঠিক রাখতে চায় হাসিনা, বরংচ -নিরাপরাধ কিছু মানুষ মারা যাবে, কিছু পংগু হবে, আর কিছু জেলে যাবে - এগুলো সব নিরবাচনি প্রস্ততি মানুষকে বার বার প্রসব বেদনার কথা মনে করিয়ে দেওয়া,,, তাতেও দোষ নেই , চেতনার ব্যবসা করে আবেগ প্রবন জাতির আবেগের সাথে প্রতারনা মাত্র-- আমি বলি, যে সন্তান জন্মের সময় মায়ের পেট কাটতে হয় তাকে কি জননী শাস্তি দেন-- এ বেথা যতই কঠিন হোক মা হওয়ার গৌরবে মমতাময়ী সব ভুলে যান- সব শিশুকেই আপন করে নেন.. মানুষ করার আপ্রান চেষ্টা করেন..এটাই নিয়তী l তা ছাড়া যুদ্ধাপরাধীর প্রকৃত সঙ্গা সরকারিভাবে প্রকাশ করা হলে বুঝবেন যুদ্ধাপরাধী কারা, যুদ্ধের বিরোধীতা করা আর যুদ্ধাপরাধ করা এক কথা নয়।

ভিন্নমত, ভিন্নদল ছিল, থাকবেই, এখনো আছে, আমরা ৯০ভাগ মুসলমানরাই এক সময় বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হিন্দুস্থান থেকে পাকিস্থান বানিযে ছিলাম। এই বাংলাদেশে সরব প্রথম মুসলিমলীগ আমরাই প্রতিষ্ঠা করে ছিলাম, যা না হলে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ কল্পনাও করা যেত না। সেই পাকিস্থানকে ভালোবেসে টিকিয়ে রাখতে ১৯৭১ সনেও বহু মুসলমান অকাতরে প্রান দিয়েছে । এরা অন্য কোন দেশ থেকে আসে নাই । এই বাংলা মায়ের সন্তান..এদেরও জন্মভুমি এটা l ইচ্ছে করলে ফু দিয়ে কেউ সরিয়ে দিতে পারবে না, সম্ভব নয় l ধর্মভীরু ইসলামী কাফেলা এখনও প্রচুর ।

ইনশাআল্লাহ মুসলমানদের বাংলাদেশ অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে । ওরা ৪২ ভাগ ভোট পেয়েছে বলা হয়, তাও ঠিক না. মানুষের ধারনা সব ভোট সঠিক ভাবে সংগ্রহ করা হয় নাই আরেকটি দল ৩২ ভাগ ভোট পেয়েছে.. ওদেরকে কি করবেন..ওরাও আমার-আপনার মত বলে..৩৯ বছর পর একটা মিমাংসিত বিষয়কে টেনে এনে জাতিকে বিভক্ত করার দরকার নাই--এখানে ২৬ ভাগের আরো একটা জনগোষ্ঠি এব্যপারে কোন মত দেওয়া থেকে বিরত..ওদের কি করবেন.৩৯ ভাগ মানুষ দেশের মালিক হতে তাইলে গোন্ডগোল তো হবেই..তাই না.... ২০০৯ সনে পিলখানায় নিহত সেনা অফিসারদের পরিবারকে এখানে বাড়ি বানিয়ে দেয়া হবে, আহা কি মায়া কি দরদ… কিন্তু অসহায় সেনা অফিসারদেরকে সেদিন বাঁচালেন না কেন? বার বার অনুরোধ করা সত্বেও কেন জেনে-বুঝে ৫৭ জন চৌকস উচ্চ পদস্থ সেনা অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো? ১০ মিনিটের পথ পাড়ি দিয়ে যে সেনাবাহিনী তাদের সহকর্মিদের জীবন বাঁচাতে পারলনা তারা কি বাংলাদেশের সেনাবাহিনী? নাকি ঘোড়া মইন্নার বিশ্বাসঘাতকতার আরেকটি উজ্জল উদাহরন? চলবে...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।