তিনটি পরিবার। দুটি পরিবার আগে কিছুদিন একসাথে ছিল। যখন একসাথে ছিল একটা পরিবার অন্য পরিবার কে সব কিছুতে নিগৃহীত করত। শোষণ এর এমন কিছু বাকি ছিলনা যে তারা করেনি। একসময় নির্যাতিত পরিবারটি প্রতিবাদ করল, তারা আলাদা হতে চাইল কিন্তু তাতে অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে গেল।
শুরু হল যুদ্ধ। নির্যাতিত পরিবারটির কেউ কেউ আবার শত্রু পরিবারটিকে সমর্থন করল, তারাও নিজ পরিবার এর লোকদের নির্যাতন করল। শত্রু পরিবার এর লোকজন এ পরিবারের লোকজনদের ধরে ধরে মেরে ফেলল, মা বোনদের ধর্ষণ করল, যাতে পরিবারটি আর মাথা চারা দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য পরিবারের সেরা সন্তানদের মেরে ফেলল। এর মধ্যে অন্য আর একটি যে পরিবার ছিল তারা সাহায্য করল নির্যাতিত পরিবারটিকে মুক্ত হতে...
এরপর অনেকদিন কেটে গেছে..এখনও সেই নির্যাতিত পরিবারটি সেই যুদ্ধের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে, মা বোনেরা বয়ে বেড়াচ্ছে লজ্জাকর গ্লানি...কিন্তু এই পরিবার এর কিছু সন্তান কে এসব স্পর্শ করেনা...হয়ত তাদের কেউ সেই যুদ্ধে মারা যায়নি, হয়ত তাদের মা বোন কেউ ধর্ষিত হয়নি...হয়ত তাদের মনে অন্য বিশ্বাস...
এই সময়ের মধ্যে ৩য় পরিবারটি আস্তে আস্তে বড় শক্তি হতে থাকে। পাশের পরিবার হওার কারনে তারাও এখন যখন তখন ১ম পরিবার টিকে খবরদারি করে।
ইচ্ছে হল ত এই পরিবার এর লোকজন কে ধরে মেরে ফেলে, ইচ্ছেমত এদের সম্পদ লুণ্ঠন করে। এই ছোট পরিবারটির কাছে ওই পরিবারটি এখন রীতিমত আতঙ্ক। ২য়, ৩য় পরিবার আবার আগে থেকেই শত্রু।
২য়, ৩য় পরিবার আগে থেকেই ভাল ক্রিকেট খেলে। ১ম পরিবারও আস্তে আস্তে তাদের সাথে পাল্লা দেয়া শুরু করছে।
এখন ২য়, ৩য় যেকোনো পরিবারের খেলা হলেই ১ম পরিবারের কিছু ছেলেপেলে লাফালাফি শুরু করে দেয়, মনেহয় যেন তাদের নিজের ভাই খেলছে। কিন্তু তারা বুজতে পারেনা তারা যখন তাদের সমর্থন করছে তাদের বাবার রক্তাত্ত বুক আবার রক্তাত্ত হচ্ছে, তাদের ধর্ষিত মা বোন আবার ধর্ষিত হচ্ছে। তাদের বললে তারা বলে খেলা তো খেলাই। এর মাঝে অন্য কিছু আনার কি দরকার। তারা তো কেউ ধর্ষণ করেনি, তারা তো কেউ আমাদের কাউকে মারেনি...এ কথা যখন সেই পরিবারের নির্যাতিত লোকজন শোনে কষ্টে তাদের বুক ফেটে যায়, তারা কোন ভাবেই তাদের বুজাতে পারেনা ওরা ওই পরিবারেরই সন্তান যারা এখনও তাদের কর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেনি...তারা মুখবুজে তাদের উল্লাস দেখে...
একদিন কিছু লোক এসে যারা উল্লাস করত তাদের বাবা ভাই কে মেরে ফেলে, তাদের মা বোন কে তাদের সামনেই ধর্ষণ করে চলে যায়...
এই দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে তারা বেছে থাকে।
তাদেরও সন্তান হয়। একদিন যারা তার বাবা ভাই কে মেরে ফেলছে, মা বোন কে ধর্ষণ করছে তাদের সন্তানরা খেলতে আসে। দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে বেছে থাকা লোকগুলো দেখে তাদের কিছু সন্তান সেই খুনি ধর্ষক এর সন্তানদের সমর্থনে চিৎকার করছে উল্লাস করছে। তাদের কে যখন ইতিহাস বলা হয় তারা বলে ‘’ এরা তো কিছু করেনি, খেলার মধ্যে অন্যকিছু আনছ কেন!!’’...তখন তাদের কিছু বলার থাকেনা...কষ্টে নীল হয়ে, ক্ষত বিক্ষত হয়ে এক বুক কষ্ট নিয়ে নিজের সন্তানদের উল্লাস দেখে...ভাবে সেও একসময় তার বাপ দাদার খুনিদের, মা ফুফু খালার ধর্ষকের সন্তানদের নিয়ে উল্লাস করত, এ হয়ত তারই প্রতিদান... আসলে সময় বড় নির্মম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।