[পর্ব ১ এর পর]
শেয়ারের প্রকৃত মূল্য নির্ভর করে কোম্পানির প্রকৃত মূল্যের ওপর, অন্য কোনকিছুর ওপর নয়
গতকালের প্রতিষ্ঠানটি নিয়েই আলোচনা করবো। আমাদের প্রতিষ্ঠানের মূলধন ১,০০০ টাকা, বিনিয়োগকারী ১০০ জন, প্রত্যেকের শেয়ার ১০ টাকা। উদাহরণ স্বরূপ ধরেছিলাম প্রথম বছরে প্রতিষ্ঠানটি লাভ করবে ৫০০ টাকা, অর্থাৎ বিনিয়োগকারী প্রতি ৫ টাকা। হিসাবের সুবিধার্থে ধরি, প্রতিষ্ঠানটি অনন্তকাল ধরে প্রতিবছর ৫০০ টাকা করে লাভ করতে থাকবে, বিনিয়োগকারী প্রতি ৫ টাকা করে।
এখন প্রতিষ্ঠানটির প্রকৃত মূল্য নির্ভর করছে বিনিয়োগের অন্যান্য সুযোগের ওপর।
মনে করুন, অর্থনীতিতে অন্য আর যত ধরণের বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে (ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ) সেগুলো থেকে বছরে ৫০০ টাকা আয় করতে অন্তত ২,০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হয় (অনিশ্চয়তার প্রসঙ্গটি আপাতত বাদ দিলাম, যদিও ওটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ)। অন্যভাবে বললে, ১,০০০ টাকা বিনিয়োগ করলে অন্য অপশনগুলো থেকে ২৫০ টাকা পাওয়া যায়। অর্থাৎ ১০ টাকার শেয়ারে ২। ৫ টাকা।
সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, আমাদের প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগের চেয়ে লাভজনক।
তাই নতুন বিনিয়োগকারীরা
১০ টাকার শেয়ার বেশি দামে কিনতে আগ্রহী হবে। তাই শেয়ারের দাম বাড়বে। কিন্তু যখনই এই দাম ২০ এর কাছাকাছি চলে যাবে, তখনই এই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ আর অন্যান্য বিনিয়োগের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না। তাই, এই শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম হতে পারে ২০ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানির প্রকৃত মূল্য ২,০০০ টাকা।
আর এই মূল্যের উৎস্য হচ্ছে কোম্পানির ভবিষ্যৎ লাভ (বছরে ৫০০ টাকা করে)। কোম্পানি যদি ভালো পারফর্ম করে লাভের অংক বছরে ১,০০০ এ নিয়ে যেতে পারে, তবে কোম্পানির মূল্য দাড়াবে ৪,০০০ টাকা। আর যদি লাভের অংক বছরে ২৫০ টাকা হয়, তবে প্রকৃত মূল্য কমে ১,০০০ এ দাড়াবে। কোম্পানির ভবিষ্যতে লাভ করার কোন সম্ভাবনা না থাকলে মূল্য হবে শুন্য।
[চলবে...........]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।