আগে বুঝতে চেষ্টা করুন শেয়ার জিনিসটা কি? শেয়ারের লাভের উৎস্য কি?
ধরুন; আপনি, আমি আর আরো ৯৮ জন মিলে একটি শিল্পকারখানা/ব্যবসা খুললাম। মূলধন ১০০০ টাকা। সবাই দিলাম ১০ টাকা করে। তাহলে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন হলো ১০০০ টাকা। আর আমরা সবাই ১০ টাকা ফেসভ্যালুর ১ টা করে শেয়ারের মালিক।
সবার শেয়ার সমান, ১% করে।
এবার ধরি, আমাদের প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর গড়পড়তা ৫০০ টাকা করে লাভ করবে (এস্টিমেট করলাম। কোম্পানি সম্পর্কে যত ভালো এসটিমেট করতে পারবেন, আপনি তত ভালো এবং নিরাপদ বিনিয়োগকারী)। তাহলে আমরা প্রত্যেকে বছরে গড়ে ৫ টাকা করে লভ্যাংশ পাবো। কারণ কোম্পানীর ১% এর মালিক আমি, আপনি এবং বাকি ৯৮ জন।
হিসেবের সুবিধার জন্য ধরলাম সারা বাজারে ঠিক একই ধরণের ১০০ টি কোম্পানি রয়েছে।
তাহলে পরিসংখ্যান দাড়ালো এরকম:
বাজার হতে সংগৃহিত মোট মূলধন=১০০০*১০০=১০০,০০০ টাকা।
মোট বিনিয়োগকারী=১০০*১০০=১০,০০০ টাকা।
ইন্ডাস্ট্রির বাৎসরিক লাভ=বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য লভ্যাংশ=৫০০*১০০=৫০,০০০ টাকা।
এখন, আমরা ১০,০০০ বিনিয়োগকারী এই বছর যে যতই লাভ করি না কেন, ইন্ডাস্ট্রি কিন্তু কখনোই আমাদের ৫০,০০০ টাকার বেশি লভ্যাংশের যোগান দিতে পারবেন।
অর্থাৎ গড়ে বিনিয়োগকারীদের লাভ ৫ টাকা । এরচেয়ে বেশি লাভ যদি কেউ করে, তবে ধরে নিতে হবে টাকাটা আসলে অন্য কোন বিনিয়োগকারীর পকেট থেকে এসেছে। সবার সম্মিলিত লাভ যদি ৫০,০০০ টাকার বেশি হয়, তবে বাকি টাকাটা এসেছে নতুন বিনিয়োগ হতে। হয়তো ব্যাপারটা এখন দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না, কিন্তু অতিমূল্যায়িত বাজার প্রাকৃতিক নিয়মেই একসময় মূল্য সংশোধন করবেই।
[হিসাবটা অতিসরলীকৃত, কিন্তু বেসিক।
স্টক ভ্যালুয়েশনে আরো অনেক প্যারামিটার বিশ্লেষণ করতে হয়। আগামিকালের পোস্টে বিনিয়োগকারীর দৃষ্টিতে কিভাবে স্টক ভ্যালুয়েশন (শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ) করতে হয় তা আলোচনা করবো]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।