আগামী অর্থবছরের (২০১৩-১৪) বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য থাকছে নানা প্রণোদনা। মূলত নির্বাচনের বছরে ভোটারদের তুষ্ট করার জন্য এই আয়োজন। শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গঠন করা হচ্ছে তহবিল। আবার শেয়ারবাজারে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ আরও এক বছর অব্যাহত রাখা হচ্ছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের উৎসে করে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
চলতি জুন মাসেই ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু খুব বেশি টাকা সাদা হয়নি বলে জানা গেছে। তার পরও নির্বাচনের বছরে শেয়ারবাজার চাঙা রাখার লক্ষ্যে এই সুবিধা আরও এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের এই টাকার উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করবে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এ ছাড়া প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) প্রিমিয়ামের ওপর যে অর্থ প্রদান করেন বিনিয়োগকারীরা, তার ওপর এত দিন ৩ শতাংশ হারে উৎসে কর দিতে হতো।
আগামী বাজেটে তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
মিউচুয়াল ফান্ড বা বন্ড থেকে প্রাপ্য নগদ লভ্যাংশের ওপরও উৎসে কর কাটার বিধান রহিত করা হচ্ছে। বর্তমানে নগদ লভ্যাংশের ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটে বিনিয়োগকারীর হিসাবে জমা দেন সম্পদ ব্যবস্থাপকেরা।
আবার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ বাবদ আয়ের করমুক্ত সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবও করা হচ্ছে। বর্তমানে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত নগদ লভ্যাংশ করমুক্ত রয়েছে।
এর পরিমাণ ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।
এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, মূলত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে এবার কিছু কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে আগামী বাজেটে শেয়ারবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে ৯০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের ঘোষণা থাকছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার লভ্যাংশের অর্থ থেকে এই তহবিল গঠন করবে। ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এই তহবিলের ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।