তোমারও কি এমন হয়,মনে!
৪ নভেম্বর,২০০০ থেকে অনশন করছেন ইরম শর্মিলা,একজন অসমী মহিলা কবি। ১৯৫৮ সালে আসামে চালু হওয়া সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিলের দাবিতে তার এই অনশন। এই গত দশ বছরে তার বসবাস বা থাকার জায়গা(যার ভেতরে জেলখানাও অন্তর্গত)সহ অনেক কিছুরই অনেকবার পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু একটা জিনিষের কোন পরিবর্তন হয়নি,সেটা তার দাবি এবং দাবি আদায়ের জন্য নিরলস সংগ্রাম। আসাম রাইফেলস যে ধরনের নৃশংস কার্যক্রম সেখানে ঘটাচ্ছে তার বিরুদ্ধে মুক্তির জন্য সব ধরনের মানুষই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করছে বিভিন্নভাবে,পেবাম চিত্তরঞ্জন নামক এক ছাত্রনেতা আত্তাহুতিও দিয়েছেন। কিন্তু,বুদ্ধিজীবীরা সাধারনত্ব যে ধরনের ভূমিকা নিয়ে থাকেন সেখানেই শর্মিলা একজন উজ্জ্বল ব্যাতিক্রম।
সরাসরি অংশগ্রহনের মাধ্যমে তিনি মার্ক্স’র সেই বিখ্যাত উক্তিটিরই পুনরাবৃত্তি ঘটালেন, ‘এতদিন বুদ্ধিজীবীরা জগৎকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যাই করেছেন শুধু,এখন সময় এসেছে সামনে এগিয়ে আসার এবং পৃথীবিকে পরিবর্তন করার’। দশটা বছর একজন মানুষ অনশন করছে, এ ব্যপারে যত মনীষি প্রশংসাসূচক যত ভাল মন্তব্যই করুক সাধারন মানুষ যদি শুধু সেটা শুনেই তৃপ্ত থাকে এবং কিছু করার জন্য অনুপ্রাণিত না হয় তাহলে প্রচেষ্টার আসল অংশটুকুই বাকি থেকে যায়। এবং এখানেও তিনি সফল,সাধারন মানুষের কাছে তিনি অফুরন্ত অনুপ্রেরণার এক প্রতীক।
ডঃআহমেদ শরিফ একবার বলেছিলেন,‘আমাদের বুদ্ধিজীবীদের ৩৩% এক দলের,৩৩% অন্য দলের,৩৩% ঝোপ বুঝে কোপ মারে আর ১% হল আসলেই বুদ্ধিজীবী’। এই ১% এর উদাহরণ হিসাবে তিনি বলেছিলেন তাস্লিমা নাস্রিনের কথা।
আমাদের কোন আইডল নেই যাকে দেখিয়ে তরুণ্রা বলতে পারে,আমি এরকম হতে চাই। যখনই ওই অবস্থানের কাছাকাছি কেউ যায়,নতুন করে আমাদের আবারো হতাশ হতে হয়। কোন ব্যাপারেই আমরা মতৈক্যে পৌছাতে পারিনা,কোন কথাই আমরা এক স্বরে বলতে পারিনা,কোন স্বপ্নই আমরা একসাথে দেখতে পারিনা। পাঞ্জেরী,সে আর কতদুর?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।