প্রথমেই ক্ষমাই চেয়ে নিচ্ছি অগোছালো একটা লেখা দেওয়ার জন্য। আমি লেখক নই; আমি হলাম অতি সাধারণ এক পাঠক। মাঝে মাঝে লেখার মাধ্যমে মনের কথা প্রকাশ করি। এই লেখাটা আমার ব্লগেও দিয়েছি।
আমরা ভাবি জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস।
জনগণই সরকার বসাই; সরকার সরাই। আসলেই কি তাই?
আমাদের দেশ একটা আমলাতান্ত্রিক দেশ। আমলারাই দেশ চালাই; আমলারাই সিদ্বান্ত নেয় এবং বাস্তবায়ন করে। আর তাদের সামনে থাকে রাজনৈতিক নেতারা। নেতা আসে নেতা যাই কিন্তু আমলারা থেকেই যাই।
এই অনেকটা সফ্টওয়্যারের ব্যাকএন্ড এবং ফ্রন্টএ্যন্ডের মতো। ব্যাকএন্ডের মূলটা থেকেই যাই বড়জোর সামান্য আপগ্রেডেশান। আর ফ্রন্ট এন্ডটা চেস্টা করা হয় ইউজার ফ্রেন্ডলি করা, সময়ের সাথে সাথে। আর সফ্টওয়্যার যত ইউজার ফ্রেন্ডলি হবে, ততই তার চল।
চিন্তা করুন ১৯৯১ নির্বাচিত সরকারের পতন কিংবা ২০০১ এর সরকারের পতনে আমলাদের ভূমিকা।
আসলে তারা কিভাবে তা করে? যারা এমবিএ করেছেন তারা একটা সাবজেক্ট পড়েন Strategy। সেখানে শিখানো হয় মানুষকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। কিভাবে একটা পরিবেশকে নিজের অনুকূলে আনতে হয়। আর এই খেলার সবচেয়ে বড় খেলোয়াড় হলো আমাদের এই আমলারা। আমাদের আমলারা কি পরিমাণ ক্ষমতাবান সাধারণের কল্পনারও বাইরে।
উদাহরণ সরূপ একজন আমলার কথা চিন্তা করুন যার দায়িত্ব হলো আমেরিকান পররাষ্ট মন্ত্রলায়ের সাথে যোগাযোগ করা। বছরের পর বছর তারা এই কাজ করে যান। ফলে দেখা যায় উনাদের সাথে অন্য দেশের সচিবদের সাথে অনেকটা বন্ধুর মতো সম্পর্ক তৈরি হয়ে। এরফলে উনারা প্রোটকৌলের বাইরেও কাজ করতে পারেন; যেহেতু একে অপরকে বিশ্বাস করেন। ফলে যখন কোনো সরকার নির্বাচিত হয়ে আসেন; তখন ঐসকল দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে এই সকল কর্মকর্তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পরেন।
তাদের ছাড়া কোনো বিকল্প তাদের হাতে থাকে না এই সকল (বেশিরভাগ) মূর্খ মন্ত্রিদের। তাই আমরা দেখতে পাই হাতে গোনা কিছু মন্ত্রি ছাড়া অন্যরা আমলাদের কাছে পাত্তাই পান না। আর কিছু কিছু আমলা তাদের এই ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। আর বিভিন্ন দেশও এদের ব্যবহার করে নিজের পছন্দের সরকার নির্বাচিত করে আনেন। আর এই সব কাজের পথপর্দশক হলো যুক্তরাজ্য আর বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র।
তারা তাদের নানারকশ স্বার্থ সিদ্বির জন্য এই সব করে। আমাদের জাতীয় সম্পদ এইভাবে লুটপাট হয়ে যায়।
ডঃ ইউনুস। একজন মানুষ; একটা ইতিহাস আর এখন একজন অতি বির্তকিত। উনার মাধ্যমেই টেলিনরের এই দেশে ব্যবসা শুরু।
কথা ছিল টেলিনরের শেয়ার একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর গ্রামীনের কাছে হস্তান্তর করা। কিন্তু তাতে রাজি নয়। সোনার ডিম পাড়া হাঁস কে হারতে চাই। তার জন্য রয়েছে তাদের নানা প্রস্তুতি। তারা ডঃ ইউনুসের মাইত্রো ক্রেডিটকে হাইলাইট করলো; যা প্রকৃতপক্ষে আমাদের কোনো দারিদ্রতা দূর করতে পারেনি।
একটা পর্যায়ে উনাকে শান্তিতে নোবেল পুরুস্কার দেওয়া হলো। কিন্তু কাজের বেলায় দেখা গেলো এতেও কাজ হয়নি। এদিকে উনাকে কিন্তু অনেক উপরে তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন তাকে পুরাপুরি কোন ঠাসা করতে হবে। কিন্তু কিভাবে? কিছু কঠিন শত্রু তৈরি করতে হবে।
৯/১১ আমাদের দেশের জন্য একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একদিন। কিন্তু এই পরিস্থিতি কেনো হলো। এইটা আসলে তৈরি করা হয়েছে। ফকরুউদ্দিনকে করা হলো কেয়ারটেকার সরকার প্রধান। কিন্তু প্রশ্ন হলো কে বা কারা তাকে নির্বাচিত করেছেন।
কাউকে না কাউকে তো এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে; আমি তো নিইনি; আপনি কি নিয়েছেন? না। তাইলে কে বা কারা নিয়েছেন? তারা হলো গুটিকয়েক অতি ক্ষমতবান মানুষ। যারাই আসলে দেশ চালান।
আবার ফিরে আসি ডঃ ইউনুস প্রসঙ্গে। উনাকে বুঝানো হলো একটা রাজনৈতিক দল করার জন্য যাতে তাকে ক্ষমতায় আনা যায়।
এতে বাইরের কিছু দেশের জন্য সুবিধা হয়। কিন্তু তা ফেল করে। কিন্তু এর মাঝে তার কিছু কঠিন শত্রু তৈরি হয়ে যায়; যারা বিশ্বাস করে এই ব্যক্তিও তাদের দুর্দশার জন্য দায়ী। এর পর আসলো নতুন সরকার। পরিবেশ তখন এমন ছিল (খেয়াল করে) এই দল ছাড়া কোনো বিকল্প আর আমাদের ছিল না।
আবার সফল নাটক!
কিন্তু ডঃ ইউনুস আর বাগে আসে না। উনার একটা অপকর্মের প্রমাণ কিন্তু রয়ে গেছে তাদের হাতে। যা পরে ফ্লাশ করে উনাকে চরম বিপদে ফেলা হয় আর উনার প্রতিপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটা মোক্ষম অস্ত্র। আর আমি চেয়ে আছি ভবিষ্যতের দিকে কি ফলাফল অপেক্ষা করছে আমাদের সামনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।