আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকারের জনপ্রিয়তা কমেছে

অতি সাধারণ....প্রধানমন্ত্রী হলে দেশটারে সাজাইতাম

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের জনপ্রিয়তা গত দুই বছরে কমেছে। কমেছে সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে নাগরিকদের সন্তোষের পরিমাণও। শিক্ষা ও কৃষিতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে গত বছরের চেয়ে এবার সমর্থন বেড়েছে অনেক বেশি। বিপরীতে হতাশার মাত্রা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও বিদ্যুৎ-পরিস্থিতি নিয়ে। সংসদ পরিচালনা, বিরোধী দলকে সংসদে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা এবং বিরোধী দলের প্রতি আচরণ নিয়েও সরকারের প্রতি নাগরিকদের নেতিবাচক মনোভাব গত বছরের চেয়ে এ বছর উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

সার্বিকভাবে দেশের রাজনীতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন নাগরিকেরা। মহাজোট সরকারের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রথম আলোর উদ্যোগে পেশাদার জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওআরজি-কোয়েস্ট রিসার্চ লিমিটেড’ পরিচালিত সাম্প্রতিক এক জরিপে দেশবাসীর এসব মতামত পাওয়া গেছে। দেশের সাতটি বিভাগের ২০টি জেলার তিন হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর এই জরিপ চালানো হয়। জেলাগুলো হলো: ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বগুড়া, পঞ্চগড়, খুলনা, বরিশাল, কুমিল্লা, পাবনা, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালী, কুড়িগ্রাম, মাগুরা, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, নরসিংদী ও জামালপুর। ২০১০ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই জরিপ চালানো হয়।

২০০৮ সাল থেকে প্রথম আলো এ ধরনের জনমত জরিপ পরিচালনা করে আসছে। ভবিষ্যতেও প্রতি এক বছর অন্তর প্রথম আলো দেশব্যাপী এ ধরনের জনমত জরিপ পরিচালনা করবে। এবারের জরিপে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম, বিভিন্ন খাতে সরকারের প্রচেষ্টা, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের ভূমিকা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, যুদ্ধাপরাধের বিচার, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, ট্রানজিট প্রসঙ্গ, ’৭২-এর সংবিধানের পুনঃপ্রবর্তন, গণমাধ্যমের প্রতি সরকারের আচরণ ইত্যাদি বিষয়ে নাগরিকদের একটি মূল্যায়ন উঠে এসেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং এর সমর্থক সংগঠন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কর্মকাণ্ড নিয়ে জনগণ যেমন নেতিবাচক মতামত দিয়েছেন, তেমনি বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়েও তাঁরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। বিপুলসংখ্যক মানুষ সংসদে বিরোধী দলের অনুপস্থিতিকে অনুমোদন করেননি।

সংসদের বাইরেও বিরোধী দলের কার্যকর ভূমিকা রাখার ব্যাপারে দেশবাসীর অসন্তোষ এ বছর আরও বেড়েছে। জরিপে আরও দেখা গেছে, জনপ্রিয়তার বিচারে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে আছেন, কিন্তু গত বছরের চেয়ে তাঁর জনপ্রিয়তার মাত্রা নেমেছে। পক্ষান্তরে, জনপ্রিয়তার দৌড়ে খালেদা জিয়া পিছিয়ে থাকলেও, আগের বছরের তুলনায় তা এ বছর বেড়েছে। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো, এখন নির্বাচন হলে দেশবাসী কোন রাজনৈতিক দলকে কী পরিমাণ ভোট দেবেন, তা-ও এই জরিপে উঠে এসেছে। এখন নির্বাচন হলে জনমত জরিপ অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ভোট পাবে ৪৬ শতাংশ, বিএনপি ৩৯ শতাংশ এবং জাতীয় পার্টি ৬ শতাংশ।

আগের বছরের জরিপে এই ফল ছিল যথাক্রমে ৫৬, ২৫ ও ৩ শতাংশ। দেখা যাচ্ছে, এক বছরের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমেছে ১০ শতাংশ এবং বিএনপির জনপ্রিয়তা বেড়েছে ১৪ শতাংশ। সরকারের কার্যক্রম সুশাসন ও অর্থনীতির সূচকে সরকারের সফলতা গত বছরের তুলনায় কমেছে বলে জরিপে অংশগ্রহণকারীরা মনে করছেন। এ ক্ষেত্রে সরকার সঠিক পথে রয়েছে, এমন মতামত প্রদানকারীর সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে ৩ শতাংশ কমেছে। যেসব খাতে এগিয়ে: জরিপ অনুযায়ী সফলতার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে শিক্ষা খাত।

নাগরিকদের ৮৯ শতাংশ বলেছেন, শিক্ষা খাতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সফল ছিল। কৃতিত্বের দিক থেকে এর পরপরই এগিয়ে আছে কৃষি। জরিপে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের তিন-চতুর্থাংশ মনে করেন, কৃষি খাতের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ ঠিক ছিল। গত বছরের চেয়ে এই হার বেড়েছে ৭ শতাংশ। যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা নিয়েও জনগণ অনেকটাই সন্তুষ্ট বলে জরিপের ফল থেকে ধারণা পাওয়া গেছে।

প্রায় ৭০ শতাংশ উত্তরদাতা কমবেশি তাঁদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। যেসব খাতে পিছিয়ে: বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে নাগরিকেরা নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন সবচেয়ে বেশি। ২০১০ সালে বিদ্যু-পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, এমন বক্তব্যের পক্ষে আগের বছর ৪৩ শতাংশ উত্তরদাতা সমর্থন জানালেও এবার তা কমে এসেছে মাত্র ২৮ শতাংশে। অন্যদিকে ৪৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, বিদ্যুৎ-পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ২০০৯ সালে এই মনোভাব ছিল ২৩ শতাংশের।

৭২ শতাংশ নাগরিক বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার অনেকাংশে বা পুরোপুরি ব্যর্থ। অথচ আগের বছর এ ব্যাপারে সরকারকে ব্যর্থ মনে করেছিলেন ৪১ শতাংশ উত্তরদাতা। জরিপের তুলনামূলক বিচারে দেখা যাচ্ছে, ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১০ সালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত বছর ৬৫ শতাংশ উত্তরদাতা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে মনে করেছিলেন। এ বছর সেই হার ছয় শতাংশ কমেছে।

অপরিবর্তিত ও বিভক্ত মত: জরিপের ফল থেকে জানা গেছে, ২০০৯-এর তুলনায় ২০১০ সালে দুর্নীতির চিত্র তেমন একটা বদলায়নি। তবে আগের বছরের মতো এবারও সরকারের পক্ষেই জনসমর্থন বেশি। বর্তমান সরকারের আমলে দুর্নীতি কমেছে—এমন মত প্রকাশ করেছেন ৪৩ শতাংশ উত্তরদাতা। আগের বছর এই মত ছিল ৪২ শতাংশের। কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যাপারে সরকার তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছে—এমন বক্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে জনমত প্রায় বিভক্ত ছিল।

৪৮ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেছেন, সরকার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছে, সমানসংখ্যক উত্তরদাতা সেটা মনে করেন না। জীবনযাত্রার মান সরকারের প্রথম ও দ্বিতীয় বছরে কমবেশি একই রকম ছিল বলে উত্তরদাতারা মত দিয়েছেন। আগেরবার এ ব্যাপারে ৫১ শতাংশ ইতিবাচক মত দিয়েছিল, এবার ২ শতাংশ বেড়েছে। সরকারের ভূমিকা দলীয়করণ: আগের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের তুলনায় বর্তমান সরকারের আমলে দলীয়করণ বেড়েছে বলে ২০০৯ সালের চেয়ে এবার মত প্রকাশ করেছেন বেশি উত্তরদাতা। এবারের উত্তরদাতাদের ৪৭ শতাংশ মনে করেন, দলীয়করণ বেড়েছে।

আগের বছর এই ধারণা ছিল ৪১ শতাংশের। বিরোধী দলের সঙ্গে সরকারের আচরণ: ২০১০ সালে ৩৮ শতাংশ উত্তরদাতা মত দিয়েছেন, বিরোধী দলের সঙ্গে সরকারের আচরণ যথার্থ ছিল। অথচ এক বছর আগে এই ধারণা ছিল ৫৭ শতাংশ উত্তরদাতার। অন্যদিকে সরকারের আচরণ যথার্থ ছিল না, এমন ধারণা আগেরবারের ৪২ শতাংশ থেকে এবার বেড়ে ৬০ শতাংশ হয়েছে। বিরোধী দলকে সংসদে ফিরিয়ে আনতে সরকারের উদ্যোগ যথাযথ ছিল—এই ধারণার পক্ষেও নাগরিকদের সমর্থন বেশ কমে এসেছে।

আগেরবার ৬৩ শতাংশ উত্তরদাতা এমনটি মনে করেছিলেন। এবার তা কমে ৪৯ শতাংশ হয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংসদ: সংসদকে কার্যকর রাখার ব্যাপারে বতর্মান সরকারের কার্যক্রম নিয়ে আগের বছর ৬৫ শতাংশ উত্তরদাতা সন্তোষ প্রকাশ করলেও এবার তা ৫২ শতাংশে নেমে এসেছে। বিচারব্যবস্থা: ৪৮ শতাংশ নাগরিক বলেছেন, সরকারের দুই বছরে বিচারব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। এক বছর আগে এই মত জানিয়েছিলেন ৫২ শতাংশ।

বিচারব্যবস্থার অবনতি হয়েছে বলে মত দিয়েছেন ২৮ শতাংশ, যা আগের বছর ছিল ১৬ শতাংশ। ২৩ শতাংশ নাগরিক বলেছেন, পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এই হার আগের বছর ছিল ৩২ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন: নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে জনগণের মধ্যে আস্থা আগের তুলনায় বেড়েছে। কমিশন বর্তমান সরকারের আমলে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে—এমন মন্তব্য করেছেন ৫৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী।

৩৮ শতাংশ এর বিপরীত মত দিয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন: দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে কি না—এ বিষয়ে জনমত প্রায় বিভক্ত। এ ব্যাপারে ৪৮ শতাংশ নাগরিক ইতিবাচক ও ৪৫ শতাংশ নাগরিক নেতিবাচক মত প্রকাশ করেন। রাজনীতির নানা দিক রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন: দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে বলে ২০০৯ সালে ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা মত দিয়েছিলেন। ২০১০ সালে সেই মত ৪৭ শতাংশে নেমে এসেছে।

নৈরাজ্যের রাজনীতি: হরতাল-ভাঙচুর-সন্ত্রাসের মতো পুরোনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি ফিরে আসার ব্যাপারে জনগণের মধ্যে হতাশার মাত্রা বেড়েছে। আগেরবার ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছিলেন, তাঁরা মনে করেন, রাজনীতিতে নৈরাজ্যের সংস্কৃতি আর ফিরে আসবে না। এবারের জরিপে এই হার ৫৩ শতাংশে নেমে এসেছে। ধর্মভিত্তিক দলগুলোর রাজনীতি: ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে রাজনীতি করতে দেওয়া উচিত কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ৪০ শতাংশ সমর্থন দিলেও সমর্থন জানাননি ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা। আওয়ামী লীগের ভূমিকা ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ও এর সমর্থক সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন সব মিলিয়ে ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা।

এবার তা নেমে এসেছে ৪২ শতাংশে। আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে—আগেরবার এমন মনে করতেন ৪৭ শতাংশ উত্তরদাতা। এবার তা দুই শতাংশ কমেছে। বাকি প্রায় সবাই এর বিপরীত ধারণা প্রকাশ করেছেন। বিরোধী দলের ভূমিকা ২০০৯ ও ২০১০ সালের জরিপে ৮০ শতাংশের বেশি উত্তরদাতা সংসদে বিরোধী দলের অংশ না নেওয়ার বিষয়টি পছন্দ করেননি।

এবারের জরিপে ৬০ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, বিরোধী দল সংসদের বাইরে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। এ ছাড়া বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে বিরোধী দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে ৩৯ শতাংশ উত্তরদাতা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ২৪ শতাংশ। নেত্রী ও দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া: দুবারের জরিপেই বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছেন দুই নেত্রী। তবে তুলনামূলকভাবে দুজনের মধ্যে শেখ হাসিনার অবস্থান খালেদা জিয়ার চেয়ে ভালো। ২০১০ সালের জরিপে শেখ হাসিনাকে ভালো বলেছেন ৭৫ শতাংশ উত্তরদাতা, খারাপ বলেছেন ২৩ শতাংশ।

খালেদা জিয়াকে ভালো বলেছেন ৭৬ শতাংশ, খারাপ বলেছেন ২২ শতাংশ উত্তরদাতা। দুই নেত্রীর মধ্যে কাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান—এই প্রশ্নের জবাবে ৪৮ শতাংশ শেখ হাসিনাকে এবং ৪০ শতাংশ উত্তরদাতা খালেদা জিয়াকে সমর্থন জানিয়েছেন। অন্যান্য আলোচিত বিষয় খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি: খালেদা জিয়াকে যেভাবে তাঁর সেনানিবাসের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছে, তার বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন ৬১ শতাংশ উত্তরদাতা। কিন্তু বাড়ি ছাড়ার ইস্যু নিয়ে বিরোধী দলের হরতাল কমসূচির বিরোধিতা করেছেন ৭৫ শতাংশ নাগরিক। যুদ্ধাপরাধের বিচার: বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারছে বলে এবার মনে করছেন গতবারের চেয়ে কমসংখ্যক উত্তরদাতা।

এক বছর আগে ৮৬ শতাংশ নাগরিক এ প্রশ্নের ইতিবাচক জবাব দিয়েছিলেন, এবার তা নেমে এসেছে ৫৭ শতাংশে। বিচারবহির্ভূত হত্যা: ২০০৯ সালের মতো ২০১০ সালেও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিপক্ষে প্রায় একই সমান নাগরিক তাঁদের মত প্রকাশ করেছেন। এবারের জরিপে এই হার ছিল ৭৭ শতাংশ, আগেরবার এই হার ছিল ৭৮ শতাংশ। সংবিধান: ’৭২-এর সংবিধানের মূলনীতিগুলো ফিরিয়ে আনার বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে সংশয়ের মাত্রা বেশি দেখা গেছে। ২৩ শতাংশ নাগরিক মূলনীতিগুলো ফিরিয়ে আনার পক্ষে মত দিলেও ৪১ শতাংশ উত্তরদাতা এর বিরোধিতা করেছেন।

৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত নন। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক: আগেরবারের মতো এবারও বেশির ভাগ উত্তরদাতা মনে করছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। আগেরবার এই মনোভাব ছিল ৭৬ শতাংশের, এবার ৭২ শতাংশের। ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ার প্রশ্নে অর্ধেকের কিছু বেশি উত্তরদাতা মত দিয়েছেন, দেশ এ থেকে লাভবান হবে। ক্ষতি হবে মনে করছেন ৩৮ শতাংশ নাগরিক।

গণমাধ্যমের প্রতি সরকারের মনোভাব: উত্তরদাতাদের ২৭ শতাংশ গণমাধ্যমের প্রতি সরকারের আচরণকে সমর্থন করলেও ৬৪ শতাংশ নাগরিকই বলেছেন, সরকারের আচরণ সঠিক ছিল না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.