বয়ে চলা সময়কে ধরে রাখার একটা প্রয়াস
মাঝে-মাঝেই বুয়েটের উইকিপিডিয়া আর্টিকেলে ঢু মারা আমার পুরানা অভ্যাস। কৃতি মানুষদের তালিকাতে একদিন দেখি একজন নতুন বিজ্ঞানীকে যোগ করা হয়েছে। এফ আর খানের পাশেই তার ছবি। তার লিঙ্কে প্রবেশ করার পর এবং কিছু অনুসন্ধানের পর যা জানতে পারলাম তা মোটামুটি এইরকম।
ফজলে হোসেন,১৯৭৭ সাল থেকে আমেরিকার নাগরিক,আহসানুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (AEC) মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ছাত্র ছিলেন,পরে EPUET -এ লেকচারার হিসেবে জয়েন করেছিলেন।
(পাঠকদের মনে করিয়ে দেওয়া উচিৎ যে তখনকার AEC বা EPUET ই এখনকার বুয়েট)। বাকি তথ্য পাঠকদের একটু কষ্ট করে আমার দেয়া লিঙ্ক গুলো থেকে জেনে নেবার অনুরোধ করছি।
তাকে নিয়ে অনেক কিছু লেখার ইচ্ছা আছে,কিন্তু সামনে পরীক্ষা তাই বেশি কিছু লিখতে পারছি না । কিন্তু লেখার ইচ্ছা আছে।
১.মুক্তমনাতে জাহেদ আহমদের লেখা তার ওপর একটি ব্লগ ।
যেখানে তার বর্ণাঠ্য অ্যাকাডেমিক ক্যারিয়ার সম্পর্কে জানতে পারবেন।
২.আরেকটি ব্লগ । এটা ২০০৪ সালে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে তার লেকচার।
এটা পড়ে আমাকে রীতিমত অবাক হতে হয়েছে। আবার কিছু অজানা তথ্যও জানতে পেরেছি,যেমন বিজ্ঞানী আব্দুস সালাম শুধুমাত্র ছাত্রদের অনুরোধে নাকি বুয়েটে এসেছিলেন।
বুয়েটের প্রথম ভিসি,এম এ রশিদেরও সমালোচনা করেছেন তিনি। ( বুয়েটে রশিদ স্যারের নামে একটা হল আছে,প্রতি ডিপার্টমেন্টের সেরা স্টুডেন্টদের এম এ রশিদ গোল্ড মেডাল দেয়া হয় )
৩.আমি এই লেখাটা ৩ জানুয়ারীতে লিখেছিলাম,৫ জানুয়ারীতে প্রথম আলোতে তার ওপর প্রকাশিত প্রবন্ধটি পাবেন এখানে,একই দিনে কায়কোবাদ স্যারের লেখা পাবেন এখানে । (আমি ৫০% নিশ্চিৎ যে প্রথম আলো জাহেদ আহমদের লেখা কপি-পেস্ট করে চালিয়ে দিয়েছে। ইচ্ছা করলে জাহেদ আহমদ তার কপিরাইট ক্লেইম করতে পারেন)
এই লেখাগুলো না পড়লে আসল মজাটা পাওয়া যাবে না। আর একই সাথে ভাল লাগে যখন দেখি আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা NASA-র মত প্রতিষ্ঠানে গৌরবের স্বাক্ষর রাখে।
আবুল হায়াত শিবলু
৩ জানুয়ারী ২০১১
ঢাকা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।