বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ এখন এই অপরাহ্নে সুনামগঞ্জের আকাশে কাজলকালো মেঘ জমে আছে। ১৯৭২ সালের বর্ষাকাল। দুপুর থেকেই ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ছিল।
সেই বৃষ্টিতে ভিজছে ৩৬ বছরের এক যুবক। যুবকের নাম আবেদ। তার শ্যামল শরীরটির উচ্চতা মাঝারি । সে এই মেঘলা অপরাহ্নে সুনামগঞ্জের কালনি নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার পরনে সাদা রঙের ফতুয়া আর কালো প্যান্ট।
একটু আগে কালনি নদীর তীরে চৌদ্দটি নৌকা ভিড়ে ছিল। নৌকাগুলি অবেদের উদ্যেগে মুক্তিযুদ্ধে নিঃস্ব চৌদ্দজন দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। বেশির ভাগই নৌকাই ডিঙ্গি তবে দুটি কোষা নৌকা এবং দুটি গয়না ও একটি পাতাম নৌকাও আছে।
... এসব দরিদ্র মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বশ্রান্ত হয়ে পথে বসেছিল । আবেদ তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় ।
এক বছর আগেও আবেদ থাকত লন্ডন শহরে। সে শহরে আবেদের একটি ফ্ল্যাট ছিল। আবেদ ফ্ল্যাটটা বিক্রি করে দিয়েছে। নৌকাগুলি সেই ফ্ল্যাট বিক্রির টাকায় কেনা । (কয়েকটি নৌকার নকশা অবশ্য আবেদ নিজেই করেছে) ... এই নিঃস্ব মানুষগুলি যদি নৌকা পেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে ... আবেদের স্বপ্ন কেবল এতটুকু।
এইসব দরিদ্র মানুষের স্ত্রী-কন্যাদের কথা ভেবে আবেদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে ...। বাংলার নারীর জীবন চিরকালই দুঃখকষ্টে কাটল। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের অকল্পনীয় দুঃখযন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে। ... আবেদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে। ঝিরঝির বৃষ্টিতে আবেদের মাথার চুলে ও ঘাড় ভিজে যাচ্ছে।
পরনের ফতুয়াটিও ভিজে গেছে। যেন এই যুবকটিকে আবহমান বাংলার দয়ালু মাতৃদেবী স্বর্গ থেকে জল ছিটিয়ে আর্শীবাদ করছেন। অবেদের মা-ও ছিলেন দয়ালু । ( ২০১১ সালের অক্টোবর মাসের এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্যটি আবেদ এটিনএন নিউজের নিউজ আওয়ারএক্সট্রা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে বলেছিলেন ...) আবেদের মা সৈয়দা সুফিয়া খাতুন নিয়মিত গ্রামবাসীর খোঁজখবর নিতেন। বিশেষ করে নারীদের।
(আশ্চর্য এই- আবেদের জীবনের পরবর্তীকালের কার্যক্রম বাংলাদেশের নারীর উন্নয়নের লক্ষ্যেই পরিচালিত হয়েছিল। ) ১৯৩৬ সালে সৈয়দা সুফিয়া খাতুন সিলেটের হবিগঞ্জের বানিয়াচঙের একটি প্রতন্ত গ্রামে এক পুত্রের জন্ম দেন । সেই পুত্রটিও তার মায়ের দয়ালু হৃদয়টিই পেয়েছে। এই কারণেই কি লন্ডন শহরের নিরাপদ ও বিলাসবহুল জীবন পরিত্যাগ করে এই মুহূর্তে যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে ত্রাণকার্যে ব্রতী হয়েছে? কালনি নদীর উত্তরে সুল্লা। আবেদের প্রতিষ্ঠানটি সেখানেই ।
আবেদ তার প্রতিষ্ঠানটি নাম দিয়েছে Bangladesh Rural Advancement Committee । সংক্ষেপে BRAC। ব্র্যাক, আবেদের মেধাবী নেতৃত্বে, এরই মধ্যে সুনামগঞ্জের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। যুদ্ধের পর একে একে শরণার্থীরা সীমান্তের ওপার থেকে নিজগ্রামে ফিরে আসছে। তাদের শূন্য ভিটে খাঁ খাঁ করে।
গত বছর পাকিস্থানি সৈন্যরা কি এক তীব্র আক্রোশে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে । শরণার্থীদের মাথা গোঁজার মতো ঠাঁই নেই। আবেদ প্রাথমিক ভাবে চৌদ্দ হাজার ঘর তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। শত শত ত্রাণকর্মীর দিনরাত অক্লান্ত কর্মচঞ্চলতায় সে কাজ এখন চলছে পুরোদমে। ঘর তৈরি ছাড়াও সুল্লার অভাবী মানুষদের মধ্যে নৌকাও বিতরণ করা হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ হাওর-বাওরের দেশ। এ দেশে নৌকা ছাড়া চলে না।
যে যার নৌকা নিয়ে চলে গেছে। একজন অবশ্য এখনও যায়নি। লোকটি বৃদ্ধ।
সে আবেদকে নৌকায় উঠতে অনুরোধ করেছে। সে কালনি নদীতে অবেদকে নিয়ে নৌকা বাইতে চায়। কথাটা শুনে আবেদ মুচকি হেসেছে। বাংলার মানুষ চিরটি কাল শত দুঃখকষ্টের মধ্যেও এমনই রসিক। তার ওপর আবার সুনামগঞ্জ হল হাছন রাজার দেশ।
এ দেশের মানুষ ভারি রসিক আর প্রাণবন্ত। হাছন রাজাও অত্যন্ত রসিক ছিলেন। তাঁর একটি গানে রয়েছে:
ভালা কইরা ঘর বাধিয়া / কয় দিন থাকমু আর
আয়না দিয়া চাইয়া দেখি/ পাকনা চুল আমার ...
বৃদ্ধের আহবানে খুশি হয়ে ঘাটে নেমে নৌকার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে আবেদ। সে নৌকায় উঠে বৃদ্ধকে খুশি করতে চায়। মানুষকে সুখি-খুশি করার ব্রতই তো সে নিয়েছে।
নৌকায় উঠতে উঠতে আবেদ ভাবছে ... আমি কি পারব গ্রামবাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে? সর্বস্ব ত্যাগ করে যে পথ আমি বেছে নিয়েছি, আমার সে পথচলা কি সার্থক হবে?
... ১৩ মার্চ ২০১০ সালে “পড়শী” নামের একটি অনলাইন পত্রিকায় কানাডাপ্রবাসী আইট বিশেষজ্ঞ কামাল চৌধুরী লিখেছেন: প্রতিষ্ঠানটির কর্মী সংখ্যা ১ লক্ষ ২০ হাজার। বার্ষিক খরচ ৫৩৫ মিলিয়ন ডলার। বিভিন্ন মহাদেশের ১৪টি দেশে বিস্তৃত এর কর্মতৎপরতা। বাংলাদেশের সবচে বড় তো বটেই, এমন কি বিশ্বের সর্ববৃহৎ এনজিও-র একটি। বলতে পারেন প্রতিষ্ঠানটির নাম? গ্রামীণ ব্যাংক? ভুল করলেন।
এর নাম ব্র্যাক। প্রতিষ্ঠাতা জনাব ফজলে হোসেন আবেদ। গত বছর পেয়েছেন ব্রিটেনের নাইটহুড, সম্মানজনক পদবী ‘স্যার’। ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান আবেদের জন্ম ১৯৩৬ সালে, সিলেটের হবিগঞ্জে। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে পাড়ি জমান স্কটল্যান্ডে।
ভর্তি হন গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাভাল আর্কিটেকচার বিভাগে। পরে সি.এ (চার্টার্ড একাউন্টেন্সী) পড়েন লন্ডনের ইন্সটিটিউট অভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড চার্টার্ড একাউন্টেন্টস-এ। ১৯৬২ সালে চাকরি জীবন শুরু। ১৯৬৮ সালে ইস্ট পাকিস্তান ফিরে যোগ দেন শেল কোম্পানীতে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে আবার পাড়ি জমান লন্ডনে।
‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ এর ব্যানারে গড়ে তোলেন মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে প্রবাসী আন্দোলন। ডিসেম্বরে আবেদ ফিরে আসেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে। লন্ডনের ফ্ল্যাট বিক্রির টাকা দিয়ে শুরু করেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ তৎপরতা, শরণার্থী পুনবার্সন। এভাবেই জন্ম নেয় ব্র্যাক । সেই ১৯৭২ সালে সিলেটের সুল্লা গ্রামে শুরু হয় যে কাজ, আজ ৩৮ বছর পর তার পরিধি বিস্তৃত দেশের ৬৪টি জেলার ৬৯ হাজার গ্রামে এবং বিশ্বের ১৪টি দেশে ...
আবেদ নৌকায় উঠে স্বস্তি বোধ করে।
মাঝারি সাইজের কোষা নৌকা। সদ্য নির্মিত নৌকাটির শরীর থেকে কাঁচা কাঠের গন্ধ বের হয়। সেই সঙ্গে নদীর গন্ধের সঙ্গে মৃদু আলকাতরার গন্ধ পায় আবেদ। কয়েকটি নৌকার নকশা সে নিজেই করেছে। এক সময় গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাভাল আর্কিটেকচার বিভাগে পড়েছে সে।
নৌবিদ্যার প্রতি ভীষণ ঝোঁক তার। মধ্যযুগে বাংলা জাহাজ তৈরি করত। সেই সব বাঙালি প্রযুক্তিবিদদের রক্ত আবেদের শরীরে বইছে। মধ্যযুগে বাংলা কেবল জাহাজ নির্মাণই করত না, জাহাজ রপ্তানিও করত। হায়, সেই স্বর্ণযুগ কি আবার ফিরে আসবে? ( ২০০৯ সালের পর বাংলাদেশে জাহাজ নিমার্ণ শিল্পের স্বর্ণযুগ ফিরে এসেছে।
এ সময় বাংলাদেশ ইউরোপে জাহাজ রপ্তানী করে এবং এই খাতে (শিল্পমন্ত্রী দীলিপ বড়ুয়ার তথ্য অনুযায়ী ) প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে ) ...
আবেদ চারিদিকে তাকায়। কিছুক্ষণ হল বৃষ্টি থেমে গেছে। ভোজবাজীর মতো মেঘও কেটে গিয়ে হালকা রঙের সোনালি রোদ উঠেছে। বৃদ্ধ নৌকা ছাড়ে।
নাম জিগ্যেস করায় বৃদ্ধ তার নাম বলল: হয়রত আলী।
ছোটখাটো গড়নের বৃদ্ধটির গায়ের রং কালো। পরনে ছেঁড়া গেঞ্জি আর লুঙ্গি। মাথায় গামছা পেচানো। শরীরটি শীর্ণকায়। তবু স্থির অবিচল নিষ্ঠায় বৈঠা বাইছে।
আবেদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে। ভাবে, আমি কি পারব এদের মুখে হাসি ফোটাতে? সর্বস্ব ত্যাগ করে যে পথ আমি বেছে নিয়েছি, আমার সে পথচলা কি সার্থক হবে?
বৃদ্ধ যেন আবেদের মনের কথা বুঝতে পারে। হজরত আলী নামে বৃদ্ধ মাঝিটি সম্ভবত একজন মারাফতি পির। তা না হলে সে কেনই-বা আবেদকে নৌকায় ডেকে নেবে?
মাঝি হঠাৎই যেন উদাত্তকন্ঠে গান ধরে।
কোন মেস্তরি নাও বানাইছে/ কেমন দেখা যায়
আরে ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে/ ময়ূরপঙ্খি নাও ...
এই লোকগানটির কথা ও সুর আবেদকে ভীষণ স্পর্শ করে।
সে অভিভূত হয়ে জিজ্ঞেস করে, মাঝি? এ গান কার?
এই গান বাবা করিম বাউলের।
করিম বাউল?
হ। করিম বাউল। তয় লোকে তারে কয় বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম।
তিনি কি বেঁচে আছেন?
হ।
তা বাউল সম্রাট থাকেন কোথায়? আবেদ ক্ষীণ উত্তেজনা বোধ করে।
করিম বাউলে থাহে দিরাই। মাঝি বলে।
আবেদ জানে হাওর আর বাওরে পরিপূর্ণ দিরাই জায়গাটি সুল্লার খানিকটা উত্তরে । আবেদ বলে, মাঝি তুমি কি বাউল সম্রাটের বাড়ি চিন?
হ।
তার বাড়ি সাবাই চিনে। টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানীর মিটিংয়ে শেখ ছাবে তার গান শুইন্যা তারে দশ হাজার টাকা দিসিল ।
এ কথায় আবেদ অবাক হয়। আবেদ জানে ১৯৫৭ সালে টাঙ্গাইলের কাগমারী সম্মেলনই স্বাধীনতা প্রথম ডাক উঠেছিল। অবশ্য বঙ্গবন্ধু যে বাউল সম্রাটকে দশ হাজার টাকা দিয়েছিলেন এ তথ্যটি জানা ছিল না।
১৯৫৭ সালে দশ হাজার টাকা তো অনেক টাকা। আশ্চর্য! করিম বাউল কি এতই প্রতিভাবান সুগায়ক? তাই হবে । নইলে বঙ্গবন্ধুর মতো মানুষ তাকে কেন এত টাকা দিতে যাবেন। ... আর বৃদ্ধ এসব কথা ঠিকই মনে রেখেছে। আসলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ভীষণ রাজনীতি সচেতন।
এদের ঠকানো সহজ না। এরা কেমন লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে বিবেকহীন পাকিস্তানি জেনারেলদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনল ।
আবেদ বলে, আমারে একদিন বাউল সম্রাটের কাছে নিয়া যাইবেন মাঝি?
মাঝি খুশি হয়। তার মনোবাসনা পূর্ণ হয়। সে মাথা নাড়ে।
বলে, আইচ্ছা। নিয়া যামু।
আবেদ চারিদিকে তাকায়। কী নির্জন বিকেলের নদী ও নদীপাড়। কালনির টলটলে পানিতে শেষ বেলার ঝলমলের রোদ বিছানো।
যেন সোনালি কাঁথা। আর সেই সোনালি কাঁথায় নীল রঙের বিশাল একটি আকাশের ছায়া। দৃশ্যটি বড়ই মায়াবী। এইসব মায়াবী দৃশ্য দেখাবার জন্য বাংলার নারী সচেতন ভাবে মরমি কবির জন্ম দেয় । সুনামগঞ্জ তো মরমি কবিদের দেশ।
বিশ্বনাথের হাছন রাজা, জগন্নাথপুরের রাধারমন ...আর আজ শাহ আবদুল করিম-এর গান শোনার সৌভাগ্য হল । ... গভীর তত্ত্বদর্শী লোকসংগীতের অতুল ঐশ্বর্য ধারণ করে আছে সুনামগঞ্জ, তথা বাংলাদেশ। বাংলার ভাবসম্পদকে হৃদয়ে উপলব্দি করা বাঙালির জীবনের এক পরম মোক্ষ। হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের সভ্যতাসংস্কৃতি মহৎ ও মানবিক। অতুলনীয় সেই সংস্কৃতি লালনের পাশাপাশি এ দেশের মানুষ যদি অর্থনৈতিক ভাবেও সমৃদ্ধিশালী হয়ে উঠতে পারে তাহলে ... তাহলে বাংলাদেশ হয়ে উঠতে পারে সমগ্র বিশ্বের বিস্ময় ... এমনটা ভাবতেই এই শেষ বিকেলের আলোয় আবেদের শ্যামল মুখ থেকে দৃঢ় এক অঙ্গিকারের অভিব্যক্তি বিচ্ছুরিত হতে থাকে ... ঠিক তখনই নীল রঙের আকাশে এক ঝাঁক ধবল বক উড়ে গেল।
... তার অনেক নীচে একজন ধ্যানমগ্ন বৃদ্ধের হাতে বৈঠা। প্রগাঢ় নির্জনে কালনি নদীর পানিতে ছলাত ছলাত শব্দ ভারী ও গম্ভীর শোনায় ...
নৌকা ভেসে চলেছে দিরাই অভিমূখে ।
সময়টা ১৯৭২ সালের বর্ষাকাল ...
ঘটনাটি কাল্পনিক ...
কানাডাপ্রবাসী আইট বিশেষজ্ঞ কামাল চৌধুরীর লেখাটির সূত্র::
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।