বাঙলা কবিতা
হায় উদ্ভ্রান্ত বাতাস, তুমি, প্রণয়ের কথা আজ বলো না আমাকে;
বরং বিলের ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভেসে যেতে দাও দিগন্তের কাছে,
কলমি-লতাদের গাঁয়ে; যেখানে, আকাশ নেমে চুমু খাচ্ছে
ডাহুকের বাদামী পালকে; জ্যোৎস্না দেবী, মহারানী চন্দ্র মা'র
লক্ষ্ণী মেয়েটি, এলায়ে দিয়েছে স্নিগ্ধ চুলের বিন্যাস___
আজ, এই রাত্রির অমল শৈশবে, সেই দেশে ভেসে যেতে দাও,
যেখানে ঢেউয়েরা গীত, যেখানে মঞ্জীর বাজে জলের চরণে !
আহ্লাদে জ্যোৎস্না দেবীকে আজ বিলের চঞ্চল ঢেউগুলি
ঠুমরি শোনাবে আর অদ্ভূত ভঙ্গিমায় নেচে যাবে, পেশাদার
বাঈজীর মত, যতক্ষণ রোদের পুরুষ না-আসবে এখানে!
আজ সারারাত আমি জ্যোৎস্নার অভিমানী চুলে, সান্ত্বনার
বিলি কেটে যাবো, আর দেখবো সে রেশমের মত মখমলে
জমে আছে তেজস্ক্রিয় কতোটা উকুন, বিন্দু বিন্দু
কতো আইসোটোপ, ইউরেনিয়াম-যৌগ...
দ্যাখো, আজ সারারাত, তার চুল সমর্পণের মত পড়ে আছে
কবিতার নির্ভরতা পেয়ে, আমার প্রেমিক কোলে;
হৃৎপিণ্ডের কতো কাছাকাছি ! নিরস্ত্রীকরণের সব রূপকথা
আজ আমি ফাঁস করে দেবো, আমার দেবীর কানে কানে...
গুপ্ত কতো পারমাণবিক চুল্লি থেকে গেছে শান্তির হেড কোয়ার্টারে
জ্যোৎস্নার চুলের রশ্মি ফেলে, আজ রাতে খুঁজে নেবো, সব...
দেখবো শান্তির নামে কারা কতো যুদ্ধ বাধিয়েছে, কারা কতো
মানবাধিকার লুণ্ঠন করে তবু সেসবের ত্রাতা সেজে আছে;
আজ রাতে প্রেয়সী জ্যোৎস্নার চুলে হাত রেখে, উষ্ণতর
প্রণয়ের ছলে, দেখে নেবো মানবিক দুর্দশার সমূহ কারণ-ফলাফল...
জগতের নিরিবিলি এক তুচ্ছ বিলের ওপাশে, জ্যোৎস্নার সাথে
বসে, আজ রাতে, দেখে নেবো, পোশাকের সকল নগ্নতা;
হায় উদ্ভ্রান্ত বাতাস, তুমি, প্রণয়ের কথা আজ বলো না আমায়,
আমাকে নির্বিঘ্ন রাখো, পারমাণবিক এই দুঃস্থ পূর্ণিমায়___
সময় বহিয়া যায়,
সময় বহিয়া যায়,
পৃথিবীতে সময় বহিয়া শুধু যায়...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।