পরমাণু বোমা মুক্ত বিশ্ব চাই !
বর্তমান সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে আলোচিত ও ভয়ংকর বিষয় হল পরমাণু শক্তি । তাই আজ এ বিষয় নিয়ে প্রাথমিক পরিচয় তুওল ধরব।
পারমাণবিক শক্তি কিঃ
পরমাণুর নিউক্লিয়াস কে ভেঙ্গে বা বিভাজন করে যে শক্তি পাওয়া যায়, তাকে পারমাণবিক শক্তি বলে।
পারমানবিক শক্তি কেন্দ্র হলো এমন এক ধরনের কেন্দ্র , যার কাজ পারমাণবিক বিক্রিয়া ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় তাপশক্তি উৎপাদন করা। এ তাপশক্তি ব্যবহার করে বাষ্প উৎপাদন করা হয়।
এ বাষ্প দিয়ে চালানো হয় স্টিম টরবাইন, আর স্টিম টারবাইন দিয়ে তৈরী হয় বিদ্যুৎ
সহজ কথায় , শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতি সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করাই হল পারমানবিক শক্তি কেন্দ্রের মূল কাজ। এছাড়াও বর্তমানে পারমানবিক শক্তিকে চিকিৎসা , উদ্ভিদ ও প্রাণীর জিন পরিবর্তনের কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক দেশ এটা দিয়ে মারণাস্ত্রও তৈরী করেছে। বর্তমানে পৃথিবীতে মোট ৪৪২ টি পারমানবিক প্রকল্প চালু আছে।
পারমানবিক শক্তির সুবিধাসমুহ ঃ
১।
এটির ব্যায়ভার কয়লার সমান , ফলে যে কোন দেশ প্রকল্পটি গ্রহণ করতে পারে।
২। এটি কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরী করেনা , ফলে গ্রীণ হাউস গ্যাস নির্গমন হয়না।
৩। অল্প জ্বালানি ব্যবহার করে প্রচুর জ্বালানি শক্তি উৎপাদন করা যায়।
৪। খুব সামান্য বর্জ্য সৃষ্টি হয়।
৫। পরমাণু জ্বলানি শক্তিকেন্দ্র অপেক্ষাকৃত স্থায়ী এবং নির্ভরযোগ্য।
পারমানবিক শক্তির অসুবিধাসমুহ ঃ
১।
স্বল্প ব্যয় হলেও প্রকল্পটি অতিমাত্রায় বিপদজনক।
২। প্রকল্প বিস্ফোরিত হলে দীর্ঘদিন সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রভাব থাকে এবং তৎক্ষনাৎ বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
৩। এটির নিরাপত্তার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যায় করতে হয়।
৪। এটি অপব্যাবহারের সম্ভাবনা থাকে , যেমন- বোমা তৈরী। জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।