শৃঙ্খল হতে মুক্তির লড়াইয়ে যুক্ত থাকতে চাই
PPP (Public Private Partnership) এর প্রথম নিদর্শন হচ্ছে ইংল্যান্ড যার পরিনতি আপনারা একটু খোজ করলেই দেখতে পারবেন। সাম্প্রতিক সময়ে ইংল্যান্ডের ছাত্র আন্দোলন তার উদাহরণ। আমাদের দেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবিরা বলতেন উন্নত দেশে নাকি ছাত্র রাজনীতি নেই। তাদের জন্য এটি একটি উদাহরণ। যেখানেই অধিকারের সঙ্কট সেখনেই সংগ্রাম হবে এটাই নিয়ম, সে হোক ঢাকা বা লন্ডন।
যা হোক, যা বছিলাম বাংলাদেশেও এখন শিল্প ও সেবা খাতগুলোকে PPP (Public Private Partnership)-এর আন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যেই শিক্ষাকে বাজার থেকে কিনে নেওয়া পণ্যে পরিণত করার লক্ষ্যে PPP-এর আন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে। গত ৮ এপ্রিল, ২০১০ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-এ আয়োজীত CSE Carnival-এ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন যে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে PPP (Public Private Partnership)-এর মডেল হিসেবে দাড় করাতে। অর্থাৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় করার মডেল হবে শাবিপ্রবি। কিন্তু এই পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে North South university মত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আর বাংলাদেশের ৩১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন কাঠামো হবে এক ও অভিন্ন।
এতে করে বাংলাদেশের মত অনুন্নত দেশে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণী ছাড়া কেউ উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবে না। প্রকৃতপক্ষে এটি UGC-র ২০০৬ থেকে ২০২৬ সাল মেয়াদী কৌশলপত্র বাস্তবায়নের একটি নতুন পন্থা। এরই ধারাবাহিকতায় দেখা যাচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেতন অত্যাধিক এবং অন্নান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও বিভিন্ন খাত দেখিয়ে বেতন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে যেমনটি ঘটে গেল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্বব্যাংক, IMF-এর নির্দেশে শিক্ষা সংকোচনের এসকল নীতি বাস্তবায়ন হলে ছাত্রদের মধ্যে বড় অংশ উচ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।
তাই এসকল আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পরিকল্পনা রুখে দারাতে ছাত্রসমাজের জোড়ালো অবস্থান নিতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।