আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নারী + বিদ্বেষ = নারীদ্বেষ ( (শেষ পর্ব) (কেবল মাত্র পুরুষদের জন্য, নারীগন নিজ দ্বায়ীত্বে পড়িবেন)

জন্মের প্রয়োজনে ছোট ছিলাম এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি

নারী শব্দখানার যথার্থ অর্থ কি ? কেহ কি বলিতে পারিবেন? কিন্তু তাহার যে রুপ প্রত্যহ অবলোপন করি তাহাতে "নারী" পাল্টাইয়া "ঝারি" রাখিলেই বেশ হইত। এরুপ বলিবার পেছনেও বিশেষ কারন রহিয়াছে। তাহাই বলিতেছি... ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়াইয়া থাকিয়া কোমরের ব্যামো বাধাইয়া ফেলিয়াছি। কিন্তু কোন কালেও বুঝিতে দেই নাই যে তাহাতে আমি বিশেষ পরিমানে বিরক্ত হইয়াছি এবং রাগান্বিতও হইয়াছি। কিন্তু কস্মিনকালে যদি মিনিট ৫ এর জন্য দেরি হইত তবে আমার অতীত বর্তমান ভবিষ্যত এক করিয়া তুলিত... পথচারীরা অবাক দৃষ্টিতে তাকাইয়া থাকিত... আর যিনি সেই বক্তৃতার মঞ্চে একটানা বলিয়া যাইতেন তিনি ... একজন "নারী" অতঃপর মান ভাঙ্গাইতে হইত বিশ্ব বিধাতার কসম কাটিয়া পারিলে নাকে খত দেওয়াইতেও দ্বিধা বোধ করিত না।

অতীত ইতিহাস এর কথা না হয় বাদ ই দিলাম। বর্তমান এর কথা বলি। অদ্য প্রাতে কেবল মাত্র নিদ্রা ভঙ্গ হইয়াছে। এখনো তন্দ্রা টুকুও কাটেনাই। রাতের স্বপ্নের ঘোর তখনো কাটেনাই।

হঠাৎ তাহার দিকে চোখ পড়িতেই ধরমর করিয়া উঠিলাম। এক জোড়া রক্তচক্ষু যেনো আমাকে ভস্ম করিয়া ফেলিবে। কি হইল? কিছু কি ভুল করিয়াছিলাম... "পানি নাই" ঝাঁঝের সহিত বলিল.... "তাহাতে আমি কি করিতে পারি? আমি কি ওয়াশার লোক নাকি? নাকি আমি বাড়ি বাড়ি পানি লইয়া ঘুরিয়া বেড়াই" মনে মনে বলিলাম। কিন্তু তাহা উচ্চারনের সাহস পাইলাম না। পাইব কি করিয়া।

তাহা যদি বলিতাম তবে পাড়া প্রতিবেশীও জানিতে পারিত যে এই গৃহে আজ পানি নাই। যা হোউক কোন মতে একখানা ব্যবস্থা করিয়া মনে মনে প্রমোদ গুনিয়া আপিস আসিলাম। চায়ের কাপে দু-চুমক দিয়েছি মাত্র। মুঠোফোন যুদ্ধের দামামার মত বাজিয়া উঠিল। বীনিত ভাবে গলায় মধু ঢালিয়া মুঠোফোন ধরিলাম।

কিন্তু বীধিবাম। তীব্র কন্ঠ কর্নে শেল এর মত আসিয়া বিধিল। "গ্যাস নাই। কি বাসা ভাড়া নিলা। আগে থেকে জানতে বলি কানে তো তুলোনা।

" পাঠক বৃন্দ, দিব্যি কাটিয়া বলিতেছি। বাসা আমি ভাড়া নেই নাই। সেই তাহার নিজ ইচ্ছায়, যাচিয়া বাছিয়া লইয়াছে। যতদিন ভাল ছিল সে সকলকে বলিয়া বেড়াইয়াছে তাহার পছন্দের ভুল হইতে পারেনা। অদ্য যখন সমস্যার সৃষ্টি হইয়াছে তৎক্ষনাৎ স্মৃতিভ্রষ্ট হইয়া আমাকে শুলে চড়াইতেছে।

ইহা তো ইত্যকার ঘটনা হইয়া যাইতেছে। কোন কালে বাজার করিয়া আসিলে বলিয়া উঠিবে দোকানদার আমাকে ঠকাইয়াছে। যদি দাম কম বলি তবে বলিবে পচা জিনিস ধরাইয়া দিয়াছে। সে বেশি দাম দিয়া সেই জিনিস আনিলে তাহা এমন ভাবে বলিতে থাকিবে যেন তাহার জন্যই বিশেষ ভাবে তৈরি হইয়াছে। আর অদ্য (৩০ ডিসেম্বর) পত্রিকায় পড়িলাম "স্ত্রীর ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের হাতে স্বামী আহত".... কলিকালেও বোধকরি এইরুপ সংবাদ প্রকাশ পাইতো না।

নারীগনের কিছু চারিত্রীক বৈশিষ্ট যাহা সকলের মাঝেই প্রকট ভাবে রহিয়াছে তাহা এইরুপ: ১. তাহারা সর্বদা নিজেকে অনেক বুদ্ধিমতী বলিয়া মনে করেন কিন্তু বাস্তবিক অর্থে তাহাদের মাথায় যদি কিছু গোবর ও থাকিতো তাহা হইতে কিছু জৈব সার উৎপাদিত হইত... কেবলই অন্তঃস্বার শূন্যতা। ২. দুই নারী যদি একত্রে থাকে তবে কি হইতে পারে? প্রথমে চেষ্টা করিবে তাহারা নিজ প্রেমিক অথবা স্বামী অন্যের চাইতে কত ভাল (তার মানে হইতেছে কত খানি বশীকৃত) তাহার উপস্থাপন করা। আর ক্ষানিক পর যখন নিজেদের মধ্যে সখ্যতা বাড়িয়া যায় তখন শুরু হয় প্রেমিক / স্বামীর নম্ডুপাত করা। ৩. তিন নারী যদি একত্রিত হয় তবে যে কোন দুইজন মিলিয়া অপর নারীর শ্লীলতাহানীর (বাক্য দ্বারা) কিছু মাত্র বাকী রাখেনা। ৪. প্রত্যেক নারী নিজেদের অপর নারীর চাইতে সর্বদিক দিয়া নিজেকে সর্বত্তোম মনে করিয়া থাকে।

৫. প্রত্যেক নারীর আরেকটা বিশেষ গুন রহিয়াছে। তাহারা সর্বদা ইনসিকিউরিটি সমস্যায় ভুগিতে থাকে। কোন কুলক্ষনে যদি আপন প্রেমিক / স্বামীর সহিত অপর কোন নারীকে দেখিতে পায় অথবা কথা বলিতেও শুনে তবে যেন সাক্ষাৎ যমদূত নামিয়া আসে। কি তাহাদের ভাবনা, কি তাহাদের প্রকাশ ভঙ্গি তাহা কেবল ভূক্ত ভোগীরাই বলিতে পারে। ৬. নারীগন কখনোই ভুল করেন না।

আর তাই তারা কখনোই দুঃখ প্রকাশ ও করেন না। ৭. তাহারা সর্বদাই সিদ্বান্তহীনতায় ভুগেন। কাহাকে প্রেমিক হিসেবে লইব... কাহাকে বিবাহ করিব.... কি পড়িব... কি খাইব..... কিছুই ঠাওর করিয়া উঠিতে পারেন না। ৮. দোকান তাহাদের অতি প্রিয় জায়গা। এক জিনিস কিনিবার জন্য তাহারা ১০০ দোকান ঘুরিবে।

এমনকি কোন জিনিস পছন্দ হইলেও অন্য দোকানে গিয়া তাহা বারংবার যাচাই করিবে। এবং দিন শেষে যাহা কিনিবে তাহা লইয়া কোনকালেই সন্তুষ্ট হইতে পারিবে না। ৯. ঝগড়া তাহাদের সবচেয়ে প্রিয় কর্ম। তাহাতে পারদর্শীতার কোন সীমা নাই। ইহাকে কতখানি বর্নিল করা যায় তাহা কেবল নারীরই বলিতে পারেন।

এই বিষয়ে নিজের একখানা অভিজ্ঞতার কথা বলি। একদা আমি টিভি চ্যানেলে কিয়দকাল কর্ম করিয়াছিলাম। নাটকের কোন দৃশ্যে যদি প্রেমের কোন সংলাপ থাকিত তবে তাহা বুঝাইতে গিয়া মোটামুটি চুল ছিড়িবার উপক্রম হইত....। এই ভাবে বলিতে হইবে, এই ভাবে তাকাইতে হইবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু যদি কোন ঝগড়ার দৃশ্য থাকিত তবে কেবল বলিতাম ঝগড়া করিতে হইবে।

আমি মুগ্ধ হইয়া তা দেখিতাম... প্রথম টেকেই শট ওকে। ১০. নারীরা জন্মলগ্নেই তিনটি গুন লইয়া পৃথিবীতে আসিয়াছিল.. ১. মাতৃত্ব, ২. রান্না, ৩. ঝগড়া.. বিধাতা হয়ত তাহাদের সৃষ্টির সময় ভালবাসার তুলি খানা খুজিয়া পান নাই। আর কত লিখিব? লিখিতে লিখিতে সার্ভারের সমস্ত স্টোরেজ শেষ হইয়া যাইবে তবু বলা শেষ হইবে না। বলিবেন তাহলে যুগে যুগে যে অমর প্রেম কাহিনী রচিত হইয়াছিল তাহার কি হইবে ? পড়িয়া দেখুন... তাহাতে প্রান বিনাশ আগে কাহার হইয়াছিল... রোমিও, মজনু, ফরহাদ, দেবদাস.... আমাকে নারী বিদ্বেষী বলিয়া... দেখিয়া লইবে বলিয়া হুমকি দেয়া হইতেছে। দিব্যি কাটিয়া বলিতেছি... আমি নারী বিদ্বেষী নই।

আমি সর্বদাই নারীর পূজো করিয়া আসিয়াছি। কিন্তু তাহাদের অর্বচীনাতয় কতকাল আর ক্ষোভ প্রশমিত করিয়া রাখিব ? কাহাকেও বলিতে পারিনা। তাই ব্লগে আসিয়া বলিতেছি। আমি ইহাও জানি... যদি কস্মিনকালে ইহা জায়গামত চলিয়া যায় বা গুনাক্ষরেও জানিতে পারে তবে সামুকে মামু ডাকিয়া এক বস্ত্রে গৃহত্যাগ করিয়া চলিয়া আসিতে হইবে। তাই ইহাই নারীকে লইয়া শেষ লেখা বলিয়া ক্ষান্ত দিতাছি (আপাততঃ)।

তবে বলিবার মত / জানাইবার মত যদি কোন ঘটনা জমিয়া যায় তবে আবার বলিব। যাহারা প্রথম পর্ব পড়িতে পারেন নাই: Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.