মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন....
আমাদের দেশের প্রধান আয় মূলত দুটি। এক, রেডিমেড গার্মেন্স ও নীটওয়্যার রপ্তানী ও দুই, বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিটেন্স। যদিও বছর শেষের হিসাবের খাতায় গার্মেন্স ও নীটওয়্যার রপ্তানী বাবদ প্রচুর আর দেখানো হয় তবুও তার সবটুকুই নীট ইনকাম নয়। কারন এসব শিল্পের বেশীরভাগ কাচামালই বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। সেদিকদিয়ে হিসেব করলে রেমিটেন্সের সবটুকুই আয় এবং রেমিটেন্সই হচ্ছে আমাদের দেশর অর্থনীতির প্রধান শক্তি।
যেসব বাংলাদেশী লোকেরা বিদেশে কাজ করছেন তারাই রেমিটেন্সর উৎস। গত কয়েক বছের জনশক্তি রপ্তানীর অবস্থা ভালো থাকলেও এখন তা ধ্বংসের পথে। সেনা সমর্থিত অগনতান্ত্রিক সরকারের সময়ও যেখানে বছরে ৮ লাখের বেশী লোক বিদেশে যেত সেখানে এখন দেশপ্রেমী, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি, জনদরদী গনতান্ত্রিক সরকারের আমলে বছরে জনশক্তি রপ্তানী ৪ লাখে (মানে প্রায় অর্ধেকে) নেমে এসেছে।
কিন্তু কেন?? দিন দিন বিদেশে আমাদের শ্রম বাজার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কেন?? এ নিয়ে সরকারের কোন মাথাব্যাথা নেই। জননেত্রীর একজন নিকটআত্মীয়কে প্রাবাসী কল্যান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে।
তিনি কি করছেন না করছেন সে খবর কে নেয়?? দেশ রসাতলে যাক তাতে কী?? সরকারের এসব নিয়ে কোন চিন্তা নেই। সরকার আছে নতুন বিমানবন্দর নিয়ে। ৫০০০০ কোটি টাকা খরচ করে নতুন বিমানবন্দর নির্মান করা হবে। সেই বিমানবন্দর দিয়ে আমাদের কি হবে?
যদি জনশক্তি রপ্তানী বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বিমানবন্দর দিয়ে আমাদের কি হবে। আমাদের দেশে তো পর্যটকরাও তেমন একটা আসেন না।
তাহলে নতুন বিমানবন্দর কারা ব্যবহার করবে??? শুধুমাত্র সরকারী টাকায় সরকারী কর্মকর্তাদের বিদেশভ্রমনের জন্যই কি আরো একটি বিমানবন্দের দরকার??? নাকি এখনকার ভিআইপি লাউন্জে ভিআইপিদের জায়গা হচ্ছে না এজন্য আরেকটি বিমানবন্দের দরকার???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।