আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জনশক্তি রফতানি খাত



জনশক্তি রফতানি খাতঃ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বাধীন বিশ্ব পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় বিশ্ব মন্দার হাত থেকে জনশক্তি রফতানি খাতকে রক্ষার জন্য ড. ফখরুদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনও কার্যক্রম বা কর্মসূচি নিয়েছে বলে জানা যায়নি। ১৪ দলীয় মহাজোট সরকারও এখন পর্যন্ত তেমন কোনও উদ্যোগ নেয়নি। অবশ্য প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর নেতৃত্বে শিগগিরই একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ সফরে যাবে বলে জানা গেছে। তারা জনশক্তি রফতানির নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার সঙ্গে সঙ্গে ওইসব দেশে যাতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয় ও কাজ পায় তার চেষ্টা চালাবে। সরকারের এই উদ্যোগ যথেষ্ট নয়।

কারণ বাংলাদেশ যেসব দেশে শ্রমশক্তি রফতানি করে সেসব দেশও মন্দার সম্মুখীন হওয়ায় শ্রমিক আমদানি কমিয়ে দিয়েছে অথবা শ্রমিক ছাঁটাই করছে। এ জন্য প্রয়োজন নতুন শ্রমবাজার খোঁজা এবং সেসব দেশের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করা। অথচ গত কয়েক বছর ধরে নতুন কোনও দেশের সঙ্গে শ্রমশক্তি রফতানির ব্যাপারে বাংলাদেশের চুক্তি হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, নতুন নতুন দেশের সঙ্গে শ্রমশক্তি রফতানি প্রশ্নে চুক্তি না হলে রেমিটেন্স ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এক পরিসংখ্যানেও দেখা গেছে যে, ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে যেখানে ৯১ হাজার ৯শ ৯৯ জন কাজ নিয়ে বিদেশে গেছে, সেখানে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে বিদেশে গেছে ৫০ হাজার ৬শ ৩২ জন।

একইভাবে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৭১ হাজার ৭শ ১৬ জনের বিপরীতে ২০০৯ সালে কাজ নিয়ে বিদেশে গেছে ৪৩ হাজার ৮শ ৫৬ জন। এই দু' মাসের পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে শ্রমশক্তি রফতানি কী পরিমাণে হ্রাস পাচ্ছে। স্বভাবতই এর ফলে রেমিটেন্স আসার পরিমাণও উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে। জনশক্তি রফতানিকারী এজেন্সিগুলোও বলেছে যে, নতুন নতুন দেশের সঙ্গে চুক্তি করে জনশক্তি রফতানি না করা গেলে এই খাতে বিপর্যয় নেমে আসবে। এ জন্য প্রয়োজন দ্রুত সরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.