আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আত্মদহন

আমিও সুরের মত মিলিয়ে যাবো। ততদিন পর্যন্ত পাওয়া যাবে paintlove@gmail.com এ...

খুব বেশী কথা বলতে চাই না। আমি এ বিষয়ে লেখার যোগ্য কি না তা চিন্তা করতে করতে বেশ কয়েকটা দিন পার করলাম। যোগ্য হই বা না হই...লেখাটা আমার কর্তব্য মনে হলো। দুইটা ছবি পোস্ট করলাম।

১৬ ডিসেম্বর ২০১০ এর ছবি। সকালে গিয়েছিলাম শহীদ মিনার। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বিজয় রেলীতে অংশ নিতে। প্রথমত মাইকে বাজছে দেশাত্মবোধক গান, যার প্রতিটি লাইনে ভুল গাওয়া হচ্ছে। একটা জাতীয় উৎসবে কি করে এমন গান বাজানো হয় যার কথা ভুলে ভরা।

দেশের শীর্ষ সাংস্কৃতিক নেতারা উপস্থিত। অথচ তারা বিষয়টি খেয়াল করেছেন বলে মনে হলো না। তাদের সামনে দিয়ে একের পর এক মানুষ জুতা নিয়ে শহীদ মিনারে উঠছে তাদের সেদিকে কোনো মাথাব্যথাই নেই। প্রথমত, আমরা মুখে অনেক বড় বড় কথা কপচাই। দেশ উদ্ধার করি।

সংস্কৃতির জোয়ারে দেশকে ভাসিয়ে নিয়ে যাই। অথচ প্রাণে তা ধারণ করি না। দ্বিতীয়ত, শুধু মাতৃভাষা দিবসেই আমরা শহীদ মিনার ধুয়ে মুছে যত্ন নিবো। বড় বড় কথা বলবো, কঠোর প্রহরার ব্যবস্থা করবো, জুতা পরে যে ওঠা যায় না বার বার মনে করিয়ে দিবো। আর ২১ ফেব্রুয়ারী চলে গেলেই সব শেষ।

জুতা নিয়ে উঠবো। বাদাম খেয়ে নোংরা করবো। প্রেমিকা নিয়ে ডেটিং মারবো। রাতের আধারে অনৈতিক কাজ করবো। একই কথা স্মৃতিসৌধ এর ক্ষেত্রেও।

এমনকি একটি জাতীয় দিবসে যারা সংস্কৃতির চর্চা করি তাদের উপস্থিতিতেও এরকম অবস্থা দেখে খুব খারাপ লাগলো। ছবি তুললাম। ইচ্ছা ছিলো বিষয়টা নিয়ে পত্রিকাতে কিছু যদি লেখা যায়। কিন্তু সারাটা দিন কেমন অস্থিরতায় ভুগেছি। নিজেকে প্রশ্ন করেছি।

আমি নিজে কি করছিলাম দাড়িয়ে দাড়িয়ে। আমি নিজে কোন সংস্কৃতির কথা বলছি মুখে? আত্মদহনে পুড়েছি। আমার কোনো অধিকার নেই এ বিষয়ে লেখার। আর দশটা "মানুষ থেকে গন্ডারে" পরিণত হওয়া সদ্য গন্ডার আমি। এখন পর্যন্ত পুড়ছি।

দায়িত্ববোধ থেকে তাই লিখতেই হলো। যেটা লেখার কথা ছিলো হয়তো ১৬ ডিসেম্বর সেটা আজ ২৯ ডিসেম্বর এসে লিখছি। ক্ষমা প্রার্থী।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।