আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংলাপে বসতে ফের আহ্বান শেখ হাসিনার

সংলাপে বসার যে আগ্রহ ইতোপূর্বে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো, সেই অবস্থান এখনো রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা শনিবার গণভবনে দলের মানিকগঞ্জ জেলার নেতাদের সঙ্গে সভায় বক্তব্যে সংলাপের আহ্বান বিরোধী দলকে পুনর্বার জানান।
“আমার সংলাপের আহ্বান এখনো অব্যাহত আছে। এই ধরনের তাণ্ডব বন্ধ করে সংসদে এসে কথা বলুন। ”
সংঘাত এড়াতেই সরকার আলোচনার পক্ষপাতি বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।


“উনার তাণ্ডব দেশবাসী দেখেছে। এই তাণ্ডবের জবাব দেয়ার ক্ষমতা আওয়ামী লীগের রয়েছে। কিন্তু দেশকে আওয়ামী লীগ সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে চায় না। ”
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর চিহ্নিত হত্যাকারীকে জাতীয় সংসদের উপনেতা করা, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের ওপর নির্যাতনের পরও সংলাপ চান তিনি।
“আমি বললাম, আসুন আলোচনা করি।

উনি জবাবে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলেন। সরকার উৎখাত করতে চাইলেন। বললেন, পলানোর পথ পাবো না। এখন পথ হারালো কে?
গত ২ মে প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের আরেকটি সভায় বক্তব্যে বিরোধীদলীয় নেতাকে সংলাপের আহ্বান জানান।
আগামী নির্বাচন নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে শেখ হাসিনার এই প্রস্তাবের পর বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি মেনে নেয়া হলেই কেবল সংলাপ হতে পারে।


এরপর ৪ মে খালেদা জিয়া মতিঝিলের সমাবেশে বক্তব্যে কার্যত সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন।
বেঁধে দেয়া ওই সময়ের মধ্যে হেফাজতে ইসলাম ৫ মে ঢাকা অবরোধের পর রাজধানীর পল্টন এলাকায় তাণ্ডব চালায়। এরপর মতিঝিলে তারা অবস্থান নিলে রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের তুলে দেয়।
সরকারকে উৎখাত করাই বিএনপির সমর্থন পাওয়া হেফাজতের ওই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিলো বলে দাবি করে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম শেষ হওয়ার পর বিএনপির নতুন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা না করার প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনার এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

আমি জানি, আপনি ব্যর্থতার গ্লানিতে বিধ্বস্ত ও বিক্ষুব্ধ। আপনার আলটিমেটাম ব্যর্থ হয়েছে, আপনি ফেল করেছেন। আপনি এগুলো পরিহার করুন। ”
আসছে বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। আগামী মাসে বাজেট অধিবেশন শুরু হবে।


সদস্যপদ টিকিয়ে রাখতে চাইলে বিএনপিকে ওই অধিবেশনে যোগ দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বিরোধীদলকে আর হরতাল না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “হরতাল দিয়ে গরিবের পেটে লাথি মারবেন না। ”
শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ বিবেচনায় নিয়েও এইচএসসি পরীক্ষার এই সময়ে হরতাল না দিতে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের কর্মসূচিতে সফল করতে গাছ কাটা এবং রেলসহ যানবাহনে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জামাতের ক্যাডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছেন। ”
বর্তমান সরকারের সময়ে জাতীয় সংসদের ১৬টি উপ-নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার পর্যায়ে হয়ে যাওয়া প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মেয়র হয়েছেন।


বগুড়ার দুপচাচিয়ার তালোড়ায় গত ৮ মে হয়ে যাওয়া পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী জয়ী হওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন এবং জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি। ”
“জনগণ যাকে ভোট দেবে- সে জিতবে। নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ অতীতে খেলা করেনি। ভবিষ্যতেও করবে না। ”


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।