তোমাকে ভাবাবোই
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
সরকারদলীয় এমপি গোলাম মওলা রনি বলেছেন, নরসিংদী ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে যোগাযোগমন্ত্রী ও সচিবের পদত্যাগ করা উচিত। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে সৈয়দ আবুল হোসেন যোগাযোগমন্ত্রী এবং মো. মোজাম্মেল হক খান যোগাযোগ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বৃহস্পতিবার যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তাদের পদত্যাগের দাবি করেন তিনি। গত ৮ ডিসেম্বর নরসিংদী রেলস্টেশনে আন্তনগর ট্রেন চট্টলা এক্সপ্রেস ও মহানগর গোধূলীর মধ্যে সংঘর্ষে ৩০ জন নিহত হয়।
ওই দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ রেলওয়ে ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি তদন্ত প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার সংসদীয় কমিটি গ্রহণ করেনি।
বরং অধিকতর তদন্তের জন্য পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মওলা রনিকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠক শেষে রনি সাংবাদিকদের বলেন, "অনেক দেশেই এ ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনার পর যোগাযোগ মন্ত্রী ও সচিব পদত্যাগ করেন। যোগাযোগ মন্ত্রী ও তার সচিবের পদত্যাগ করা উচিত। "
তিনি বলেন, সংসদীয় কমিটি বাংলাদেশ রেলওয়ে ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট নয়।
বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি শেখ মুজিবর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "তাই সত্য উদ্ঘাটনে আমরা তিন সদস্যের একটি উপ-কমিটি গঠন করেছি।
" উপ-কমিটির অপর দুই সদস্য হচ্ছেন- আওয়ামী লীগের সাংসদ জিল্লুল হাকিম ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি'র সাংসদ নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
কমিটির সদস্যরা জানান, বৈঠকে যোগাযোগ মন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি রেলযাত্রী ও রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্টেশনগুলোর ভেতরে ও বাইরে ভাসমান চা বিক্রেতাদের উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন দুটোতে বলা হয়েছে, ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন চট্টলা এক্সপ্রেস এর চালক ও তার সহকারী এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। কারণ, তারা প্লাটফর্ম সংলগ্ন লাইনে প্রবেশের সময় বিপদ সঙ্কেত অমান্য করেছেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, চট্টলা এক্সপ্রেস এর চালক ও তার সহকারী ভৈরব রেল স্টেশন থেকে চা নিয়েছিলেন।
ওই চা পানের পর তারা দুজনই অচেতন হয়ে পড়েন, যার ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।