ধুমপানে বিষপান
পাখির মতো গান গাইতে পারে এমন ইঁদুর আবিষ্কার করেছেন জাপানের জীববিজ্ঞানীরা৷ মূলত রূপান্তর প্রক্রিয়ায় কীভাবে বিবর্তন ঘটে তা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়েই আকস্মিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে এই গান গাওয়া ইঁদুর৷
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই ইঁদুর থেকে হয়তো একটা ইঙ্গিত পাওয়া যাবে ভাষার মাধ্যমে মানুষের অভিব্যক্তি প্রকাশের রহস্যের৷ বিবর্তিত ইঁদুর প্রকল্পের কাজ করছিলেন জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা৷ বেশ কিছু ইঁদুরের দেহে জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে রূপান্তরের প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা৷ এসময় একদিন লক্ষ্য করেন যে, একটি ইঁদুর গান গাইতে পারছে৷
গবেষক দলের প্রধান অ্যারিকানি উচিমুরা বলেন, ‘‘রূপান্তরই বিবর্তনের অন্যতম চালিকা শক্তি৷ তাই আমরা বেশ কিছু ইঁদুরের কয়েক প্রজন্মের উপর জিনগত রূপান্তরের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছিলাম৷ নবজাতক প্রত্যেকটি ইঁদুরকেই আমরা পরীক্ষা করে দেখছিলাম৷ হঠাৎ এদের মধ্যে একটিকে গান গাইতে শোনা গেল৷ এতে আমি বেশ আশ্চর্য হই৷ কারণ আমি আশা করেছিলাম তাদের দেহের আকৃতিতে কিছুটা ভিন্নতা৷ সেটিও ঘটেছে৷ যেমন এগুলোর মধ্যে একটি ইঁদুর ছানা ছোট ছোট হাত-পা এবং লম্বা লেজবিশিষ্ট কুকুরের আকৃতি পেয়েছে৷ কিন্তু একইসাথে পাখির মতো গান গাইতে পারা ইঁদুর ছানাও জন্ম নিয়েছে৷''
জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের ঐ গবেষণাগারে এখন এই অদ্ভুত ধরণের গান গাইতে পারা ইঁদুর ছানা রয়েছে একশ'টিরও বেশি৷ বিজ্ঞানীরা এখন এদের উপর গবেষণা চালাতে চান মানুষের কথা বলতে পারার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের কথা বলতে পারার রহস্য খুঁজে পেতে অন্যান্য দেশে গবেষণা চালানো হচ্ছে গান গাওয়া পাখিদের উপর৷ তবে স্তন্যপায়ী প্রাণী ইঁদুরের সাথে মানুষের মিল বেশি থাকায় এসব ইঁদুর থেকে এই রহস্য উদ্ঘাটন সহজতর হবে৷ কারণ ইঁদুরের মস্তিষ্কের গঠন এবং অন্যান্য দৈহিক বৈশিষ্ট্যের সাথে মানুষের অনেক মিল রয়েছে৷
উচিমুরা বলেন, ‘‘এটা শুনতে খুব আশ্চর্য মনে হলেও আমি এখন স্বপ্ন দেখছি একদিন সত্যিকারের জীবন্ত ‘মিকি মাউস' বানিয়ে ফেলার৷"
DEUTSCHE WELLE থেকে কপি পেস্ট প্রযোজনা!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।