আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পায়ে কাঁচের টুকরো ঢুকেছিল

আমার ব্যক্তিগত ব্লগ

সকালে নাস্তা বানাচ্ছিলাম, পরোটা আর সব্জি মালাইকারী। আর শাফিনের (আমার ২ বছর বয়সী ছেলে) জন্য হরলিক্স দিয়ে দুধ। কিন্তু মহারাজার ধৈর্য কোথায়। একবার বলে কোলে উঠব, একবার ওর সাথে চেয়ারে একবার টেবিলে বসতে বলে, একবার বলে এখুনি খাবার দাও। ওকে শান্ত করে ভুলিয়ে নাস্তা বানাচ্ছি।

এর মধ্যে ও কাপ আর চামচ নিল রান্না করবে। কিছুক্ষনের মধ্যে কাপ চুরমার। আমি কিছু করার আগেই পা নামিয়ে বলল পায়ে ময়লা লেগেছে। আর কান্নাকাটি। যা ভয় পেয়েছি তাই হলো, পায়ে কাঁচ ফুটিয়েছে।

এতো ছোট গুড়ো যে খালি চোখে দেখতে পাচ্ছিলাম না। ওকে টেবিলে বসিয়ে টর্চ নিয়ে হাত দিয়ে হালকা বুলিয়ে আন্দাজ করলাম ঠিক কোথায় কাঁচটা। ভেবে দেখলাম ডাক্তারের কাছে নিয়ে লাভ নেই ডাক্তারও দেখবে না, ততক্ষনে কাঁচ আরোও ভিতরে ঢুকবে, আর শাফিন আর কাউকে ধরতে দিবে না। আমারও হাত ধরে বার বার টানছিল আর কাঁদছিল ব্যাথা লাগে বলে। এবার সেফটিপিন ফুটানো পানিতে ধুইয়ে নিলাম, স্যাভলন মলম আর ব্যন্ডএইড নিয়ে অপারেশনে বসলাম।

টর্চ ধরে অনমান করে সেফটিপিন দিয়ে হালকা টোকা দিয়ে কাঁচ ফেলে দিলাম। বার বার হাত বুলিয়ে দেখলাম আরও কাঁচ আছে কিনা, শাফিনকে বললাম ব্যাথা লাগে? ও কান্না থামিয়ে বলল, "না"। স্যাভলন মলম লাগিয়ে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দিলাম। আর জুতা পরিয়ে দিলাম যাতে খালি পায়ে আর হাটতে না পারে। এখন মনে হয় মোটামুটি শুকিয়ে গেছে।

ব্যান্ডেজ খুললেও যতদূর সম্ভব জুতা পরিয়ে রাখছি। ও লাফও দিচ্ছে। তবে পা মাটিতে সব সময় লাগায় না, একটু তুলে রাখে। আমি আলতো করে হাত বুলিয়ে ওকে জিগ্যেস করেছি, এখনও ব্যাথা লাগে? ও বলেছে, না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।