পোশাকের পাশাপাশি পায়ের জুতাটাও হওয়া চাই ফিটফাট। তাহলেই না হবে পরিপূর্ণ ফ্যাশন। আর এখনকার চলতি ধারায় জুতাটা হতে পারে রঙিন। টি-শার্টের সঙ্গে মিলিয়ে অনেকেই রঙিন জুতা পরছেন আজকাল।
মডেল ও অভিনেতা নিরবের সঙ্গে কথা হয় এ নিয়ে।
ওহো নামের একটি ফ্যাশন হাউসও আছে তাঁর। তিনি জানালেন, ‘একটা ছেলে যখন হাঁটে, তার পায়ে রঙিন জুতা থাকলে সহজেই সেদিকে অন্যের চোখ টানে। তা ছাড়া পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে রঙিন জুতা আমারও পছন্দের। তাই রঙিন জুতা পরি। ’বাজার ঘুরেও দেখা গেল নানা রঙের জুতা।
দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন রঙের জুতার ভেতর উজ্জ্বল রংগুলোই অনেকেই পছন্দ করছেন। কেউ কেউ আবার পরছেন একটু উঁচু হিলের রঙিন জুতা। ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের জুতা বিক্রেতা আজাহার হোসেন বলেন, ‘বাদামি-কালোর বাইরে লাল, হলুদ, সবুজ, কমলা, নীল ইত্যাদি রঙের জুতাগুলো অনেকেই পছন্দ করছেন। জুতার নিচের দিকে গোল আকারে এক রং আর ওপরে অন্য রং এমন জুতাও আছে অনেকের পছন্দের তালিকায়। অনেকে আবার একরঙের জুতার সঙ্গে বিভিন্ন রঙের ফিতা কিনে নেন।
একেক সময় একেক রঙের ফিতা পরেন। ’
রঙের পাশাপাশি জুতাটা পরে আরাম কি না, সেদিকেও নজর আছে ক্রেতাদের। কাপড়ের জুতা ছাড়াও তাই অনেকে হালকা ধাঁচের জুতা বেছে নেন। অনেকে আবার পায়ের গোড়ালি ছাড়িয়ে একটু ওপর দিকে বাড়ানো জুতা কিনছেন। জুতার সোলেও তরুণেরা চান ভিন্ন ঢং।
সব মিলিয়ে জুতাটা হতে হবে আরামের, সঙ্গে ফ্যাশনেরও।
দরদাম
বিভিন্ন দামের কেডস রয়েছে বাজারে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কেডস বা জুতা কিনতে পারবেন ৪৫০ থেকে ৫০০০ টাকায়। এ ছাড়া কিনতে পারেন নন-ব্র্যান্ডের জুতা। এখানে অবশ্য দরদাম করে ঠিক করে নিতে হবে আপনাকে।
তবে এসব কেডস কিনতে পারবেন ৩০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। কাপড়ের জুতা হলে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকায় কেনা যাবে। এ ছাড়া প্লাস্টিক বা চামড়ার হলে দাম পড়বে ২০০০ টাকার মধ্যে।
যেখানে পাবেন
রাজধানীর বিভিন্ন শোরুমে কিনতে পাবেন ব্র্যান্ডের জুতা। বাটা, গ্যালারি অ্যাপেক্স, বে এম্পোরিয়াম, জেনিস প্রভৃতি দোকানে পাবেন নানা রঙের জুতা।
এ ছাড়া ব্র্যান্ড ছাড়া কিনতে চাইলে যেতে পারেন এলিফ্যান্ট রোড, মোস্তফা মার্টসহ বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের বিভিন্ন দোকানে।
আরও পাবেন রাপা প্লাজা, নিউমার্কেট এলাকা, প্রিন্স প্লাজা, পিংক সিটি, মিরপুর, গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, উত্তরা, মতিঝিল, গুলিস্তান প্রভৃতি স্থানে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।