পলাশীর প্রন্তরে ৫৫ হাজার সন্য মাত্র ১১ হাজার সন্যের কাছে র্নিলজ্জ ভাবে হার মেনেছিল, বেটা ক্লাইভ এ যুদ্ধের অভিজ্ঞতা বর্ণনায় লিখেছিল, এ যুদ্ধের তামাশা দেখতে যত লোক জড় হয়েছিল, তারা যদি একটি করে ঢিল ছুড়ত, তাহলে বৃটিশ বাহীনির কেউ প্রান নিয়ে ফিরতে পরতো না। যুগ
শামিম আর করিম দুই অন্তরঙ বন্ধু। হাফ পেন্ট পরা বয়স থেকে তাদের বন্ঢুত্ব। দুই জন ই এখন প্রতিষ্ঠিত। এক্ই কোম্পানি তে তারা চাকুরি করে।
শামিম বিবাহিতো আর করিম বিয়ে করেনি। বৌ আর করিম এই দুই জন ই শামিম এর কাছে দুনিয়ার সব থেকে প্রিয় আর করিম এর কাছে শামিম ও তাই। তাদের সব কিছু ঠিক ঠাক ভাবে চলছিলো। কিন্তু শামিম ইদানিং খেয়াল করল যে তার বৌ এখন আর আগের মত নাই। তার প্রতি যত্ন নেয় না ঠিক ভাবে......সেক্স এর বেপার এ ও উদাসিন।
শামিম আরও খেয়াল করল যে ইদানিং করিম অফিস থেকে আগে আগে বের হয়ে যায়। শামিম তখন বেপার টা পাত্তা দিলনা। কিন্তু পরে যখন তার বৌ এর উদাসিনতা আর করিম এর আফিস থেকে আগে বের হওয়া নিয়মিত হয়ে গেলো তখন শামিম সন্দেহ করতে লাগলো দুই জন কেই। এইটা ভেবে শামিম অনুতপ্ত হল যে তার সব থেকে প্রিয় দুই মানুষ কে সন্দেহ করতেছে। কিছু দিন যাওয়ার পর শামিম আর শহ্য করতে না পেরে অতিশ্ঠ হয়ে সিদ্ধান্ত যে বেপার টা ঘুটিয়ে দেখতে হবে।
একদিন করিম অফিস থেকে আগে বের হয়ে গেলে শামিম ও কিছুক্ষন পর তার নিজের বাসার উদ্দেশ্শে রওয়ানা দিলো। বাসায় গিয়ে শামিম দরযায় নক করলো। কিছুক্ষন অতিবাহিত হলে শামিম আবার নক করলো। কোনো সাড়া নেই !!! শামিম এর টেনসন বেরে গেলো, সে আবার জোরে জোরে নক করলো। তারপর ও কোনো সারা নেই।
শামিম এখন পাগল এর মত নক করতে লাগল। এভাবে শামিম নক করতেই থাকল........... এক সময় তার বৌ দরজা খুলে দেয়, বৌ এর মুখে দুনিয়ার বিরক্তি, বলল "কি হল !!! এত পাগল এর মত নক করতেছ কেন ????"। শামিম তার বৌ এর কথার জবাব না দিয়ে সরাসরি তার বেড রুম এ চলে যায়। গিয়ে দেখল সব সাভাবিক। শামিম সারা ফ্লাট খুজে দেখল, কিন্তু তার বৌ ছারা আর কাউকে পেলো না।
বৌ ও আশ্চরয হয়ে বলতে থাকল "কি খুজতেছ ?? আমাকে বল...পাগল হয়ে গেলে নাকি !!!!... "। শামিম না থেমে তার বাসার সব আলমিরা, খাটের নিচে সব যায়গায় খুজল , কিন্তু অনেকক্ষন খুজেও কিছুই পেলো না। সামি পাগল হয়ে গেছে এই ভেবে বৌ কান্নাকাটি শুরু করে দিল। কিছু খুজে না পেয়ে শামিম ও হতাশ আর অনুতপ্ত। সে ভাবল দুনিয়ার সব থেকে প্রিয় দুই জনকে সে একটা বাজে বেপার নিয়ে সন্দেহ করেছে তাই এই দুনিয়ায় তার বেচে থাকার কোনো মানে হয়না।
সে আত্নহত্য করল। "আত্নহত্য মহাপাপ" এই সুত্র মতে শামিম এর স্থান হল দোজখ এ। দোজখ এ অনেক কষ্ঠ ..... অনেক শাস্তি দেওয়া হ্য়......কোনো খাবার দাবার ও দেয়ে হ্য়না। সাপ্তাহে ১ দিন দোজখ এ ছুটি। ঐ দিন কোনো শাস্তি দেওয়া হয়না, দোজখ এর এখানে ওখানে কিছু বাসি খাবার ফেলে রাখা হ্য়।
ঐ বাসি খাবার গুলা দোজখ বাসিরা কুড়িয়ে কুড়িয়ে খায়। সেই রকম এক ছুটির দিন এ শামিম বাসি খাবার খুজে খুজে খাচ্ছে। খুজতে খুজতে হটাৎ শামিম দেখল তার প্রিয় বন্ধু করিম ও ঐখানে !!!! শামিম দৌড়ে গিয়ে করিম কে জড়িয়ে ধরল। দুই বন্ধু একে অপর কে জড়িয়ে কান্নাকাটি শুরু করল। কান্নাকাটি শেষ করার পর শামিম কেন আত্নহত্য করল তা করিম কে খুলে বলল।
সব শুনে করিম মহা খেপে গেলো। রেগে গিয়ে করিম বলল "হারামি তোর একটা ছোট ভুল এর জন্য আমরা দুই জনই এখন দোজখ এ"। শামিম অবাক হয়ে বলল "কেন ভাই আমি আবার কি করলাম???" । করিম বলল "আমরা দুই জনই এখন দুনিয়াতে থাকতাম যদি তুই ঐ দিন বাসায় ঢুকে সাথে সাথে ডিপ ফ্রিজ টা চেক করতি"।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।