স্তালিনের চুরুট গেছে হারিয়ে । ঘটনা ঘটেছে সকালবেলায় । সন্ধ্যের মধ্যেই মিলিশিয়া গ্রেপ্তার করছে শ-খানেক লোককে । ইতিমধ্যেই ক্রেমলিনের ঝাড়ুদার চুরুট খুঁজে পেয়েছে ডিভানের তলায় এবং স্তালিনের হাতে সেটা তুলেও দিয়েছে । স্তালিন তখন ফোন করলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে -- আর কষ্ট করতে হবে না ।
চুরুট খুঁজে পাওয়া গেছে ।
-- কিন্তু স্যার আমরা কি করি এখন ? যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই স্বীকার করেছে যে তারাই চুরুট চুরি করেছে ।
-- কী ? এখনও একজন স্বীকার করে নি ? তবে চালিয়ে যান তদন্ত !
স্থান : পেত্রোগ্রাদ । কাল : ১৯১৭ সাল । পাত্র-পাত্রী : এক দঙ্গল বিপ্লবী ও সাধারন নাগরিক ।
রাস্তাঘাটে বিপুল হইচই শুনে এক বৃদ্ধ তাঁর দাসীকে পাঠালেন ব্যাপার কি জেনে আসতে । -- সে ফিরে এসে খবর দিল বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে !
-- বিপ্লব, আহা কি দারুন ব্যাপার ! আমার বাবাও বিপ্লবী ছিলেন । কী ভালোই না লাগছে শুনতে । তা, এই বিপ্লবীরা কি চাইছে ?
-- চাইছে দেশে যেন কোন ধনী না থাকে ।
-- আর আমার বাবা চাইতেন, দেশে যেন কোন গরীব না থাকে ।
সফল বিপ্লবের পর বাড়ি ফিরে এসে বলশেভিক বলছে তার মা কে
-- এখন সব পাওয়া যাবে দোকানপাটে । খাবার দাবার কাপড় চোপড়, যা চাও । বিদেশেও যেতে দেবে এখন থেকে ।
-- ঠিক জারের আমলে যেমন ছিল তাই না ? খুশিতে ডগমগ হয়ে মা বললেন ।
আমেরিকায় গেছে সোভিয়েত দেশের শ্রমিকদের একদল প্রতিনিধি ।
উদ্দেশ্য, মোটরগাড়ি কারখানা পরিদর্শন করা, সেখানকার ওয়ার্ক কালচারের হাল হকিকত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া । মার্কিন গাইডকে প্রশ্ন করলেন এক শ্রমিক :
-- এই কারখানার মালিক কে ?
-- ফোর্ড
-- আর এই কারখানার সামনে পার্ক করা অতগুলো দামী গাড়ি কার ?
-- কারখানার শ্রমিকদের ।
এবার আমেরিকার শ্রমিক প্রতিনিধিদল ফিরতি সফরে গিয়েছে সোভিয়েত দেশের গাড়ি তৈরির কারখানা দেখতে । রুশ গাইডকে এক কারখানার শ্রমিকের প্রশ্ন :
-- এই কারখানার মালিক কে ?
-- কারখানার শ্রমিকরা ।
-- আর কারখানার সামনে দাঁড় করানো ওই দামী গাড়িটা কার ?
-- কারখানার ডিরেক্টরের ।
কারখানার কাজে যেতে দেরী হয়ে গিয়েছিল । আর দেরী হলেই শাস্তি । তাই রুশ শ্রমিক বাসা থেকে স্রেফ দৌড় লাগালো কারখানার দিকে । প্যান্ট পরার সময় পায়নি সে । প্যান্টটা হাতে নিয়েই দৌড়চ্ছে সে ।
তবু তার দেরি হয়ে গেল কারখানায় পৌছতে । কারন পথে বহু মানুষ তাকে অসংখ্যবার থামিয়েছে, জানতে চেয়েছে প্যান্টটা কোথা থেকে কিনেছে, কত দাম, সে ওটা বিক্রি করবে কিনা ইত্যাদি ।
স্তালিন বক্তৃতা দিচ্ছেন শ্রমিকদের সামনে :
-- আপনাদের মঙ্গলের জন্য আমি আমার শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত বিসর্জন দিতে প্রস্তুত ।
উপস্থিত শ্রোতা শ্রমিকদের কাছ থেকে একটা চিরকুট এসে পৌছল তাঁর হাতে ।
তাতে লেখা -- তাহলে আর দেরি করছেন কেন, কমরেড ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।