জীবনটাই বাশঁময় একদিন জর্জের বাবা বাজার থেকে একটা রোবট কিনে নিয়ে আসলেন। বিশেষ ক্ষমতা
সম্পন্ন এই রোবট কেউ মিথ্যে কথা বললেই তার গালে চড় কষে দেয়।
সেদিনই স্কুল থেকে বেশ দেরী করে বাড়ি ফিরলো জর্জ। জর্জের বাবা জর্জকে জিজ্ঞেস
করলেন, “এত দেরী হলো কেন?”
“বাবা, আজ একটা অতিরিক্ত ক্লাস ছিল। ” কাচুমাচু স্বরে জবাব দিল জর্জ।
কথাটা শেষ হতে পারলো না। তার আগেই একটা চড় এসে জর্জের গালে পড়লো। ফ্যাল ফ্যাল
করে রোবটটার দিকে তাকিয়ে ডান হাতে গাল ঘষতে শুরু করলো জর্জ।
জর্জের বাবা তখন বললেন, “শোন জর্জ, এই রোবটটি মিথ্যে কথা বললে বুঝতে পারে, আর
শাস্তি হিসেবে কি দেয় সেটাতো দেখলেই। এখন বলো কেন দেরী হলো বাসায় ফিরতে?”
বিস্মিত জর্জ নীচু স্বরে জবাব দিল, “আমি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম।
”
“কি সিনেমা?” বাবা জানতে চাইলেন।
“টারমিনেটর টু। ”
সাথে সাথে আরেকটা চড়, প্রায় দ্বিগুন জোরে এসে পড়লো জর্জের গালে।
জর্জের বাবা বিদ্রুপাত্বক হাসি দিয়ে বললেন, “কী? এখনও মিথ্যে বলবে?”
আবারও কাচুমাচু স্বরে জর্জ বললো, “ইয়ে মানে ছবিটার নাম… নাইট কুইন। ”
জর্জের বাবা এবার রেগে গেলেন।
বললেন, “তোমার লজ্জা হওয়া উচিত। তোমার বয়সে আমি কখনও স্কুল ফাকি দিয়ে সিনেকা দেখতে যাইনি, তাও আবার এধরনের ছবি…। ”
ঠাস্, ঠাস্! জর্জ দেখলো ওর বাবার গালে পর পর দুইটা চড় কষে দিল রোবটটা।
ওরা দুজনেই যখন গালে হাত বোলাচ্ছে তখন রান্না ঘর থেকে ছুটে বের হয়ে এলেন
জর্জের মা। “এ সব কি হচ্ছে?” জর্জের বাবার দিকে তাকিয়ে চেচিয়ে বললেন তিনি।
“একদিন সিনেমার দেখার জন্য এতগুলো চড় মারতে হবে? একটুও দয়া-মায়া নেই? শতহোক তোমারইতো ছেলে….” বাক্যটা শেষ হবার আগেই ঠাস্ করে চারগুন জোরে একটা শব্দ হলো। জর্জ এবং ওর বাবা অবাক হয়ে দেখলো জর্জের মা নিজের ডান গালে হাত বোলাচ্ছেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।