রাজধানীতে অনেক মেয়েরাই একইসঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছে একাধিক প্রেম। মেয়েদের প্রতি পুরুষের দূর্বলতার সুযোগটাই গ্রহণ করছে তারা। সবার কাছে তারা যেন এক নি:ষ্প্রাপ নারী। সবার কাছ থেকেই সুযোগ ও সুবিধা নিয়ে থাকে তারা। এক্ষেত্রে, তারা আশ্রয় নেয় মিথ্যা আর ছলনার।
আর এরকম মেয়েদের পাল্লায় পড়ে অনেক সরল ছেলেরা হারায় তাদের সময় আর অর্থ। অনেক সময় মেয়েদের ছলনার এসব খবর জানতে পেরে মেয়েদেরকে হত্যা পর্যন্ত করে ফেলে কেউ কেউ। কয়েকটি ঘটনার মাধ্যমে তা তুলে ধরার চেষ্টা করা হলো—
একাধিক পুরুষের সঙ্গে প্রেম ছিল আসমা আক্তার মণির। চাঁদপুর সরকারি থেকে ১ম বর্ষ শেষ করে তিতুমীর কলেজে ২য় বর্ষে ভর্তি হয় মণি। নানা ছলচাতুরিতে বশে রাখে অনেককে।
ঢাকায় আসার আগেই চাঁদপুর থাকতেই প্রেম করেছে অনেকের সাথে। আর ঢাকায় আসা চাকরীর সুবাধে। আর এখানে এসেও চালায় একাধিক পুরুষের সাথে প্রেম। একেক সময় সে একেক জন নিয়ে ডেটিং করতো। চাকুরীতে আসা যাওয়া ও কলেজের আসা-যাওয়ার পথে তাকে সঙ্গ দেয় বিভিন্ন পুরুষ।
সবার কাছ থেকে সে বিভিন্নভাবে সুযোগ সুবিধা আদায় করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুড়ুয়া ছেলে ইমনকে এরইমধ্যে কাবু করে ফেলেছে সে। ছেলের বাড়ি অন্য জেলায়। তাতে কি? তার কাছ থেকে সুযোগ নেয়া তো যাবে—এমন চিন্তা মণির।
হোস্টেলের বান্ধবীর বয় ফেন্ড লিটনের এক বন্ধুর সাথে পরিচয় হয় মণির।
তার সাথেও চলে মণির ভাব। কিন্তু, কোন এক দিন ড্রিংস করার কারণে তাদের সাথে সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়।
এ ঘটনায় ইমনের সাথেও কিছুটা সম্পর্ক টান পড়ে মণির। এমন সময় হঠাৎ ফেসবুকে ইমনের লিস্টের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছেলে রিয়েলের সাথে। ছেলে হ্যান্ডসাম বলে তার সাথে আবার মণি শুরু করে প্রেম।
এবার তাকে বলে আমি তোকে বিয়ে করবো। কিন্তু, রিয়েল, ইমনের বন্থু হওয়ায়, কয়েক দিন মণির সাথে যাতায়াতের খবর জানতে পারে ইমন। পরে, ইমন সব জানায় বন্ধু রিয়েলকে। পরে রিয়েল সরে আসে মণির কাছ থেকে।
এ অবস্থায় মণির সাথে পরিচয় ঘটে রিয়েলের আরেক বন্ধু চাঁদপুরের পলাশ।
পলাশকে কিছুটা তথ্য জানায়-ইমন তোর এলাকার মেয়ে ঢাকা এসে সবার সাথে প্রেম করে বেড়াচ্ছে। এমন সব করছে। এ সুযোগ নেয় পলাশ। ইমনের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে মণির সাথে এবার নিজেই প্রেম শুরু করে পলাশ। বাড়িতে যাওয়া-আসার সময় লঞ্চের কেবিনে করে যাতায়াত করে তারা।
হঠাৎ এসব জেনে যায় ইমন। চটে যায় মণির উপর। মণিও রেগে যায়। বলে তোর মতো ছেলে না হলে আমার চলবে। শুরু করে পলাশের সাথে গভীর প্রেম।
এমন সময় পলাশ জানতে পারে-মণি অফিসেরও অনেকের সাথে প্রেম করছে। এমন সময় সে মণিকে হুমকি দেয়। বেশী বাড়াবাড়ি করলে মণিকে হত্যা করবে সে। হুমকিতে মণির পড়াশোনা বন্থ হওয়ার উপক্রম। ঢাকার সব কাহিনী মণির পরিবার জেনে যায়।
পরিবার ঢাকায় এসে মণির খোজ নেয়। তাতে, মণির দোষ ধরা পড়ে। তবে, গ্রামের সহজ সরল মেয়ে ঢাকায় এসে পরিবর্তন—তা বিশ্বাস করতে চায়নি তার পরিবার।
এরইমধ্যে, মণি একরাতে হোস্টেলের বাইরে থাকে। এ খবর জানতে পারে ইমন।
ইমনকে নিয়ে নিয়ে অফিসে যায়। অফিসে চালায় তর্কাতর্কি। পরে, অফিস তাকে চাকুরীচ্যূত করে। এখন সব কিছু হারিয়ে মণি পাগল প্রায়—এক সময় আত্মহত্য করার চেষ্টা করে। এসময় মণিকে সহায়তার হাত বাড়ায় এক বন্ধু।
তার চেষ্টায় কিছুটা জীবন পায় মণি---
মণির মতো এরকম অনেক মেয়ে আছে যারা এরকমভাবে অনেকের সাথে প্রেম করছে। আর ছেলেরা হচ্ছে বোকা। অনেক সময় এরকম ঘটনার কারণে সমাজে ঘটে ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা। ঘটে হত্যাসহ নানা রকম সহিংসতা। এরকম সহিংসতা সমাজ থেকে বন্ধ হোক-এমন প্রত্যাশা সবার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।