আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নরসিংদীর রেল দূঘর্টনার নাগরিক তদন্ত প্রাথমিক প্রতিবেদন বিস্তারিত


নরসিংদীর রেল দূঘর্টনার নাগরিক তদন্ত প্রাথমিক প্রতিবেদন বিস্তারিত প্রাথমিক প্রতিবেদন নাগরিক তদন্ত কমিটি (নরসিংদীর রেল দূঘর্টনার প্রেক্ষিতে গঠিত) তদন্ত কমিটির কাঠামো আহবায়ক : অধ্যাপক এ এম এম শফিউল্লাহ, সাবেক উপাচার্য, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) সদস্যবৃন্দ- ১. প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, আহবায়ক, তেল গ্যাস বন্দর খনিজ সম্পদ রা জাতীয় কমিটি ২. প্রকৌশলী কবির হোসেন, সাবেক রেল কর্মকর্তা ৩. রাজেকুজ্জামান রতন, রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী ৪. নাজমূল করিম, রেল গবেষক ৫. ইবনুল সাইদ রানা, পরিবেশকর্মী সদস্য সচিব সৈয়দ মাহবুবুল আলম, নীতি বিশ্লেষক ও পরিবেশকর্মী কমিটি গঠনের প্রোপট গত ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে নরসিংদী স্টেশনে চট্টলা এক্সপ্রেস ও মহানগর গোধূলীর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে সংগঠিত মারাত্মক দূঘর্টনার প্রেেিত পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন কর্তৃক ০৯ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে এই নাগরিক কমিটি গঠিত হয়। ঘটনার বিররণ গত ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে ঢাকা হতে চট্টগ্রামগামী মহানগর গোধূলী এবং চট্টগ্রাম হতে ঢাকামূখী চট্টলা এক্সপ্রেসের সাথে নরসিংদী স্টেশনের প্লাটফরম সন্নিকটে ৪.৪৫ মিনিটে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মহানগর গোধূলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রাবিরতির জন্য নরসিংদী স্টেশনের ১ নম্বর লাইনে থামার পর এবং চট্টলা এক্সপেস ট্রেনটি আজমেরীগঞ্জ হতে কিয়ারেন্স পেলে ২ নম্বর লাইন দিয়ে সরাসরি চলে যাওয়া কথা। কিন্তু মহানগর গোধূলী এবং চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি একই সময়ে একই লাইনে প্রবেশ করায় এই দূঘর্টনার সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলের বিরবন ঘটনাস্থলে ৩ টায় পৌছানোর পর দেখা যায় উদ্ধারকার্য অব্যাহত রয়েছে।

উৎসুক জনতা তখনও এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। প্লাটফরমে একটি বগি পড়ে আছে। ইঞ্জিন দুটি রেললাইনের উপর রয়েছে। ইঞ্জিন ও বগির ভঙ্গাংশ আশে পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কিছু মানুষের শরীরের বিছিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে।

একটি লাশ কাপড় মোড়ানো অবস্থায় অবহেলিতভাবে ভ্যান গাড়ীতে রয়েছে। এতবড় দূঘর্টনার পর রেল কর্তৃপ দ্রুততার সাথে লাইনটি সচল করে সচেষ্ট এবং ১/২টি করে ট্রেন চলাচলের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ট্রেন চলাচলের জন্য রেল বিভাগের কর্মকর্তাদের মাঝে কিছুটা তৎপরতা পরিলতি হয়। তবে যত্রত্রত পড়ে থাকা মালামাল, লাশ ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ব্যবস্থাপনার জন্য রেল পুলিশ বা কর্তৃপরে কাউকে সচেষ্ট দেখা যায়নি। রেলপুলিশকে শুধুমাত্র স্টেশনের প্লাটফরমে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

স্টেশনে এতবড় দূঘর্টনার পর রেল স্টেশনের কোথাও একটি তথ্য কেন্দ্র দেখা যায়নি। মানুষ তার আত্মীয় স্বজনের খোজ পেতে, কারা কোথায় চিকিৎসাধীন আছে তা জানতে ছোটছুটি করছে। আহত নিহতদের তালিকা কোথাও পাওয়া যায়নি। কোন স্থান বা ব্যক্তি দেখা যায়নি, যাদের নিকট হতে এ ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে। দূঘর্টনার কারণ বিষয়ে তদন্ত দলের অভিমত প্রাথমিকভাবে রেল কর্তৃপরে উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, আউটার সিগন্যাল অমান্য করে ট্রেন চালকের হোম সিগন্যালের প্রবেশ করায় এই দূঘর্টনার হয় ।

পবা-র নাগরিক কমিটির প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায় এই দূঘর্টনার শুধুমাত্র চালককে এককভাবে দায়ী করা কোন ভাবেই যৌক্তিক নয়। পূর্বেই মহানগর গোধূলী এক্সপেস ট্রেনটি যাত্রাবিরতির জন্য নরসিংদী স্টেশনের ১ নম্বর লাইনে থামার পর এবং চট্টলা এক্সপেস ট্রেনটি আজমেরীগঞ্জ হতে কিয়ারেন্স পেলে ২ নম্বর লাইন দিয়ে সরাসরি চলে যাওয়া কথা। কিন্তু মহানগর গোধূলী এবং চট্টলা এক্সপেস ট্রেনটি একই সময় একসাথে এক নম্বর লাইনে প্রবেশ করায় এই দূঘর্টনার সৃষ্টি হয়। সিগ্যানাল বা কিয়ারেন্স জনিত ক্রুটির সপে যুক্তি সমূহ ১. চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা ট্রেনটির নরসিংদী স্টেশনের অনুমতি ছাড়া আজমেরী গঞ্জ হতে ছেড়ে আসতে পারে না। অর্থাৎ এখানে নরসিংদী স্টেশন কর্তৃপরে আজমেরীগঞ্জ ছেড়ে আসার কিয়ারেন্স দূঘর্টনার মূল কারণ।

২. নরসিংদী অনুমতি না পেলে ট্রেনটি আজমেরীগঞ্জ এ অবস্থান করার কথা। ৩. চাট্টল ট্রেনটিকে আজমেরীগঞ্জ হতে আসার কিয়ারেন্স প্রদান করলেও ক্রসিং পয়েন্ট ছিল (লাইন বিভাজনস্থল) ১ নম্বর লাইনের দিকে আসার। যা হওয়ার কথা ছিল ২ নম্বর লাইনের দিকে। যাতে ট্রেনটিকে না থেমে সরাসরি ঢাকার দিকে ধাবিত হতে পারত। দূঘর্টনার জন্য এককভাবে ট্রেন চালককে দায়ী না করার যুক্তিসমূহ: ১. চট্টলা ট্রেনটি হার্ডব্রেকের মাধ্যমে থামানোর জন্য ড্রাইভার চেষ্টা চালান।

স্থানীয় প্রত্যদর্র্শীর বিররণ অনুসারে ট্রেনটি থামানোর এই প্রচেষ্টায় রেললাইন ও চাকার ঘর্ষণে প্রচুর অগ্নিপাতের সৃষ্টি হয়। ২. ট্রেনের চালক একজন পুরাতন ও অভিজ্ঞ লোক যিনি দীর্ঘদিন ধরে এই লাইনে চলাচল করে, তারা সুনিশ্চিত জ্ঞান রয়েছে যে, এখানে সিঙ্গেল লাইন রয়েছে। মহানগর গোধূলী ট্রেনসহ অন্যান্য ট্রেনগুলো ক্রসিং হয়নি। ৩. ভৈরব বাজার স্টেশনে চট্টলা ট্রেনটির যাত্রাবিরতি ছিল। নরসিংদী স্টেশনের পূর্বে ছয়টি স্টেশন (দৌলতকান্দি, শ্রীনিধী,মেথিকান্দা, হাটুভাঙ্গা, খানাবাড়ী, আজমীরগঞ্জ)রয়েছে।

নিয়ম অনুসারে একটি স্টেশন লাইন কিয়ার দেয়ার পূর্বে আগের স্টেশনগুলো হতে কিয়ারেন্স গ্রহণ করে। যদি ড্রাইভার যে কোন একটি সিগন্যালভঙ্গ করে থাকে তবে যে কোন একটি স্টেশন হতে পূর্ববর্তী স্টেশনগুলো জানানো হতো। ৪. স্টেশন মাষ্টার এ বিএম মুসা ৪.১৫ মিনিটে মহানগর গোধূলী আসা এবং চট্টলা ট্রেনের অতিক্রমের সংবাদ ঘোষনা করেন বলে স্টেশনে অবস্থানকারীরা জানান। ৫. মহানগর ট্রেনটি স্টেশনে থামা থাকা অবস্থায়, চট্টলাকে ক্রসিং দেওয়ার কথা। চট্টলা ট্রেনটি ২ নং রেল লাইন দিয়ে সরাসরি চলে যাবে এবং মহানগর ট্রেনটি ১ নং লাইনে অবস্থান করবে।

তবে কেন চট্টলা ট্রেনটির সংযোগ ২ নম্বর লাইনে না দিয়ে এক নম্বর লাইনে রাখা হলো তা বোধগম্য নয়। দুঘর্টনার কারণ বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত বিভিন্ন স্যা, ঘটনা, নিয়মকারণ, প্রথা, প্রাপ্ত তথ্যাদি এবং উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা ও পর্যালোচনার প্রেেিত নাগরিক তদন্তদল দুঘর্টনার প্রত্য কারণ বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়। ১. ভূল সিগন্যালিং বা কিয়ারেন্সে কারণে এই দূঘর্টনার ঘটেছে। ২. ভুল সিগন্যাল প্রদানকারী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে চিহ্নিত করা যায়নি। ৩. ট্রেনের চালক সিগন্যাল অমান্য করে এ দূঘর্টনা ঘটিয়েছে গ্রহণযোগ্য প্রমান পাওয়া যায়নি।

নিরাপদ, সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব যাতায়াত ব্যবহার নিশ্চিতের ল্েয পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন দীর্ঘদিন রেল বাচাঁও আন্দোলন করে আসছে। রেলের বিভিন্ন দূঘর্টনা প্রেেিত পবা তদন্ত দল এই সকল স্থানগুলো পরিদর্শন, পর্যবেন বা তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। এছাড়া পবা ধারাবাহিকভাবে রেলের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও বাজেট বিষয়ে সিদ্ধান্তগুলো পর্যালোচনা করে আসছে। পবা-র বিগত দিনের তথ্যগুলো পর্যালোচনার প্রেেিত তদন্ত কমিটির অভিমত এ দূঘর্টনার বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়। দীর্ঘদিনের রেলের উন্নয়ন বা প্রসারে অবহেলার বর্হিপ্রকাশ এই অব্যাহত দূঘর্টনা।

বিগত ১০ বছরে রেলে ৫০৫৭টি ছোট বড় দূঘর্টনা ঘটেছে। কিন্তু এসকল দূঘর্টনার কারণ আজো মানুষ জানে না, এসকল তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে এধরনের নজির আছে বলে আমাদের জানা নেই। তবে দূঘর্টনার সঠিক কারণ এবং প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করা হলে রেলের দূর্বলতাগুলো কাঠানো সম্ভব হতো। তবে এখানে উল্লেখ করা যায়, এই দূঘর্টনার প্রাণহানি ও সম্পদ য়ের পরিমাণ সড়ক পথের তুলনায় কম। তবে রেলের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেয়া হলে এর সিংগভাগই এড়ানো সম্ভব ছিল।

রেলপথ বাংলাদেশ যোগাযোগের েেত্র একটি অবহেলিত মাধ্যম। অথচ বাংলাদেশ সৃষ্টির পরও এটি ছিল অন্যতম প্রধান মাধ্যম। বিশ্বব্যাংক ও আই এম এফ এর স্ট্রাকচারাল এডজাস্টমেন্ট পলিসি বাস্তবায়নের ল্েয বিভিন্ন ঋণ প্রকল্পের আওতায় উন্নয়নের নামে পরিকল্পিতভাবে রেলকে সংকুচন ও ব্যক্তিমালিকানাধীন করার প্রচেষ্টার কারণেই রেলে এই দুরাবস্থা। এ সকল কার্যক্রমের প্রেেিত রেলের লাইন ও ষ্টেশন কমানো হয় এবং প্রয়োজন অনুসারে লাইন সংস্কার, নতুন বগি বা ইঞ্জিন ক্রয় হয়নি, রেল মেরামত ও তৈরির কারখানা বন্ধ অথবা সংকুচিত করা হয়েছে। অধিকাংশগুলো লাইন (পাথ ও স্লিপার অপর্যাপ্ত) ও সিগন্যালগুলোর সংস্কার না করার কারণে আজ অহরত ছোট বড়া দূঘর্টনা ঘটছে, গাড়ী লাইনচুত্য হচ্ছে।

অথচ ঋণে বিপুল অর্থ ব্যয় করে স্টেশন আধূনিকায়ন করা হয়েছে। রেলের দ ও কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন ও প্রয়োজনীয় লোক গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে অবসর দেয়া হয়েছে, শূন্যস্থান পুরনে নতুন লোক নিয়োগ হয়নি, অপর দিকে অপ্রয়োজনীয় প্রশাসনিক লোকবৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে মাথাভারি প্রশাসন হয়েছে কিন্তু কার্যেেত্র প্রয়োজনীয় লোকবলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অবশিষ্ঠ অধিকাংশ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন যোগ্য লোক অবসরে চলে যাচ্ছে। কিন্তু নতুন নিয়োগের অভাবে এ সংকট আরও ভয়াবহ রূপ লাভ করবে।

স্টেশন মাষ্টার না থাকার কারণে স্টেশন চালানো যাচ্ছে না। প্রায় ৩৫ টি স্টেশন বন্ধ হয়েছে। এ সকল কারণে রেলে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে এবং ব্যবস্থাপনা, দায়িত্ব পালণ ও তদারকিতে এর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। ট্রেনগুলো ব্যক্তি মালিকানায় ছেড়ে দেয়ার প্রেেিত দূনীতি ও অব্যবস্থাপনা বৃদ্ধি পেয়েছে। নরসিংদী রেল স্টেশনে দায়িত্ব পালণে অবহেলা, তদারকি অভাবের তথ্যচিত্র নরসিংদী রেল স্টেশনে স্টেশন মাষ্টার বেসরকারীভাবে ছেড়ে দেয়া নরসিংদী কর্ণফুলী ট্রেনের টিকেট বিক্রির এজেন্সী নেন এবং স্টেশন মাষ্টারের দায়িত্ব অবহেলা করে টিকেট বিক্রি কাজ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্টেশন মাষ্টার দীর্ঘদিন ধরে এই ষ্টেশনের রয়েছেন। স্টেশনের সকল দোকান এবং হকার হতে তিনি নিয়মিত মাসোয়ারা গ্রহণ করেন বা তার অধীনে রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে । আর এ কারণেই কোন দোকানদার হতে রেল দূঘর্টনার বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রত্যেকেই বলেছে হয় দোকানে অন্য কেউ ছিলেন অথবা তিনি দূঘর্টনার পর জায়গা ছেড়ে চলে যান, কিছুই দেখেনি। স্টেশনের সিগন্যাল ও স্টেশন মাষ্টারের অন্যান্য দায়িত্বসমূহ অন্য কেহ পালন করেন বলে স্থানীয় বটতলা বাজারের দোকানধার, স্থানীয় জনগন অভিযোগ করেন।

স্টেশন মাস্টারে বিরুদ্ধে কাজ ফেলে রুম বাইরে থেকে তলা বদ্ধ করে জুয়া খেলার অভিযোগ রয়েছে। এ সকল বিষয়ে একাধিক প্রতিবেদন বা তথ্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রেরণ করে কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে স্থানীয় সংবাদিক ও জনগন অভিযোগ করেন। তদন্ত পরিদর্শনকালে দেখা যায় রেল স্টেশনে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী ড্রেস পরিহিত অবস্থায় নেই। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত থাকলেও এ বিষয়ে তাদের কোন নির্দেশনা বা পদপে রয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রেলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের পেশাগত দায়িত্বের প্রতি চরম উদাসীনতা ও মনিটরিং অভাব এখানে পরিলতি হয়।

যা হয়তো বাংলাদেশের অন্যান্য ষ্টেশনের একটি প্রতিচ্ছবি। সুপারিশ রেলের প্রসারে সরকার স¤প্রতিক যে দৃষ্টি দিয়েছে তা সাধুবাদ জানানোরযোগ্য। কিন্তু সমন্বিতভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ না করে এবং বিদ্যমান সমস্যা ও দূর্বলতাগুলো চিহ্নিত না করে ঢালাওভাবে গৃহীত প্রকল্প রেলে উন্নয়নে কাঙ্গিত ফলাফল নিয়ে আসার সম্ভবনা খুবই ীন। রেলকে নিরাপদ ও জনমুখী করতে আমাদের সুপারিশ সমূহ। জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত করণীয়: ক্স অবিলম্বে সা¤প্রতিক দূর্ঘটনার সকল তথ্য বিশেষ করে নিহত ও চিকিৎসাধীন আহতদের যাবতীয় তথ্যাদি জানার সুবিধার্থে একটি তথ্য কেন্দ্র কেন্দ্রীয়ভাবে এবং নরসিংদীতে স্থাপন করা।

ক্স আহতদের সঠিক চিকিৎসার্থে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ক্স সিগন্যালের কারণে সৃষ্ট দূঘর্টনার দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা ও শাস্তি প্রদান। ক্স রেল বিভাগ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অবিলম্বে প্রকাশ করা। ক্স নিরপেতার স্বার্থে এবং ভবিষ্যতে দূর্ঘটনা এড়াতে সুপ্রীমকোর্ট বা হাইকোর্টের বিচারককে প্রধান করে বৃহৎ পরিসরে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা। ক্স এটি দূঘর্টনা বা নাশকতা কিনা তা গোয়ান্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করা।

ক্স ট্রেন চলাচলে সাথে জড়িত পথগুলো অত্যাবশকীয় জরুরি সার্ভিস হিসেবে চিহিত করে, এ সকল সার্ভিসের লোকদের কর্তব্যরত অবস্থায় পোষাক পরিধান নিশ্চিত, মনিটরিং ও সুপারভিশন জরুরি। ক্স টিকেট যাত্রীর নাম পরিচয় রাখার বিধান বাধ্যতামূলক করা। ক্স রেলের কর্মীদের মনোবল ও প্রেরণা বৃদ্ধিতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা। দীর্ঘমেয়াদী : ক্স ঢাকা-চট্টগ্রামের রেললাইন দ্রুততার সাথে ডবল করা। ক্স রেলের উন্নয়ন ও প্রসার, মনিটরিং, কার্যক্রমের গতিশীলতা ও জনমূখী করার স্বার্থে রেলের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠণ করা।

যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সড়কের প্রসার হলে রেলের সংকুচন হচ্ছে। ক্স রেলের কর্মী পর্যায়ে লোকবল বৃদ্ধি করা ক্স রেলের রোলিং স্টক বৃদ্ধি করা। ক্স সিগন্যালিং এর আধূনিকরণের ব্যবস্থ্য গ্রহণ করা। ক্স দেশব্যাপী রেল কেন্দ্রিক সমন্বিত যাতায়াত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনা এবং সর্বোপরি মহান জাতীয় সংসদের মাধ্যমের একটি মাষ্টার প্লান তৈরি ও বাস্তবায়ন করা। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)-র সম্মেলন কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত ১১ ডিসেম্বর ২০১০, কলাবাগান, ঢাকা
 


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.