পাল্টা হুমকি দিয়েছে উইকিলিকস
বিভিন্ন দেশের গুমর ফাঁস করলেও অ্যাস্যাঞ্জ নিজে রয়েছেন মারাত্মক হুমকির মুখে। গ্রেপ্তারের মুখে থাকলেও উইকিলিকসের সাইটে বিভিন্ন সময় ফেটেই চলেছে তথ্যবোমা।
সেখানে লেখা রয়েছে যতোই আঘাত আসুক আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে উইকিলিকস। অ্যামাজন থেকে সার্ভার বন্ধ হলেও ভিন্ন তিনটি দেশ থেকে নতুন করে সাইটটির নথি প্রকাশ হচ্ছে। অ্যাস্যাঞ্জও হুমকি দিয়েছেন
তাকে গুপ্তহত্যা করা হলে আরো স্পর্শকাতর নথি প্রকাশ পাবে ।
ইকুয়েডরের মতো দেশ আস্যাঞ্জকে নিরাপত্তা দিতে এবং নাগরিকত্ব দিতে রাজি হয়েছে। রাশিয়াকে মাফিয়া রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করা, যুক্তরাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি, পাকিস্তানের ওপর সৌদি প্রভাব, ভারতীয় নেতাকে হত্যা চেষ্টা এমনকি বাংলাদেশে হিজবুত তাহরীরের কার্যক্রম চলছে এমনও তথ্য উইকিলিকসের কাছে রয়েছে
এখানেই শেষ নয়
উইকিলিকস-এর অন্যতম সমর্থক পত্রিকা বৃটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের অনলাইন সংস্করণে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে অ্যাস্যাঞ্জ জানিয়েছিলেন, ‘জীবনের হুমকির বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা আগে থেকেই এমন ব্যবস্থা নিয়েছি, যাতে যে কোনো পরাশক্তির বিরুদ্ধেও আত্মরক্ষার চেষ্টা করা যায়। ’ অ্যাস্যাঞ্জ বা উইকিলিকসের কর্মীদের হত্যা বা গ্রেপ্তার করা হলে তাদের প্রকাশ করা কূটনৈতিক নথির কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, ‘কেবলগেট আর্কাইভের এসব নথি এখন আর উইকিলিকসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ‘এনক্রিপটেড’ অবস্থায় এসব তথ্য এরই মধ্যে এক লাখ লোকের কাছে পৌঁছে গেছে। আমরা না থাকলেও তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রকাশিত হতে থাকবে।
’ তিনি আরও বলেছেন, ‘এমন ব্যবস্থা নেয়া আছে যাতে আমাকে মেরে ফেললে বা এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা উইকিলিকসের বিরুদ্ধে নেয়া হলে আরও এক লাখ ‘গোপনতম’ ফাইল স্বয়ংক্রিয়ভাবেই প্রকাশিত হয়ে পড়বে’।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ৭ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ব্রিটিশ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার কথা জানিয়েছিলেন অ্যাস্যাঞ্জ। তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন সুইডেনের দুই নারী। তবে, বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
সুইডেনের দুই নারীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অ্যাস্যাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৯ নভেম্বর (তথ্য প্রকাশিত হবার পরপর) সুইডেনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এরপর আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ‘ইন্টারপোল' অ্যাস্যাঞ্জকে ধরিয়ে দিতে সহযোগিতা চেয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করে। অভিযোগ বিষয়ে অ্যাস্যাঞ্জের বক্তব্য, উইকিলিকসের তৎপরতা বন্ধের জন্য পশ্চিমারা তাকে ফাঁসিয়েছে।
এদিকে, যৌন নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পাননি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। সুইডেনের উচ্চ আদালত বৃহস্পতিবার তার আপিলের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।