আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাখো মুসুল্লির জন্য প্রস্তুত শোলাকিয়া

মাঠের ১৮৬তম ঈদ জামাতের জন্য ইতোমধ্যে কাতারের লাইন টানা, মাঠ পরিষ্কার করা, পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও রংয়ের প্রলেপ দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে।
মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের পরিচালনায় এবারের ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। বিপুল সংখ্যক মুসুল্লির দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য নামাজ শুরুর ৫ মিনিট আগে ৩টি, ৩ মিনিট আগে ২টি ও ১ মিনিট আগে ১টি শটগানের গুলি ফোটানো হবে।
দূর-দূরান্ত থেকে মুসুল্লিদের আসার সুবিধার্থে ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
একটি ট্রেন সকাল পৌনে ছয়টায় ময়মনসিংহ থেকে এবং অপর ট্রেনটি সকাল ৬টায় ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া মাঠের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে।

নামাজ শেষে ট্রেন দুটি পুনরায় দুপুর ১২টায় গন্তব্যে ছেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের স্টেশন মাস্টার জয়ন্ত মজুমদার।
ইতোমধ্যে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মুসুল্লিরা ঈদের জামাত আদায় করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছে শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটি।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ কমিটির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বৃহস্পতিবার জানান, পৌরসভা, জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তর, গণপূর্তসহ অন্যান্য বিভাগের সহায়তায় ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। লাখ লাখ মুসুল্লি নিরাপদে নামাজ আদায় করবেন।


শোলাকিয়া জামাতে অংশগ্রহণের জন্য মাননীয় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও সাংসদসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
পুলিশ, অার্মড পুলিশ, র‌্যাবের সমন্বয়ে মাঠ ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি। প্রবেশ পথে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হবে আগত মুসুল্লিদের। নাশকতা মোকাবেলায় ওয়াচ টাওয়ার এবং ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা দ্বারা প্রতিটি মূহুর্ত পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান।
তিনি জানান, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির বিবেচনায় জেলায় পুলিশের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।


মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর ষষ্ঠ বংশধর দেওয়ান হয়বত খান বাহাদুর কিশোরগঞ্জের জমিদারী প্রতিষ্ঠার পর ইংরেজি ১৮২৮ সালে কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ৭ একর জমির উপর এ ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রথম জামাতে সোয়া লাখ মুসুল্লি অংশগ্রহণ করেন বলে মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখি মাঠ’। পরে বিবর্তনে এর নাম দাঁড়ায় ‘শোলাকিয়া মাঠ’।
বিশাল এই মাঠে কাতার রয়েছে ২৬৫টি। প্রতি কাতারে ৫ শতাধিক মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।

এখন মুসুল্লির সংখ্যা আড়াই থেকে তিন লাখ ছাড়িয়ে যায় বলে ঈদগাহ কমিটি ধারণা করেন।
জামাতে অংশ নেয়ার জন্য ঈদের ২/৩ দিন আগ থেকেই দেশ-বিদেশের মুসুল্লিরা শহরে আসতে শুরু করেন।
১৯৯৯ সনের ২২ মে মাঠ সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য  তৎকালীন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জিল্লুর রহমান তৎকালীন ডেপুটি স্পিকার আব্দুল হামিদ ও তৎকালীন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যৌথভাবে ঈদগাহ মাঠে ভিত্তিপ্রস্তরর স্থাপন করেন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.