আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাসিব, Baনchi,তুলি............২



দাদার মত ভাইয়াও একটা অনুগত বিড়াল পেয়ে গেল। সারাদিন হাসিবকে নিয়ে থাকে, ঘুমায়ও ওকে ধরে যাতে কেও নিয়ে যেতে না পারে। হাসিবও আরাম করে খামচি দিয়ে ঝুলে থাকে। এই খামচির মানে যে বন্ধুত্ব সেটা বুঝা গেল। আমি আর ভাইয়া ২ জনই এখন হাসিবকে নিয়ে খেলি।

এখন ভাইয়া একটু কথা বলতে পারে , তাকে আমদের নাম , নিজের নাম , কবিতা, এইসব হিবিজিবি শেখান হচ্ছে। সমস্যা হল যতবার বলা হয় তোমার আপুর নাম কি বলে আপু, নিজের নামকি বলে হাসিব। এইরকম ২-৩ বছর চলে গেছে। ভাইয়া হাসিবের গোফ কেটে দেয়, নখর কেটে দেয়, যা খুশি তাই করে , সমস্যা হল হাসিব বেশি খুশি হলে আঙুল কামড়ে দেয়। আমাদের চিন্তা ওর অসুখ না হয়ে যায়।

হঠাৎ ভাইয়া ঘোষণা দিল ওর যত কাপড়, খেলনা , সব হাসিবের এবং আম্মু কে সে আম্মু আম্মু বলবে একবার ওর জন্য আর একবার হাসিবের জন্য। মোটাকথা হাসিব আমাদের পরিবারের একজন এবং বুবু ওকে " বিলাই" বলতে পারবে না। আমাদের গ্রামে একটা অংশে শুধু আমাদের পরিবার। তাই সবাই অনেক আদর করত। হাসিব অনেকটা আমাদের মত ছিল।

রাতে আটটার দিকে আমরা খেতাম, কোনদিন দেরী হলে ও মিও মিও করা শুরু করত, আম্মুও ওকে এখন আদর করে। তো হঠাৎ ও উধাও হয়ে গেল, আমরা অনেক খুজেও ওকে পেলাম না। ঈদের রাতে ২ ভাইবোনের শুরু হল কান্না। হাসিবকে ছাড়া আমাদের প্রথম ঈদ। প্রায় ১ বছর পরে একদিন খেতে বসছি লোম ওঠা সারা শরীরে ঘা নিয়ে হাসিব হাজির।

আম্মু ওর অবস্থা দেখে গরম পানি দিয়ে ওকে গোসল করাই দিল, ঘাতে ঔষধ দিলাম, আমাদের কোলে ওঠার জন্য মিও মিও করতে ছিল। পাতলা একটা কাপড়ে জড়ায় ভাইয়া ওকে কোলে নিতেই গলায় কামড়, তখনি আম্মু বলল হাসিব আর বাচবেনা, ও তোমাদের দেখতে আসছে। হাসিব রাতে ঘুমের মাঝে মারা যায়। সকালে ওঠে ভাইয়া দেখে কুন্ডলী করে হাসিব ঘুমাচ্ছে, কোলে তোলে দেখে ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.