ছোটবেলা থেকেই দেখতাম আমার দাদা রুটি, চা খাচ্ছেন আর দাদা পাশের একটা বিড়ালকে রুটি ছিড়ে ছিড়ে দিচ্ছেন। এই বিড়াল কে না দিয়ে কিছু খেতেন না। কাল, বাদামি আর সাদা ডোরা কাটা বিড়ালটা ভালই ছিলো। বুবু বলত এই বিড়ালটার মায়ের মা মানে ওর নানীকে দাদা নিয়ে আসছিল । এর পরথেকে এরা বংশানুক্রমিকভাবে এখানেই থাকে।
আমাদের ভাংগা পুবের ঘর ছিল ওর দখলে। আম্মু বিড়াল একদম দেখতে পারে না। আর আমাকে ত ধরতেও দিত না। ধরতে গেলেই বলত ডিপথেরিয়া হবে আর বোনাস বকাবকি ত আসেই।
আমার ভাইয়ার ছোটবেলায় হাম হওয়াতে ও ২ বছর পর্যন্ত কথা বলতে পারত না আর অনেক জেদী ছিল।
একে ত কিছু বলত না আবার ও কি চায় না বুঝলে চিৎকার। এজন্য আম্মু ওকে কিছু বলত না ও কোন বাচ্চাদের সাথে থাকত না, আব্বু, আম্মু , চাচু ছাড়া কারও কোলে ওঠত না আর মাটিতে বসে সারাদিন এই বিড়ালের সাথে খেলত। কয়েকদিন পর দেখাগেল বিড়ালটার একটা বাচ্চাকে ভাইয়া কোলে নিয়ে হাসিব হাসিব বলে আদর করতেসে আর পিচ্চি বিল্লি ইচ্ছামত খামচি দিচ্ছে। আম্মু দেখেই চিৎকার। ঠিক হল সব বিড়াল ফেলে দিতে হবে।
ভাইয়া ঘুমায় গেলে বস্তাভরে ওদের ফেলে দিয়ে আসা হয়। পরদিন দেখাগেল দাদা রুটি, চা খাচ্ছেন আর বিড়ালকে রুটি ছিড়ে ছিড়ে দিচ্ছেন, আমার ভাই হাসিবকে কোলে নিয়ে বসে আছে , হাসিব ভাইয়ার গলায় খামচি দিয়ে ধরে, আর আম্মু রান্না করছে বকতে বকতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।