নরওয়ের টেলিভিশন একটা প্রামাণ্য চিত্র দেখালো, পত্রিকায় রির্পোট হলো আর বদরুদ্দীর উমর হাউকাউ করে নেমে গেলেন ড. ইউনুসের নোবেল পুরস্কার কেড়ে নিতে। আজকের যুগান্তরে দেখলাম তার একটা লেখা-সেই হাউকাউ। তিনি বলেছেন গ্রামীণ কল্যাণ ড. ইউনুসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান যেখানে তিনি ৭০০ কোটি টাকা সরিয়ে ফেলেছেন। কয়েক লাইন পড়েই আর পড়তে ইচ্ছে হলো না এইসব পচামাল। প্রত্রিকাগুলোতে লেখা হচ্ছে গ্রামীণ কল্যাণ গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অন্তত ড. ইউনুস এর মালিকা নন সেখান এইসব বুদ্ধিজীবিরা কোন গুহা থেকে যে এসব লেখেন! তিনি বছর কয়েক আগে ভাষা আন্দোলন নিয়ে একটা বির্তকের সৃষ্টি করেছিলেন।
কিছুদিন আগে সাপ্তাহিক ২০০০ এর একটি রির্পোটে ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে একটি লেখা আসে পরে দেখা যায় সেই রির্পোর্টের অনেক কিছু ভুল । আনু মুহাম্মদেরও একটি লেখা ছিল গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রর বই কেনার দূনীতি নিয়ে একটি রির্পোট হলো উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে। আমাদের সাংবাদিকদের মধ্যেও কিছু বদরুদ্দীনের মতো মানুষ ঢুকে গেছেন।
ব্যাংকের কাজই হলো মানুষকে ঋণী করে ফেলা।
দেশে এখন অনেক ব্যাংক হয়েছে তার মানে আমাদের মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত, নিম্মমধ্যবিত্ত বেশি পরিমাণে ঋণ গ্রহণ করছে। প্রত্রিকা খুললেই দেখি বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এশিয়া ব্যাংক অমুক ব্যাংক তমুক ব্যাংক থেকে ঋণ সহায়তা পেল। তবে দরিদ্রদের ঋণী হতে দোষ কোথায়? ভাল যে গ্রামীণ ব্যাংক, প্রশিকা, আশা, ব্রাক এরা কম সুদে ঋণী দিচ্ছে। এরা না থাকলে কি গরীবরা ঋণ নিতো না? নিতো। তবে মহাজনদের কাছ থেকে।
মাসিক ১০০ টাকায় ৫০/৪০/৩০/২০/১০ এমন কি ১০০ সুদেও নিতো। গ্রামীণ ব্যাংক, আর গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কিছু মানুষ করে-কেটে খাচ্ছে তাতে সমস্যাটা কোথায়?
গরীবরা অনেক দুর্বল বলে হয়তো তাদের খেলাপী ঋণ (তখন প্রতিকায় রির্পোট হয় অমুকে ঋণের টাকার জন্য ঘরবাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে গেছে) আদায় করা সহজ হয়। কিন্তু আমাদের প্রথাগত ব্যাংক থেকে টাকা ওয়ালারা অনেক টাকা ঋণ নিয়ে ঋণ খেলাপী হয়ে সমাজে উচ্চ মর্যাদায় আসীন হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কি কিছু লিখেছেন বদরুদ্দীন উমর? ওই খেলাপী ঋণগুলো উদ্ধার করা গেলে আমাদের গরীবদের অনেক উপকার হতো।
দুঃখের বিষয় যে সতেরশ সতেকের বিখ্যাত ব্যাংকার গোপাল দাস (হাউজ অব গোপাল দাসের মালিক), খোশাল চান্দ, জগৎ শেঠ, কিংকর দাশ এরা আর মর্ত্যে নেই থাকলে বদরুদ্দীন উমরের জন্য লেখার আরও ক্ষেত্র তৈরী হতো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।