দীপক কোরেশী
বাংলাদেশের জনগণের ঘাড়ে এখন যে ফ্যাসিবাদী শাসন চড়ে বসেছে তার বহিঃপ্রকাশ ও দাপট জীবনের সর্বক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদী শাসনের মূল দিক হলো, দস্যু প্রকৃতির পুঁজিবাদী শোষক নির্যাতকদের স্বার্থবিরোধী কণ্ঠ ও কার্যকলাপ নির্মমভাবে দমন করা। এ কাজ কত নিষ্ঠুর ও ব্যাপকভাবে করা সম্ভব এটা নির্ভর করে যারা শাসন ক্ষমতায় থাকে তাদের নিজেদের আত্যন্তিক শক্তি এবং অর্থনৈতিক মেরুদণ্ডের ওপর। যারা এদিক দিয়ে দুর্বল তাদের ফ্যাসিবাদের বহিঃপ্রকাশ ঘটে অপেক্ষাকৃত এলোপাতাড়িভাবে। হিটলারের মতো সুসংগঠিত ফ্যাসিবাদ তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
কিন্তু সেটা না হলেও ফ্যাসিবাদী চরিত্রের কারণে বেপরোয়া হতে তাদের অসুবিধে হয় না। এলোপাতাড়ি অথচ বেপরোয়া, এ দুইয়ের সংমিশ্রণে অনুন্নত দেশের শাসকশ্রেণীর ফ্যাসিবাদ এক ধরনের কিম্ভূতকিমাকার চেহারা নিয়ে জনগণের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। বাংলাদেশের জনগণ এখন ক্ষমতাসীন সরকারের এই চেহারাই দেখছেন।
বাংলাদেশে শাসকশ্রেণী ও তার সরকারের ফ্যাসিবাদের বহিঃপ্রকাশ বহুক্ষেত্রে ও বহুরূপে ঘটছে। এর সব থেকে নিষ্ঠুর ও ক্রিমিনাল দৃষ্টান্ত হলো র্যাব, পুলিশ, আনসার ইত্যাদি সশস্ত্র বাহিনীর দ্বারা ক্রসফায়ার বা �এনকাউন্টার�-এর মাধ্যমে মানুষ খুন করা।
শুধু ক্রস ফায়ার বা এনকাউন্টারের মাধ্যমেই নয়, জেলে আটক অবস্থায়ও মানুষকে বেপরোয়াভাবে খুন করা হচ্ছে। যেভাবে কোনো বিচারের পরোয়া না করে, বিচারের দায়িত্ব নিজেদের হাতে নিয়ে আটক ব্যক্তিদের জেলে অথবা জেলের বাইরে খুন করা হচ্ছে তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবেই এ খুনিদের এত বড় অপরাধের কোনো বিচার হচ্ছে না, শাস্তি হচ্ছে না, এমনকি কারও জন্য জবাবদিহিতার কোনো ব্যবস্থা পর্যন্ত কোথাও নেই। অকুতোভয়ে র্যাব, পুলিশ ইত্যাদি সশস্ত্র বাহিনীর লোকেরা পাখি শিকারের মতো করে দেশের নাগরিকদের খুন করছে।
বর্তমান মহাজোট সরকারের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী আওয়ামী লীগ ২০০৮-এর নির্বাচনের আগে ক্রসফায়ার ইত্যাদি বিচারবহির্ভূত হত্যা সম্পূর্ণ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চেয়েছিল। ভোট পেয়ে গদিনসীন হওয়ার পর তারা এখন যা করছে এর মধ্যে তাদের প্রতারক চরিত্র খুব ভালোভাবেই উদ্ঘাটিত হচ্ছে।
এ প্রতারণার বিষয়ে জনগণের কোনো অংশকেই বক্তৃতা দিয়ে বোঝানোর কিছু নেই। কারণ নিজেদের জীবন দিয়েই তারা আওয়ামী লীগের এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির স্বরূপ দেখছেন। শুধু ক্রসফায়ারের ব্যাপারেই নয়, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকার এখন যেভাবে নিজেদের খেলা দেখাচ্ছে তার মধ্যে তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ ছাড়া আর কিছু নেই। কাজেই একথা বলা চলে যে, ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ তাদের এক বছরের শাসন যেভাবে পরিচালনা করছে এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারকে প্রতারণার এক প্রামাণ্য দলিল ছাড়া আর কিছুই বলা চলে না। কয়েকদিন আগে ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল খোন্দকার নিজের দলীয় লোকদের সতর্ক করতে গিয়ে বলেছেন, যে পথে তারা চলছেন সেটা পরিবর্তন না করলে পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচিত হয়ে আবার ক্ষমতায় আসা সম্ভব হবে না।
এই উক্তি ও সতর্ক বাণীর তাত্পর্য উপেক্ষা করবে কে? নিজেদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরই যখন এই ধারণা, তখন সাধারণ মানুষ এদের সম্পর্কে কী ভাবছেন এটা বোঝারও কি অসুবিধে আছে?
আওয়ামী লীগের দু�একজন মন্ত্রী বা নেতা নিজেদের বর্তমান কার্যকলাপের পরিণতির কথা এভাবে চিন্তা করলেও দলটির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব থেকে নিয়ে বিভিন্ন স্তরের নেতাদের মধ্যে এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনার পরিবর্তে বেপরোয়া মনোভাবই রাজত্ব করছে এবং এর বহিঃপ্রকাশই ঘটছে সর্বত্র।
বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্ট ক্রসফায়ারে হত্যাকাণ্ডের বিস্তার দেখে কয়েকদিন আগেই এক আদেশ জারি করেছেন তা বন্ধ করার জন্য। কিন্তু সুপ্রিমকোর্টের এ আদেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে র্যাব ও পুলিশের ক্রসফায়ার সমানে চলছে। একটি সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, �বর্তমান মহাজোট সরকারের আমলে ১১ মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের (ক্রসফায়ার) শিকার হয়েছেন ১১৮ জন। এ সময় র্যাব ও পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যখন অকাতরে ক্রসফায়ার চলছিল, ঠিক ওই মুহূর্তে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেছিলেন, সন্ত্রাসীরা গুলি করবে আর র্যাব-পুলিশ দাঁড়িয়ে গুলি খাবে, তা হতে পারে না। � (যুগান্তর ২০-১২-০৯)। নিশ্চয়ই এটা হতে পারে না, কারণ র্যাব বা পুলিশ কোনো স্বাধীন বাহিনী নয়, এগুলো সরকারেরই নিয়ন্ত্রণাধীন এবং সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশেই তারা কাজ করে। এ ক্রসফায়ারের দায়িত্ব সরাসরি সরকারের ও তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। কাজেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির উল্টো কাজ করে উল্টো কথা বলা ছাড়া গদিনসীন এই ব্যক্তিদের আর করার কিছু নেই।
শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই নয়, আওয়ামী লীগের এক বাচাল ভূতপূর্ব বামপন্থী মহিলা মন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরাও একইভাবে এখন ক্রসফায়ারের পক্ষে সোচ্চার, তার পক্ষেই বিশ্রীভাবে ওকালতি করছেন।
গত দু�তিন দিন ধরে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতারা অগ্নিবর্ষণ করছেন, তাকে জোর হুমকি দিচ্ছেন। এদের তেজ দেখে মনে হয়, এরা বিশুদ্ধ ধাতুতে গড়া, তাছাড়া এদের মতো সত্ লোক আর বুঝি ভূভারতে নেই! এ বিষয়ে কিছু আলোচনার আগে বিচারপতির কোন বক্তব্যের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মহলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে সেটা দেখা দরকার। ১৯ ডিসেম্বর �অধিকার� আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিচারপতি নজরুল বলেন, �বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। বিচারবহির্ভূত হত্যা বিচার বিভাগের জন্য বড় ধরনের আঘাত।
আমরা বিচারপতিরা জনগণের অধিকার রক্ষার শপথ নিয়েছি। কিন্তু আমাদের সামনেই যখন বিনা বিচারে কাউকে হত্যা করা হয়, তখন আমাদের জন্য সেটা আঘাতস্বরূপ। কোনো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের হাতে কাউকে হত্যার দায়িত্ব তুলে দেয়া যায় না। এটা জাতির জন্য আত্মহত্যার শামিল। যারা সংসদ সদস্য হবেন, তাদের আইন প্রণয়নের বিষয় সম্যক ধারণা থাকতে হবে।
সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব হলো জনগণের মঙ্গলের জন্য আইন তৈরি করা। আইনের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক করা। আইনের একটি শব্দ, সেমিকোলন�এসব বিষয় নিয়ে দিনের পর দিন বিতর্ক হতে পারে। কেরানিরা আইনের ড্রাফট তৈরি করে আর সংসদ সদস্যরা সেটা হো হো করে তালি বাজিয়ে পাস করে দেবেন, এটা তাদের দায়িত্ব নয়। অনেক সংসদ সদস্য আইনের ড্রাফটটি অনেক সময় পড়েও দেখেন না, দলীয় লোক আইন উত্থাপন করেছেন, তাই এটা পাস।
� (আমার দেশ, ২১-১২-০৯)
ওপরে বিচারপতি নজরুল ইসলাম যা বলেছেন তার কোনটি অসত্য? বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড? সংসদ সদস্যদের দ্বারা প্রস্তাবিত আইনের ড্রাফট বা খসড়া পড়ে না দেখা? আইনের খুঁটিনাটি বিচার না করে, বিতর্ক না করে হাত দেখিয়ে বিল পাস করা? সরকারি দল কর্তৃক বিভিন্ন বিষয়ে আইনের খসড়া উপস্থিত করার পর প্রায়ই কোনো আলোচনা ছাড়াই সেটা পাস করা?�এর মধ্যে কোনটি অসত্য? উপরন্তু এটা কি সত্য নয় যে, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে উপস্থিত থেকে জনগণের স্বার্থে বুঝে বুঝে আইন প্রণয়নের কথা থাকলেও তারা কি বিপুল সংখ্যায় সংসদে অনুপস্থিত থেকে কোরাম ফেল করান না? এ ক্ষেত্রে কি তারা সামান্যতম দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন? এছাড়া আরও সত্য আছে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের বিপুলসংখ্যক সদস্য কোনো সভ্য দেশের জাতীয় সংসদ বা পার্লামেন্টের সদস্য হওয়ার সম্পূর্ণ অযোগ্য। যে কথাটি বিচারপতি নজরুল ইসলাম বলেননি তা হলো অনেক সংসদ সদস্যই মহামূর্খ। কোনো আইনের ড্রাফট পড়ে বোঝার ক্ষমতা তাদের নেই। তারা হলেন অল্পশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত ব্যবসায়ী।
সংসদে বসেও তারা জনগণের স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ের চিন্তা অপেক্ষা নিজেদের ব্যবসায়ী স্বার্থ চিন্তাতেই বিভোর থাকেন। বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই যে, এ কারণে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সাংস্কৃতিক মান বিপজ্জনকভাবে নিম্ন।
বিচারপতি নজরুল সংসদ সদস্যদের বিষয়ে উপরোক্ত মন্তব্য করায় তাদের সম্মানে নাকি আঘাত লেগেছে! এমন কাজ তারা করেন কেন, যাতে সে বিষয় নিয়ে কথা বললে তাদের �সম্মানে� আঘাত লাগে, তাদের মানহানি হয়? বিচারপতি নজরুল ইসলাম তো শুধু সংসদ সদস্যদের আচরণের কথাই বলেননি। আলোচনায় তার মূল বক্তব্য ছিল বিচারবহির্ভূত হত্যা সম্পর্কে। সে বিষয়ে আওয়ামী লীগের �গণতন্ত্রী� নেতানেত্রীদের কোনো বক্তব্যই তো শোনা যায়নি।
নিরীহ মানুষ সরকারি বাহিনী দ্বারা হত্যার বিষয় তাদের মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। প্রতিক্রিয়া হয় তাদের সম্পর্কে সত্য ভাষণের বিরুদ্ধে! দেশের সুপ্রিমকোর্টের একজন বিচারপতির যথার্থ বক্তব্যে সংসদ সদস্য, মন্ত্রীদের মানহানি হয়। কিন্তু তারা বিচারপতির বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্য প্রদান করে জুডিশিয়াল কাউন্সিল করা, সংসদে এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলতে তাদের অসুবিধা হয় না। তারা মনে করেন, বিচার বিভাগ মন্ত্রিসভার অধীন, বিচারকরা সংসদ সদস্যদের ও ক্ষমতাসীন দলের নেতানেত্রীদের গোলাম!
এসবই হলো ফ্যাসিবাদের বহিঃপ্রকাশ। ফ্যাসিবাদ শুধু ক্রসফায়ারের মতো হত্যাকাণ্ডই ঘটায় না।
সমাজের প্রত্যেক ক্ষেত্রে ভিন্ন মত ও শাসকচক্রের স্বার্থবিরোধিতাকে চূর্ণ করার জন্য এমন কাজ নেই, যা তারা করতে পারে না।
কয়েক দিন হলো, আমার দেশ পত্রিকায় জ্বালানি উপদেষ্টা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্রের ঘুষ গ্রহণের সম্পর্কে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর পত্রিকাটির রিপোর্টার ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব যে উন্মত্ত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে চলেছেন সেটাও তাদের ফ্যাসিবাদী চরিত্রেরই পরিচায়ক। বিভিন্ন সময় শাসক শ্রেণী ও দলের লোকজন এবং বর্তমানে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত দলের নেতানেত্রীরা যে ধোয়া তুলসী পাতা নন এটা কে না জানে? ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত দলের শোষণ-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে নির্বাচনের সময় বিভ্রান্ত হয়ে ভোটাররা মনে করেন যে, একটিকে বিদায় করে অন্যটিকে আলিঙ্গন করলে তাদের উপকার হবে। কিন্তু নিজেদের ভোট এভাবে দিয়ে তারা এক চুলো থেকে আর এক চুলোতে নিক্ষিপ্ত হন।
প্রধানমন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে ঘুষখোরির অভিযোগ এলেই যে অভিযোগকারীদের ওপর সরকারি ক্ষমতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে এরকম কোনো গণতান্ত্রিক নিয়ম নেই।
এটা ফ্যাসিবাদের নিয়ম। উত্তেজনা প্রকাশের পরিবর্তে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে হুমকি প্রদান এবং বাস্তবত তাদের ওপর শারীরিক আক্রমণ না চালিয়ে, তাদের অভিযোগ সম্পর্কে যুক্তিসঙ্গত বক্তব্য প্রদান করে এবং এ অপরাধ করেননি এ বিষয়ে প্রমাণ দাখিল করেই তারা নিজেদের সন্দেহমুক্ত করতে পারেন, যেমন অভিযোগকারীদেরও দায়িত্ব হচ্ছে তাদের অভিযোগ প্রমাণ করা। যে কোনো সভ্য দেশে এ ধরনের অভিযোগ উত্থাপিত হলে তার মীমাংসা এভাবেই হয়ে থাকে। অভিযোগ উত্থাপিত হলে তার নিষ্পত্তি সঠিক তদন্ত এবং আদালতের মাধ্যমেই হতে পারে। মামলার নিষ্পত্তি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খিস্তিখেউড় ও গুণ্ডামির মাধ্যমে সম্ভব নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।