আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বব্যাপী মহা মানব ইউনুস নামা প্রকাশিত হইতাছে । এই বার বিশ্ব চিটিং পদকটা যেন দেশের হাত ছাড়া না হয়



ড.ইউনূসের দারিদ্রমুক্ত বিশ্ব। যাদুঘরে দারিদ্রের আয়েশি অবস্থান!!! ইউরোপের দেওয়া কোটি কোটি ডলার গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরানোর অভিযোগ উঠেছে মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে। নরওয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক প্রামাণ্যচিত্রে এ অভিযোগ তোলা হয়ভাবিয়া শান্তি পাইতাছি মহা মানব ইউনুস স্যারের দরিদ্র দরিদ্র খেলার কিছুটা প্রকাশিত হল [/sb ড.মুহাম্মদ ইউনূস তার নোবেল বক্তৃতায় বলেছিলেন আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সম্মিলিত অঙ্গীকার থাকলে আমরা দারিদ্রমুক্ত বিশ্ব গড়তে পারি । দারিদ্রমুক্ত বিশ্বে কেবল এক জায়গাতেই দারিদ্রকে দেখতে পাওয়া যাবে আর সেটা হল যাদুঘর। মহা মানব ইউনূস সাহেবের এই উক্তি আজ ক্রমেই সূর্যের ন্যায় সত্য হয়ে প্রতিদিন বাংলার আকাশে উদয় হচ্ছে ।

আমরা এই সত্যের সুফল পাওয়া শুরু করেছি। আর গ্রামীণ ব্যাংক ও তার সহযোগীরা তাদের অর্থনীতির বস্তা ভরা কাগজ কলমের হিসেবে দেশের দারিদ্রতাকে শূণ্যের কোটায় নামিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দাবী গ্রামীণ ব্যাংকের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে শতকরা ৭৫ ভাগ দরিদ্র মানুষ ক্ষুদ্রঋণের আওতায় আছে এবং এর ঋণগ্রহীতার শতকরা ৫৬ ভাগ দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠে এসেছে। সরকারি ও বেসরকারি পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় তথ্যটি মোটেই সঠিক নয়। সরকারের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, ২০০৫ সালে হতদরিদ্রের পরিমাণ নয় কোটি ৩৮ লাখ।

২০০০ সালে ছিল নয় কোটি ১০ লাখ। পাঁচ বছরে বেড়েছে ২৮ লাখ। বেসরকারি হিসাবে এই বৃদ্ধি দুই কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বিভিন্ন শাখার কার্যক্রমের তথ্য বিশ্লেষণে গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্যের তালিকায় দেখা যায় মুনাফা অর্জনে সাফল্যের হার সবার উপরে এবং দারিদ্র্যসীমার উপরে ঋণগ্রহীতাদের নিয়ে আসার হার সবার নিচে। গ্রামীণ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, এর শতকরা ৮১ দশমিক ৪০ ভাগ শাখা মুনাফা অর্জন করেছে, শতকরা ৭৪ দশমিক ৩৭ ভাগ শাখা শতকরা একশ ভাগ ঋণ আদায় করেছে এবং ঋণগ্রহীতারা দারিদ্র্যসীমার উপর উঠে এসেছে এ রকম শাখার শতকরা হার দুই ভাগের কিছু বেশি।

গ্রামীণ ব্যাংকের এই লাভের চিত্রে সুস্পষ্ট গ্রামীণ ব্যাংকের আপাতত দারিদ্র বিমোচন হয়েছে । এখন ইউনূস সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ব্যবসায় নেমেছেন। এই ব্যবসার অর্থকোন ভাবেই আথির্কভাবে লাভবানের জন্য নয়। তিনি বিশ্ব বিখ্যাত গুড়ো দুধ ডানোর সঙ্গে কোম্পানীর সঙ্গে দারিদ্রতার অভিশাপ থেকে সদ্যমুক্ত শিশুদের অপুষ্টির থেকে রক্ষায় শক্তি দই নিয়ে এসেছে। জার্মানির জুতা নির্মাতা এডিডাসের সঙ্গে একটি যৌথ প্রকল্পের চিন্তাভাবনা করছেন।

দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে অতি স্বল্প মূল্যে বিশ্ব বিখ্যাত ব্রান্ডের জুতা পরার সুযোগ করে দেওয়ায় জন্য। খুশির খবর ইতোমধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষরও করেছেন। ইউনূসের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দারিদ্রতাকে যাদুঘরে পাঠাতে ৮৫ থেকে ১০০% সুদে ঋণ নিতে হচ্ছে যাদের অপুষ্টি রুখতে শক্তি দই আর এডিডাস জুতা পড়ার জন্য কত শতাংশ হারে সুদ নিতে হবে তাই দেখার বিষয়? গ্রামীণ ফোনের যোগাযোগ আর গ্রামীণ ব্যাংকে সুদ কার্যক্রমের পর এডিডাসের জুতা এবং শক্তি দইয়ে এই অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের ভাগ্য কতটা পাল্টাবে তা নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকার কথা নয়। তবে দেখার বিষয় সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ব্যবসা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কতটা ভয়ানক রূপে উপস্থাপিত হয়। তবে এই কথা সত্য যে ইউনূস তার মেধা ও কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ নামক কার্যক্রমটিকে শোষকের জন্য নতুন শোষণের যন্ত্রটিকে উপস্থাপন করেছেন মহানুভবতার মোড়কে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.