হযরত কুরাইব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত হিবরুল উম্মাহ্ হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন আব্বাস (রাঃ) এর হাদীসঃ
“হযরত কুরাইব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত উম্মুল ফজল বিনতে হারেস তাঁর কোন এক কাজে আমাকে শামে (সিরিয়ায়) হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) এর নিকট পাঠান। অতএব আমি শামে (সিরিয়ায়) পৌঁছে তাঁর হাজত পূরণ করলাম। ইতোমধ্যেই শামে রমযান মাস আগমন করল, এবং আমরা শুক্রবার রাত্রে সেথায় চাঁদ দেখলাম। অতঃপর মাসের শেষের দিকে আমি মদীনায় ফিরে আসলাম। তখন হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন আব্বাস (রাঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ হলে তিনি চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন- তোমরা কোন দিন চাঁদ দেখেছিলে? আমি বললাম জুমার দিন রাত্রে।
তিনি বললেন- তুমি নিজে দেখেছিলে? আমি বললাম- হ্যাঁ, এবং সকল মানুষ দেখেছে। আর ঐ চাঁদের ভিত্তিতে হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) সহ সকল মানুষ রোযা রেখেছে। তিনি বললেন- কিন্তু আমরা (মদীনায়) শনিবার রাত্রে চাঁদ দেখেছি। সুতরাং আমরা রোযাকে আমাদের হিসাবে ত্রিশে পূর্ণ করব অথবা নতুন চাঁদ দেখে ছাড়ব। আমি বললাম হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) এর চাঁদ দেখা ও রোযা পালনও কি চাঁদ প্রমানের জন্য আপনি যথেষ্ট মনে করেন না? তিনি বললেন, “না।
আমাদেরকে রাসূল (সাঃ) এরকমই আদেশ করেছেন”। (মুসলিম শরীফঃ ১/৩৪৮)
ফুক্বাহায়ে কেরাম এ মর্মে ঐক্যমত পোষন করেছেন যে, দুই দেশের দূরত্ব যদি এত বেশী হয় যে, সাধারণ নিয়মে এই দুই দেশে একসাথে চাঁদ দেখা অসম্ভব, তবে ঐ দু-দেশের কোন এক দেশে চাঁদ দেখার দ্বারা অপরটির উপর আমল জরুরী নয়, যদিও শরয়ী পন্থায় চাঁদ দেখার সংবাদ পৌঁছে যায়
উপরোক্ত হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন আব্বাস (রাঃ) একই দিনে ঈদ করার সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়েছেন। বিশ্বের ৯৯.৯৯৯৯৯৯৯৯% আলেম একই দিনে ঈদ করার বিপক্ষে। সকল আলেম ভূলের উপর একত্রিত হয়েছেন এমনটা ভাবা যায় না।
যারা একইদিনে ঈদ করার পক্ষে এরা ফেৎনাবাজ (বিশৃংখলা প্রিয়) মানুষ।
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকেই সঠিক দ্বীন বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন । আমিন !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।