এ মুহূর্তে পৃথিবীতে ৬৪০ মিলিয়ন আগ্নেয়াস্ত্রের অস্তিত্ব রয়েছে, পৃথিবীর প্রতি ১০ জন জীবিত মানুষের জন্য একটি করে।
গত দশ বছরে ৮ মিলিয়ন অস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। বিনিময়ে প্রতি বছর উৎপাদন হয়েছে আরো ৮ মিলিয়ন করে, ধ্বংসের ১০ গুণ।
বছরে ১২ বিলিয়ন সামরিক ক্ষুদ্রাস্ত্রের রসদ উৎপাদিত হয়, পৃথিবীর প্রতিটি নারী, পুরুষ ও শিশুর জন্য বরাদ্দ হয় ২টি করে বুলেট।
বিশ্বে সামরিক খাতে প্রতি বছর ব্যয় হয় ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সারা পৃথিবীতে কৃষিতে ব্যয় মাত্র ৩২৫ বিলিয়ন; আর দরিদ্র দেশের জন্য সহায়তা বরাদ্দ হয় ৬০ বিলিয়ন।
২০২০ সালের মধ্যে যুদ্ধ আর সন্ত্রাসে হতাহতের সংখ্যা এ যাবত পৃথিবীতে ম্যালেরিয়া আর বসন্তে মোট নিহতের সংখ্যাকে বহুগুণে ছাড়িয়ে যাবে।
হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে একত্রে যত লোক নিহত হয়েছিল, প্রতি বছর আগ্নেয়াস্ত্রে তার চেয়ে বেশি লোক প্রাণ হারায়।
ধনী দেশগুলো (আমেরিকা, বৃটেন, জার্মানি, ফ্রান্স ইত্যাদিসহ ১২টি দেশ) এইচআইভি/ এইডস নিয়ন্ত্রণে যত টাকা ব্যয় করে তা তাদের সামরিক খাতের মাত্র ১৮ দিনের ব্যয়। এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ল্যাটিন আমেরিকা এবং আফ্রিকা প্রতি বছর অস্ত্রের জন্য ব্যয় করে ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, এই টাকা দিয়ে ২০১৫ সালের মধ্যে প্রতিটি শিশুকে তারা স্কুলে পাঠাতে পারতো, শিশু মৃত্যুহার কমাতে পারতো বর্তমানের দুই-তৃতীয়াংশ (দুইবার এমডিজি পূরণ করতে পারতো)।
শুধুমাত্র ২০০৬ সালে দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক খাতে ব্যয় করা ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে ৫০ কোটি দরিদ্র দরিদ্র জনগোষ্ঠীর (যাদের আয় দিনে ১ ডলারের কম) দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক ভূমিকা রাখা সম্ভব হতো না কি? ২০০৫ সালে পৃথিবীর মোট সামরিক ব্যয় ১ ট্রিলিয়ন (এক হাজার বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। এই টাকার ভগ্নাংশ দিয়ে দরিদ্র দেশগুলোর ঋণ মওকুফ করে দেয়া যায়।
মানুষ হত্যার জন্য মানুষ যত অর্থ, শ্রম ও মেধা ব্যয় করেছে, বিজ্ঞান ও মানবাধিকারের জন্য তার শতাংশ ব্যয় করলে আমরা এতোদিনে অন্য এক পৃথিবী দেখতে পেতাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।