এক জন পুরুষ যতই সাহসী ও শক্তিশালী হোক না কেন তার জন্য একটি নারীই যথেষ্ট্য।
বিশ্বব্যাপী পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত
‘ঈদুল আজহা’ শব্দদ্বয় আরবি। ‘ঈদ’ অর্থ খুশি আর ‘আজহা’ অর্থ কোরবানি বা আত্মোত্সর্গ। তাই ‘ঈদুল আজহা’ অর্থ হলো আত্মোত্সর্গের খুশি। মূলত মুসলমানদের ঈদের খুশি সাধারণ অর্থে নয়; বরং উত্সর্গ ও ত্যাগের মাধ্যমে ধর্মীয় কর্তব্য পালনের আনন্দ।
ঈদুল আজহার সঙ্গে কোরবানি সম্পৃক্ত বিধায় একে কোরবানির ঈদ বলা হয়।
ঈদুল আজহার উদ্দেশ্য স্রষ্টার সন্তুষ্টির জন্য নিজেকে উত্সর্গ করতে প্রস্তুত থাকা। এরই প্রতীক হিসেবে পশু কোরবানি করা হয়। এই কোরবানির মাধ্যমে মূলত মানুষের মধ্যে বিরাজমান পশুশক্তি, কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, পরনিন্দা, পরশ্রীকাতরতা ইত্যাদি রিপুকেই কোরবানি দিতে হয়। হালাল অর্থে কেনা পশু কোরবানির মাধ্যমেই তা সম্পন্ন হয়।
কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি ঐকান্তিক প্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটে, যা দিয়ে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ করা যায়।
কাল পরিক্রমায় প্রতিবছর হজের পরে ঈদুল আজহা ফিরে আসে। ঈদুল আজহার প্রধান আকর্ষণ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো কোরবানি। ঈদের দিন কোরবানিকে কেন্দ্র করে ধুমধামের সঙ্গে চলে ঈদের মহোত্সব। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কোরবানির দিন রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে প্রিয় কোনো আমল আল্লাহর কাছে নেই।
কোরবানিকারী কিয়ামতের দিন জবেহকৃত পশুর লোম, শিং, খুর, পশম ইত্যাদি নিয়ে আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে। কোরবানির রক্ত জমিনে পতিত হওয়ার আগেই তা আল্লাহর কাছে বিশেষ মর্যাদায় পৌঁছে যায়। অতএব, তোমরা কোরবানির সঙ্গে নিঃসংকোচ ও প্রফুল্লমন হও। ’ (ইবনে মাজা, তিরমিজি) পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর সমীপে না তার গোশত পৌঁছে, আর না তার রক্ত; বরং আল্লাহর কাছে তোমাদের তাকওয়া পৌঁছে থাকে। ’ (সূরা আল-হজ, আয়াত: ৩৭)
-- পবিত্র মক্কা শরিফে যখন হজ্জের অন্যতম আনুষ্ঠানিকতা হিসাবে লাখ লাখ মুসলিম শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর নিক্ষেপে ব্যস্ত, তখন বিশ্বব্যাপি মুসলমানরা তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করছে।
সৌদিআরবে অবস্থানরত হাজিরা বৃহস্পতিবার রাতে মুজদালিফায় অতিবাহিত করে শুক্রবার ভোরে মিনায় পৌঁছান। শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর নিক্ষেপের আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্য তারা ভোর থেকেই জামারাত ব্রিজের নিকট সারিবদ্ধভাবে জমায়েত হতে খাকেন। হজ্জের এই আনুষ্ঠানিকতাকে সব থেকে ঝুকিপুর্ণ বলে ধরা হয় কারণ এই জামারাত ব্রিজের সন্নিকটেই এর আগে কয়েকবার দুর্ঘটনায় বেশকিছু কিছু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। সম্প্রতি স্থানটি নতুন করে সংস্কার করার কারণে বিগত কয়েক বছর ধরে কোন দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
তবে এবারের হ্জ্জ পালনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
ব্যাপক বৃষ্টির কারণে মিনার অধিকাংশ হজ্জ ক্যাম্প ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গেছে। বর্জ্রপাত ও বন্যায় জেদ্দা শহরে এপর্যন্ত ৮০ ব্যাক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বন্যার কারণে সেখানে আটকে আছেন হাজার হাজার মানুষ। তার উপর রয়েছে H1N1 ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক। সবমিলে এবারের হজ্জ পালন বিগত যেকোন সময়ের চাইতে কঠিন বলে প্রতিয়মান হচ্ছে।
এদিকে বিশ্বের অনেক দেশেই শুক্রবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকা সহ অনেক দেশেই ছাড়িয়ে পড়েছে পবিত্র ঈদের আনন্দধারা। মুসলমানগন ঈদের বিশেষ নামাজ, মিস্টিজাতিয় খাবার বিতরণ এবং আত্মীয়-স্বজনের সাথে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে এই দিনটি উদযাপন করছেন।
প্রতিবারেরর মত প্যারিসেও বর্ণাঢ্য ঈদ অনুষ্ঠিত হয়েছে
তবে বাংলাদেশ সহ এশিয়ার অন্যান্য দেশে শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।