আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবজাব কথন

আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-)

কয়েক দিন ধরেই মেজাজটা কারনে অকারনে খারাপ থাকে। অনেক বেশী আবেগ প্রবণ যার জন্যে নিজেই নিজের উপর বিরক্ত।

রাগ, আবেগ, অভিমানটা অনেক বেশী। আবার তা ভাংগানোও অনেক সহজ। অল্পতেই রাগ উবে যায়। তবে ইদানিং একটা ব্যাপার নতুন যোগ হয়েছে তা হল কষ্ট কে নিয়ত্রণ করা, যা আগে পারতাম না। চলার পথে অনেক বন্ধু পাওয়া যায়, সময়ে তারা খুব আপণ হয়ে যায় কিন্তু একটা সময় ঠিকই প্রমাণিত হয় সেই বন্ধুত্বের পেছনে কোন না কোন স্বার্থ থাকে।

স্বার্থ শেষ বন্ধুত্বও শেষ। সফল ভাবে শুধু একজনের সাথেই টিকে আছে। যদিও বিপরীত স্বভাবের দুজন মানুষ যার জন্যে মান অভিমানটাও বেশী হয়। তার পরেও সখ্যতা কেন যেনো বেশী। হয়ত সবাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি শুধু আমরা দুজনেই রয়ে গেছি এখনও একসাথে।

পড়াশুনার জন্যে দুজন দুই কলেজে ভর্তি হলেও আমার কলেজটা ওর খুব খুব খুব পছন্দের। আমার খুব একটা ইচ্ছা ছিলনা সেখানে পরীক্ষা দেওয়ার ও দিচ্ছিল তাই দিয়েছিলাম। পরীক্ষা দিতে দিতে কোথাও চান্স না পেয়ে চরম ভাবে আশাহত হয়েছিলাম। জাস্ট দেওয়ার জন্যে দিয়েছিলাম কিন্তু ভাবিনি চান্স পাবো। চান্স তো পেলাম-ই ভাল ভাবেই পেলাম(যার জন্যে খোদার কাছে অশেষ শুকরিয়া) কিন্তু ও, পেলনা চান্স।

খুব কষ্ট পেয়েছিল। ভুলতে পারেনি সেই কলেজ। এজন্যে পরের বছরেই জন্যে আবার পড়াশুনা শুরু করল। বেচারী চরম ভাবে কষ্ট পাবে (আল্লাহ না করুক) এবার যদি না পায়। দোস্ত খুব খুব খুব করে চাইরে এবার চান্সটা হয়ে যাক।

একসাথে ক্যাম্পাসে যাবো দুজন। এক সাথে ঘুরবো। বেশী আশা করতে, স্বপ্ন দেখতে ভয় পাই(যদি আশা ভংগ হয়ে যায়) তার পরেও আশা করি, স্বপ্ন দেখি। অনেক অনেক শুভকামনা রইলরে। =============================== মা, যতই প্রাণের দোস্ত থাকুক আর যাই থাকুক তোমার চেয়ে আপন যে আর কেউ না এটা চন্দ্র-সূর্যের মত সত্য।

তবে এই সত্যটা ইদানিং খুব বেশী উপলব্দি করতে পারি, করি। কিন্তু মা তোমার যোগ্য মেয়ে যে হতে পারলাম না...না গুণ না রুপ, কোনটাই না। জানো ফ্রেন্ডরা যখন বলে "আন্টিতো অনেক সুন্দর..." তখন কি যে ভাল লাগে। নিজে নিজেই যখন বলি, "ইশ আমি কি কালো, কালোর চোটে চকচক করছে গায়ের রং" তুমি তখন বলতে থাক ঢাবিতে চান্স পেলে আমার কালা মানিকটার-ই কত্ত দাম হবে। পেলাম না তো চান্স।

পারলাম না তো তোমাদের চাওয়া পূরণ করতে। যখন ভেংগে পড়েছিলাম তখন সান্ত্বনা দিয়েছো এই বলে, "ঢাবি ছাড়া কি মানুষ পড়ে না, এত ভেংগে পড়ার কি আছে"। জানি আমার চেয়ে কোন অংশে কষ্ট কম পাওনি বরং বেশীই পেয়েছো। প্রায়ই দুষ্টুমি করে জড়িয়ে ধরে বলো "আমার কালা মানিকটা, কালা পাখিটা" কি যে ভাল লাগে ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। মেয়ে বলে কখনও আদরের কমতি ছিল না।

ছেলের প্রতি ছিল না কখনও স্পেশাল আদর। কেন যে এত ভালবাসো...তোমরা সব মা-ই কেন এত ভাল। তোমারই শরীরের একটা অংশ, তোমারই নাড়ী ছেঁড়া ধন বলে...তাই না? তোমার মত ভাল মা হয়ত হতে পারবো না তবে যে দিন মা হব সেদিন হয়ত বুঝবো কেন স্বার্থহীন ভাবে ভালবেসে যাও, সব দিয়ে যাও....(হয়ত) মানুষের জীবনের লক্ষ থাকে একটি, কিন্তু আমার কয়েকটি। তার মাঝে একটি হল ভাল একজন মা হওয়া। চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে, কী মুশকিল! আর একটু কথা যে বাকী আছে... বেশীর ভাগ সময় ই অসুস্থ থাকো।

তোমাকে অসুস্থ দেখলে খুব কষ্ট লাগে। আল্লাহ'র কাছে কত্ত করে বলি তোমাকে যেনো সব সময় সুস্থ রাখে। কেন যে আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করে না। আল্লাহ সব সময় তোমাকে সুস্থ রাখুক। সুস্থ থাকো সব সময় সেই দোয়াই করি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।