www.cameraman-blog.com/
দুই দিন থেকে চেষ্টা করছি ছবি তুলতে বের হবো। তো তা আর হচ্ছিলো না। কাল চারুকলায় নবান্ন উৎসব মিস করেছি কেবল উত্তরা থেকে কোন বাসে উঠতে না পেরে। কি আর করা। বাসায় ছোট ভাই তার ফ্যামিলি নিয়ে এসেছে।
ভাতিজার সাথে সকালবেলাটা কাটালাম। দুপুরের খাবার খেয়ে বের হলাম ক্যামেরা কাঁধে নিয়ে। মূখে একটা ভারিক্কি ভাব ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করলাম। কারণ ডান্ডাওয়ালা ক্যামেরা দেখলে লোকজন বেশ সমীহের দৃষ্টিতে দেখে।
বাসা থেকে নিচে নামতেই চোখে পড়লো নরসিংদির এনথ্রাক্স মুক্ত পরিবেশ থেকে আমদানীকৃত কালো গরুটার দিকে।
ভাবলাম এটাকে দিয়েই শুরু করি। কাল এই সময় হয়তো এ থাকবে আমার উদরে। ক্লিক ! ক্লিক !!
গেট দিয়ে বেরুতেই দেখি দুই পিচকি একটা ওয়াকারকে গাড়ী বানিয়ে খেলছে। কোন বাসা থেকে হয়তো পুরানো হিসেবে দিয়ে দিয়েছে। ওতেই তাদের আনন্দ আর যেন ধরে না।
এরপর ক্লিক ! ক্লিক !! ক্লিক !!!
ষাঁড়টার কুঁজটা বেশ, সেই সাথে ইয়েটাও
ছাগোলস এন্ড দেয়ার কিপারস
কেউ বেচে গরু-ছাগল আর কেউ বেচে খড়-ভূষি
কয়েকহাত দূরেই ফুট ওভারব্রিজ। তবে এইভাবে একে-বেকে গাড়ীর মধ্যে দিয়ে রাস্তা পার না হলে যেন জীবনটাই বৃথা
এক সেকেন্ডের জন্যও কারও দেরী সহ্য হয় না
নিনজারাও কম কিসে ...
প্রেমিকের হাত ধরে রাস্তা পার হওয়ার মজাটাই যেন আলাদা ...
ফুট ওভার ব্রিজেে দিয়ে রাস্তা পার হবেন ? দেখেন অবস্থা !!!
ফুটপাথেও শান্তি নাই।
আজ দুইটা বোধোদয় হলো। প্রথমতঃ গরু দুই রকমের। একটার ৪টা ঠ্যাং।
এইটারে ঈদের দিন কুরবানী করা হয়। আরেকটা গরু ২ ঠ্যাং ওয়ালা। যারা যে কোন সময় যে কোন পরিস্থিতিতে কুরবানী হওয়ার চেষ্টা করে।
দ্বিতীয়ক টাকা আদায়ের ২টা তরিকা আছে। ভদ্রলোকেরা ফাইল আটকিয়ে টাকা নেয়।
যেটাকে আমরা বলি ঘুষ। আর ফকিরেরা রাস্তায় ঠ্যাং মেলে দিয়ে পথ আটকে টাকা চায়। যেটাকে আমরা বলি ভিক্ষা।
আপনাদরন সকলের ঈদ আনন্দে কাটুক।
ঈদ মোবারক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।