বাংলায় কথা বলি,বাংলায় লিখন লিখি, বাংলায় চিন্তা করি, বাংলায় স্বপ্ন দেখি। আমার অস্তিত্ব জুড়ে বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ।
শিক্ষার্থীদের সামনে পিতার মৃতদেহের ব্যবচ্ছেদ করবেন ডাক্তার মহন্তেষ রামানাভার (৪০)। এ ঘটনাটি ঘটবে কর্ণাটকের কঙ্কাবতী আয়ুর্বেদ মেডিকেল কলেজে।
প্রায় দুই বছর আগে তার পিতা ৮৯ বছর বয়সে মারা যান।
তিনি ছিলেন সুপরিচিত আয়ুর্বেদ ডাক্তার। তিনি মারা যাওয়ার আগে ছেলে মহন্তেষকে শেষ ইচ্ছা জানিয়ে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন- তার মৃতদেহ দান করা হবে ওই কলেজে। সেখানে শিক্ষার্থীদের সামনে মহন্তেষকে তার পিতার মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদ করতে হবে। এর মাধ্যমে তার দেহ মেডিকেল গবেষণায় ব্যবহৃত হবে।
মহন্তেষ তার পিতার ব্যবচ্ছেদ করতে পারবেন তার পিতার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে। আগামী ১৩ই নভেম্বর তার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। এ দিনই পিতার শেষ ইচ্ছা পূরণ করবেন মহন্তেষ। তবে তিনি বলেছেন, এ কাজটি তার পক্ষে চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু তার সামনে এ ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
১৩ই নভেম্বর আমি বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে চাই। তিনি বলেছেন, মানবদেহের রক্ত সংবহনতন্ত্র নিয়ে গবেষণার জন্য খ্যাতনামা চিকিৎসক উইলিয়াম হারভেকে দেখে তিনি সাহস সঞ্চয় করেছেন। উন্নত চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণার জন্য উইলিয়াম হারভে তার বোনের মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদ করেছিলেন। মহন্তেষ বলেন- এসব কাজের মাধ্যমে মানুষকে দেহ দানে উৎসাহিত করবে বলে আশা রাখি। আমি বিশ্ববাসীর কাছে এই বার্তাটিই পৌঁছে দিতে চাই।
তাইতো পিতার মৃতদেহের পাশে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের তিনি বলেছেন, আমার মধ্যে আবেগ আছে। অনুভূতি আছে। আমিও মানুষ। বাবার মৃতদেহ দেখে কাঁদে না কোন জন! কার বুক কাঁপে না! তার পরও সেই সব আবেগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। পিতার দেহ ব্যবচ্ছেদের বিরুদ্ধে তার মা বা পরিবারের কারো বারণ নেই।
তিনি বলেন- পরিবার তো আমাকে সমর্থন দিচ্ছে। কারণ, এটা আমার পিতার শেষ ইচ্ছা।
তথ্যসূত্র: Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।