আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফুলবাড়ী কয়লাখনি আন্দোলন : তিন শহীদ পরিবারের খোঁজ নেয় না কেউ



ফুলবাড়ী কয়লাখনি আন্দোলন : তিন শহীদ পরিবারের খোঁজ নেয় না কেউ ডিজিটাল দিনাজপুর ## ফুলবাড়ী কয়লাখনি আন্দোলনে ৩ শহীদ স্বজনের খোঁজ-খবর কেউ নেয় না। ওরা শুধু মিটিং, মিছিল, সভা, সমাবেশ করে। যারা ফুলবাড়ীর মাটি থেকে চিরবিদায় নিলেন, তাদের পরিবারকে কেন দেখতে আসে না—কথাগুলো কন্নাজড়িতকণ্ঠে বলেন ফুলবাড়ী কয়লা খনিবিরোধী আন্দোলনে শহীদ তরিকুলের মা তহমিনা বেগম। প্রায় ৪ বছর আগে ২০০৬ সালে ২৬ আগস্ট খনিবিরোধী আন্দোলনে গুলিতে মারা যান রাজশাহী নিউডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের অনার্সপড়ুয়া মেধাবী ছাত্র আবু সালেহ তরিকুল ইসলাম (২০)। কলেজ বন্ধ থাকার কারণে তরিকুল নিজ বাড়ি ফুলবাড়ী পৌর শহরের চানপাড়া গ্রামে আসে।

খনিবিরোধী আন্দোলনের দিনে বিডিআরের গুলিতে প্রাণ হারায় আবু সালেহ তরিকুল ইসলাম। মৃত দেহটি প্রশাসন লুকিয়ে রাখলেও ফুলবাড়ী পৌর প্যানেল মেয়র মোখলেছুর রহমানের চাপের মুখে বিকালে তরিকুলের লাশ ফেরত দিতে বাধ্য হয়। এ মৃত্যুকে পুঁজি করে বাম সংগঠনগুলো প্রতিনিয়ত ফুলবাড়ীতে মিছিল-মিটিং-সভা-সমাবেশ করেছে। কিন্তু যারা মারা গেল তাদের স্মরণে কোনো কিছু করা হলো না। শুধু ফায়দা লুটার তালে থাকে তারা—একথা বললেন তরিকুলের বাবা।

তিনি আরও বলেন, বাম নেতারা ৩০ অক্টোবর লংমার্চ করল; কিন্তু তারা তো আমাদের ডাকতে পারত। আমাদের তো লংমার্চ সমাবেশে উপস্থিত জনগণের মধ্যে নিয়ে যেতে পারত। তা তারা করেনি। তত্কালীন জোট সরকার নিহতদের ২ লাখ টাকা করে অনুদান দিয়েছে। আর বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা ২০ হাজার করে এবং স্থানীয় বিএনপি নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী মনসুর আলী ৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেন।

তারপর থেকে আর কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি। বাম দলের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রথমে দু-একদিন তরিকুলসহ বাকিদের কবর জিয়ারত করতে এলেও এখন তারা আর আসে না। অন্যদিকে ফুলবাড়ী এলাকার বারোকোনা গ্রামের শহীদ শিশু আমিনের বাবা দিনমজুর আবদুল হামিদ ও মা রেহেনা বেগম বলেন, বাম সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা কোনোদিন কোনো সুযোগ-সুবিধা পাইনি। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অনেক; কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি একটিও। নিহত সালেকিনের মা সুফিয়া বেগম আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, বামদলের নেতারা আমাদের নানা আশ্বাস দিয়েছিলেন।

অনেক কিছু পাব। আজ পর্যন্ত ৪ বছর পার হয়ে গেলেও তারা কোনো অনুদান অথবা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেননি। সূত্র :: দৈনিক আমারদেশ, ৭ নভেম্বার'২০১০, Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.