মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান শুভ্রকে গ্রপ্তোরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, আদিলুর রহমান খান শুভ্রকে গ্রপ্তোরের ঘটনায় সরকারের স্বৈরাচারী মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।
হেফাজত অভিযান নিয়ে বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে পুলিশ আদিলকে গ্রপ্তোরের পর বিরোধীদলীয় নেতা এই বিবৃতি দেন।
চারদলীয় জোট সরকার আমলের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদিলকে অবিলম্বে মুক্তি দিতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌছেছে।
এই পরিস্থিতির বিষয়টি নিয়ে যারা সোচ্চার হচ্ছেন, এখন তাদের ওপর সরকারের খড়গ নেমে এসেছে। এই (আদিলকে গ্রপ্তোর) ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন ও উত্কণ্ঠিত।
সরকারের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের অভিযোগ এনে এর সর্বশেষ নজির হিসেবে আদিলকে গ্রপ্তোরের বিষয়টি তুলে ধরেন খালেদা জিয়া।
এই সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে। হত্যা-গুম করে তারা বিরোধী দলকে দাবিয়ে রাখতে চায়।
মানুষের মেৌলিক অধিকার ও স্বাধীনভাবে মত প্রকাশকে সরকার গলা টিপে ধরছে। নির্যাতনের ছোবল থেকে মানবাধিকার কর্মীরাও আজ রক্ষা পাচ্ছে না। "
তিনি বলেন, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির চরম অবনতির অবস্থা যখন দেশে-বিদেশে প্রকাশ পাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে অধিকারের মতো একটি মানবাধিকার সংস্থার সেক্রেটারিকে গ্রপ্তোর করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, সরকার তার নীলনকশা নিয়ে এগুচ্ছে।
হেফাজতবিরোধী মতিঝিল অভিযান নিয়ে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে আদিলকে গতকাল রাতে গ্রপ্তোর করা হয়।
উল্লেখ্য, শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের তুলতে গত ৫ মে রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে অভিযান চালায়, তাতে ৬১ জন নিহত হয় বলে অধিকার এনিয়ে তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে।
মতিঝিলে গণহত্যা চালানো হয়েছিল বলে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতারা দাবি করলেও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই অভিযানে কেউ মারা যাননি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।