পুরাই হতাশ
আমরা যারা পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ি চলেন তারাতারি পাবলিক ছাইড়া প্রাইভেট ভার্সিটিতে গিয়ে ভর্তি হই. তাছাড়াতো আমাদের কোনো উপায়-ই নাই... আমরা কি করব????? আমরা পাবলিক ভার্সিটিতে যারা পড়ি তারাতো জব মার্কেটে প্রাইভেটের বস!!!!!!!!!দের সাথে পারবনা.. আমাদের কি করা উচিৎ???? কষ্ট করে আমাদের সম্মানিত ব্লগার লুদ্ধক সাহেবের পোষ্ট খানি ১টু পরিয়া দেখেন.. সম্মানিত ব্লগার লুদ্ধক সাহেব ssc এবং hsc তে অনেক ভাল ফলাফল করিয়াছিলেন.. স্কুল কলেজে যাহারা উনার পিছনে ছিল তারা সবাই সরকারী মেডিকেল, ভাল ভাল পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ে... কিন্তু উনি কোনো পাবলিক ভার্সিটিতে পরীক্ষা দেন নাই এবং বর্তমানে দেশের সবচাইতে ভাল!!!!!!!???????(পাবলিক এবং প্রাইভেট এর মাঝে) ইউনিভার্সিটিতে পড়িতেছেন....... বাকিটা সম্মানিত ব্লগার লুদ্ধক ভাইয়ের কাছেই শুনি...........
এই অধম গ্রাজুয়েশন করেছে একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে, নাম বললে চিনতে ও পারেন, নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি। আমার সব বন্ধু-বান্ধব পাবলিক মেডিকেল, ভার্সিটির ছাত্র। বন্ধু-বান্ধব সব পাবলিকের স্টুডেন্ট হওয়ায় তাদেরও কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি। সেগুলোই আমি গঠনমূলক ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টাকরব।
১।
ঢাকা ইউনিভার্সিটির কোনো ডিপার্টমেন্টের কথা ই ধরুন, মিনিমাম ১০০ স্টুডেন্ট, কয়েকটা ডিপার্টমেন্টে আমি ক্লাশ ও করেছি, এতো স্টুডেন্টের মাঝে কিছু বোঝা তো দূরে থাক, শোনা ই যায় না ঠিক মতো। অথচ আমি ক্লাশ করেছি আপনাদের ভাষায় মুরগীর খোপে, টোটাল মুরগী ছিলো ৩৫টা, স্যার যা বলেছে শুনেছি, বোঝতে চেষ্টা করেছি...
২। আমাদের এই অধিকার ছিলো, যতোক্ষন না বুঝি, ততোক্ষন প্রশ্ন করার। ক্লাশে যে সব কিছু বোঝা সম্ভব হবে তাও না, প্রয়োজন হতে পারে এক্সট্রা কনসাল্টিং আওয়ার। আমার ঢাকা ইউনিভার্সিটির বন্ধুরাই বলেছে ক্লাসের পর নাকি স্যারেরা কথা ই বলতে চান না, আর অফিসে গেলেও তাদের পাওয়া যায়না।
পাবে কিভাবে, ওদের স্যারেরাই তো ঐ সময়ে আমাদের ভার্সিটি তে অফিস আওয়ারে আমাদের সময় দেন!
৩। বহুত খেটে খুটে প্রজেক্ট করেছি। অথচ বন্ধুদের দেখেছি নীলেক্ষেত গিয়ে খুঁজতে, মামা অমুক কোসের প্রজেক্ট আছে...?
৪। কয়েকদিন আগে গেছিলাম খুলনা ভার্সিটি, একটা কাজে। ঐখানকার বিবিএ স্টুডেন্ট দের সাথে কথা বললাম, মার্কেটিং ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র।
তারা জানেইনা, মার্কেটিং এ স্ট্যাটিসটিকস্ এর ইউজ আছে, মার্কেটিং রিসার্চ এর মতো গুরুত্বপূর্ন কোস নাকি ওদের টীচারের অভাবে করানো ই হয় না। আমি মহা আশ্চর্য হইছি, আপনাদের কেউ থাকলে আপনারাও খবর নিয়া দেখতে পারেন!
৫। Entrepreneurship এর মতো কোর্সে কোনো প্রজেক্টের বদলে করতে দেয়া হয় কেস স্টাডি। এমনকি Strategic management কোর্সেও কোনো প্রজেক্ট নাই, এরা কি শিখবে...?
৬। আপনারা যখন গ্রেডিং নিয়া কথা বলেন, তখন মনের দু:খে ইচ্ছা হয় সব গুলা সার্টিফিকেট স্ক্যান কইরা আপলোড কইরা দেই।
আমার একাডেমিক ক্যারিয়ারে সবচেয়ে খারাপ রেজাল্ট বিবিএ'র- ২.৭৮। আমার আগের রেকর্ড বললে বলবেন চাপা মারি। শুধু এটুকুই জেনে রাখেন স্কুল আর কলেজে যারা সারা জীবন আমার পেছনে ছিলো তাদের অনেকেই এখন পাবলিক মেডিকেল আর ঢাকা ভার্সিটিতে পড়ে, আমার কোনো পাব্লিকে পরীক্ষাই দেয়া হয় নি... যাদের আমার কথাগুলো বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে, কাইন্ডলী মেইল কইরেন...
৭। অনেকে দেখলাম প্রাইভেটের স্টুডেন্টদের কাপড় চোপড় নিয়ে খোঁটা দিচ্ছেন। আপনি আপনার টি-শার্ট আর প্যান্ট টা পড়ে কোনো কর্পোরেট হাউসে যান তো, দেখেন কেমনে খাতির করে! কাপড় চোপড়ের ও দরকার আছে! নো অফেন্স, আমি দেখেছি পাবলিকের অনেকেই ইংলিশ দূরে থাক, বাংলায় ই ঠিক মতো কথা বলতে পারেনা, এই জিনিস টা ও প্রাইভেট শেখায়!
পাব্লিকে সেরা ছাত্ররা ভতি হয় স্বীকার করি, কিন্তু ভার্সিটি তে এসে তারা কতটুকু শিখে আমি এতে সন্দিহান!
এইসব নিয়ে কথা বলা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছিলাম, আজকে প্রায় ৩ বছর পর এই টপিকে কথা বললাম ফ্রী ছিলাম বলে।
যারা নতুন নতুন ভার্সিটিতে ভতি হয়, তাদের জন্য এটা বিশাল বিনোদন। এসবে লাভ নেই , রিয়েল লাইফে আসুন, প্র্যাকটিকাল ফিল্ডে এসে দেখুন কত টুকু শিখে এসেছেন, কোথেকে পাশ করেছেন সেটা কেউ দেখবে না, আপনি কি করতে পারেন সেটাই দেখবে...
কাউকে আঘাত করে থাকলে দু:খিত!
এইবার বলেন আমরা যারা অধম পাবলিক ভার্সিটিতে পড়াশুনা করি তাদের কি করা উচিৎ???????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।