উম্মম্ম
বাজারে থাকা বর্তমান ট্যাবলেট কম্পিউটার
অ্যাপলের আইপ্যাড
অ্যাপলের আইপ্যাড ডিভাইসটি একাই ট্যাবলেট বাজার দখল করতে পেরেছে। আর এটিই অন্যান্য ট্যাবলেট কম্পিউটার প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিবেচনার বিষয়। আইপ্যাডে আইওএসফোর অপারেটিং সিস্টেম এবং ১০ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে আছে। এর ব্যাটারি সব্বোর্চ ১০ ঘন্টা সাপোর্ট দিতে পারে। আর এতে অনেক বেশি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা যায় বলে ডিভাইসটির ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে।
এটিকে সম্পূর্ণ নিখুঁত বলা না গেলেও ডিভাইসটি একটি স্ট্যান্ডার্ড সেট করতে পেরেছে। এই ডিভাইসটির দাম শুরু হয়েছে ৫০০ ডলার থেকে যাতে ১৬ গিগাবাইট পর্যন্ত মেমোরি স্টোরেজ এবং ওয়াইফাই সুবিধা রয়েছে। এর কিছু মডেলে থ্রিজি কানেকশনও রয়েছে।
ফিউশন গ্যারেজ জুজু
যদিও জুজু ট্যাবলেট আইপ্যাডেরও আগে বাজারে এসেছে তবু খুব বেশি পরিচিতি পায়নি ডিভাইসটি। এই ডিভাইসটির জন্য প্রি অর্ডার ছিলো মাত্রই ১০০ জনের আর এই ট্যাবলেটটি বিক্রিও হয়েছে খুবই কম এই ডিভাইসটি ক্লাউড কম্পিউটিং ভিত্তিতে তৈরি যাতে অনলাইন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুবিধা আছে।
এই ডিভাইসটির কেবল একটিই মডেল বাজারে আছে। থ্রিজি সক্ষম এই মডেলটিতে ১২ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন আছে। এই ট্যাবলেটটির দাম ৫০০ ডলার।
আর্কোস
অনেক দিন ধরেই আর্কোস ট্যাবলেটের মতোই মিডিয়া ডিভাইস তৈরি করছে। কিন্তু ট্যাবলেটের জোয়ারে এই কোম্পানিটিও তাদের নাম লিখিয়েছে।
আর্কোস যেসব ট্যাবলেট তৈরি করেছে সেগুলোর টাচস্ক্রিন ৫ থেকে ১০ ইঞ্চির মধ্যে। আর মধ্যে সবচেয়ে বড়টিতে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ২.২ ফ্রয়ো আর এর ফলে এতে ফ্ল্যাশ ১০.১ সাপোর্ট করে। এই ট্যাবলেটগুলোতে সামনের দিকে ক্যামেরা সুবিধা আছে। পাশাপাশি ১ গিগাহার্জের প্রসেসরও ব্যবহার করা হয়েছে।
ডেল স্ট্রেক
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ছোটো ট্যাবলেট হলো ডেল স্ট্রেক।
এই ট্যাবলেটের টাচস্ক্রিন মাত্রই ৫ ইঞ্চির। তাই এটি দেখতে অনেকটা মোবাইল হ্যান্ডসেটের মতোই। আর এই ট্যাবলেট কম্পিউটারে একটি সিম কার্ডের স্লটও আছে। তাই মোবাইলের মতো কলও করা যায় এই ডিভাইসটির মাধ্যমে। এ ডিভাইসটি ১.৬ অপারেটিং সিস্টেমে চলে প্রয়োজনে এটি ২.২ পর্যন্ত আপগ্রেডও করা যায়।
এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১ গিাগহার্জের স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর, ওয়াই-ফাই, ফ্রন্ট ফেসিং ওয়েবক্যাম এবং পিছনের দিকে ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। এটিঅ্যান্ডটির প্যাকেজে এর দাম পড়ে ৩০০ ডলার আর প্যাকেজ ছাড়া ৫০০ ডলার।
হেলরন এক্স-ড্রয়েড ১০
এই কোম্পানিটি অনেকটাই অপরিচিত। কিন্তু ড্রয়েড স্মার্টফোনগুলোর জনপ্রিয়তা দেখেই ট্যাবলেট জগতে তাদের মূলধন খাটিয়েছে কোম্পানিটি। হেলরন এক্স-ড্রয়েড ১০ ট্যাবলেটে ১ গিগাহার্জের প্রসেসর, ৫১২ মেগাবাইটের মেমোরি, ২ গিগাবাইটের স্টোরেজ সুবিধা রয়েছে।
এই ট্যাবলেটটির টাচস্ক্রিন ১০ ইঞ্চির। ওয়াই-ফাই ছাড়াই ৫-৭ ঘন্টার ব্যাটরি ব্যাকআপ এবং ওয়েবক্যাম সুবিধাও আছে। অ্যান্ড্রয়েড ২.১ অপারেটিং সিস্টেমে চলা এই ট্যাবলেটটির দাম ২৪৯ ডলার।
অগেন জেন টাচ ৭৮
অগেন জেন টাচ ৭৮ এর দাম স্রেফ ১৫০ ডলার। আর এটি বিক্রি করছে কে মার্ট।
এই ট্যাবলেটে ২ গিগাবাইট স্টোরেজ সুবিধা, ২৫৬ মেগাবাইট র্যাম আছে। এটি চলে ২.১ অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে। ৭ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন ডিসপ্লেসহ এতে ওয়াই-ফাই সুবিধা আছে।
পান্ডাউইল জিপ্যাড জি ১০
পান্ডাউইল জিপ্যাড জি ১০ ট্যাবলেট কম্পিউটার অনেকটাই অগেন জেন টাচ ৭৮ এর ক্লোন। এটি ক্যামেরা এবং থ্রিজি কানেক্টভিটি সহ বিল্ট ইন।
এই ট্যাবলেটের দাম ১৮৫ ডলার।
কামাঙ্গি ওয়েবস্টেশন
এই ট্যাবলেট কম্পিউটারটিতে আছে ৭ ইঞ্চির ডিসপ্লে। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা এই ট্যাবলেটটির জন্য কোম্পানির নিজস্ব অ্যাপ স্টোর রয়েছে যা অ্যান্ড্রয়েড মার্কেট থেকে আলাদা। এই ডিভাইসটি ওয়াই-ফাই, মেডিওক্রি প্রসেসর , ৪ ঘন্টার ব্যাটারি ব্যাকআপ মাইক্রো এসডি কার্ড স্লট, জিপিএস সুবিধা দেয়। এর দাম ২৭৫ ডলার।
জেনিথিংক জিটি-১৮০ ই প্যাড
জেনিথিংক জিটি-১৮০ ই প্যাড বাজারে আসার সময় বলা হয়েছিলো এটি হবে আইপ্যাড কিলার। কিন্তু আদতে তা ঘটেনি। এই ট্যাবলেটটির বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো এটি প্রসেসর দ্রুতগতির নয় কারণ এটি অ্যান্ড্রয়েড ২.১ অপারেটিং সিস্টেমে চলে। এতে আছে ১০ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন। এই টাচস্ক্রিন রেজিসটিভ।
এতে ২ গিগাবাইট স্টোরেজ ক্ষমতা আছে যা কেবল মাইক্রোএসডি কার্ড ব্যবহারেই বাড়ানো যায়। এই ডিভাইসটির দাম ২৯৯ ডলার।
ফ্ল্যাট কম্পিউটিং ফ্ল্যাটপ্যাড
এই ডিভাইসটি আইপ্যাডের সঙ্গে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার মতো। এতে আছে ১০ ইঞ্চির রেজিসঠিভ টাচস্ক্রিন, ১ গিগাহার্জ ক্ষমতার প্রসেসর, ওয়াই-ফাই। এটি চলে অ্যান্ড্রয়েড ২.২ অপারেটিং সিস্টেমে।
এতে ২৫৬ মেগাবাইট র্যাম, ২ গিগাবাইট স্টোরেজ সুবিধা থাকলেও তা বাড়ানো যায়। এর ব্যাটারি ব্যাকআপ ৫ ঘন্টা। ডিভাইসটির দাম ২২০ ডলার।
ভেলোসিটি মাইক্রো ক্রুজ
ভেলোসিটি মাইক্রো ক্রুজ তৈরি করেছে বর্ডারস বুক স্টোর। এটি মাইক্রো ক্রুজ রিডার ই-বুক রিডারের মতোই।
এতে আছে ৭ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে, ৫১২ মেগাবাইট র্যাম, ওয়াই-ফই এবং অ্যান্ড্রয়েড ২.১ অপারেটিং সিস্টেম। এর দাম ২৯৯ ডলার।
স্ট্রিম টিভি ইলোসিটি এ ৭
এই ডিভাইসটিতে আছে ৭ ইঞ্চির ক্যপাসিটিভ টাচস্ক্রিন ডিসপ্লেএবং এটি চলে অ্যান্ড্রয়েড ২.২ অপারেটিং সিস্টেমে এবং ১ গিগাহার্জ টেগ্রা ২ প্রসেসর। ডিভাইসটির সামনের দিকে আছে ১.৩ মেগাপিক্সেল ওয়েবক্যাম। এই ওয়েবক্যাম ব্যবহারে ওয়েবকল করা যায়।
এর দাম ৩৭০ ডলার।
এক্সোপিসি ট্যাবলেট
অ্যাটম এন৪৫০ প্রসেসর এবং ব্রডকমস ক্রিস্টাল এইচডি কার্ড সুবিধার এই ডিভাইসটির নাম এক্সোপিসি ট্যাবলেট যা হাই ডেফিনিশনের ভিডিও দেখাতে সক্ষম। এটি চলে উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেমে। এতে আছে ১১.৬ ইঞ্চির ডিসপ্লে। নিজস্ব অ্যাপ স্টোরও আছে।
এর ৩২ গিগাবাইট স্টোরেজ সুবিধার মডেলটির দাম ৬০০ ডলার আর ৬৪ গিগাবাইটের মডেলটির দাম ৭০০ ডলার।
ডাবল ভিউ এম১ টাচ
এম ১ টাচ ট্যাবলেটে আছে ১০.১ ইঞ্চির ডিসপ্লে , ১.৬৬ গিগাহার্জের অ্যাটম এন৪৫০ প্রসেসর, ২ জিবি র্যাম, ২৫০ জিবি হার্ড ড্রাইভ ইন্টিগ্রেটেড ওয়েবক্যাম, অ্যক্সেলেরোমিটার, এবং উইন্ডোজ ৭ হোম প্রিমিয়াম। এর ব্যাটারি ব্যাক আপ মাত্রই ৩ ঘন্টার। দাম ৫০০ ডলার।
বাজারে আসছে যেসব ট্যাবলেট কম্পিউটার
স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব
গুগল অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমভিত্তিক ডিভাইস স্যামসাং গ্যালাক্সিট্যাব।
যুক্তরাষ্ট্রের এটিঅ্যান্ডটি, ভেরিজন ওয়্যারলেস, স্প্রিন্ট নেক্সটেল এবং টি-মোবাইল এই চারটি ক্যারিয়ারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গ্যালাক্সিট্যাব বাজারজাত করছে স্যামসাং। এই ডিভাইসটির জন্য বিশেষভাবে ভায়াকম এর এমটিভি নেটওয়ার্ক, প্যারামাউন্ট পিকচার্স, এনবিসি ইন্টারন্যাশনাল-এর সঙ্গেও চুক্তি স্বাক্ষর করেছে স্যামসাং। এতে করে ডিভাইসটিতে টিভি অনুষ্ঠান, চলমান ধারাবাহিকের পর্ব এবং নতুন বা পুরনো মুভি কিনে দেখা যাবে। আইপ্যাডের সমালোচিত অন্যতম একটি দিক হলো ক্যামেরা না থাকা। স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাই ঘটা করে জানিয়েছে, এই ডিভাইসটির রয়েছে ২টি ক্যামেরা।
সামনে ও পেছনের এই দু’টি ক্যামেরা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের কাজেও ব্যবহার করা যাবে বলে জানা গেছে। অ্যাপ্লিকেশনের জন্য গুগল অ্যান্ড্রয়েড মার্কেটে রয়েছে প্রায় ৮০ হাজার অ্যাপ্লিকেশন যা থেকে ব্যবহারকারী পছন্দমতো বেছে নিতে পারবেন তাদের পছন্দের বা কাজের অ্যাপ্লিকেশনটি।
ব্ল্যাক প্যাড
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ বাজারে এসেছে রিসার্চ ইন মোশন (রিম) এর ট্যাবলেট কমপিউটার ‘ব্ল্যাকপ্যাড’। সম্প্রতি সান ফ্রান্সিসকোর একটি অনুষ্ঠানে ব্ল্যাকপ্যাড বাজারে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ডিভাইসটিতে আছে ৭ ইঞ্চির টাচ স্ক্রিন ডিসপ্লে।
সঙ্গে আছে দুটি বিল্টইন ক্যামেরা। তবে ব্ল্যাকবেরি ৬ অপারেটিং সিস্টেম নামে পরিচিত ব্ল্যাকবেরির নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম এ ট্যাবলেট কমপিউটারে ব্যবহার করা হবে না। এতে কিউএনএক্স সফটওয়্যার সিস্টেম নির্মিত নতুন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
তোশিবা ফোলিও ১০০
এ বছরের শেষ দিকে তোশিবা দুইটি মডেলের ট্যাবলেট বাজারে আনতে পারে। এর মধ্যে একটি হবে ডুয়াল ১০ ইঞ্চি টাচস্ক্রিনের যা চলবে উইন্ডোজ ৭ এ।
আরেকটি হলো ফোলিও ১০০ যা চলবে অ্যান্ড্রয়েড ২.২ অপারেটিং সিস্টেমে আর দাম পড়বে ৬১৫ ডলার। অবশ্য দুই মডেলের কম্পিউটারে টেগ্রা ২ প্রসেসর ব্যবহার করা হচ্ছে। ফোলিও ১০০ এ থাকছে ১০ ইঞ্চির ক্যাপাসটিভ টাচস্ক্রিন। ১ গিাগবাইট স্টোরেজ সুবিধা। ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ এবং এসডি, এইচডি কার্ড সুবিধা।
এটি ৭ ঘন্টার ব্যটারি ব্যাকআপ দিতে পারবে।
ভিউসনিক ভিউপ্যাড ১০০
দুইটি অপারেটিং সুবিধা কেবল তোশিবা আনছে তা নয়। ভিউসনিকও ডুয়াল বুট অ্যান্ড্রয়েড এবং উইন্ড্রোজ ৭ হোম প্রিমিয়াম ব্যবহার করছে তাদের ভিউপ্যাড ১০০ এ। তবে ভিউসনিক অ্যন্ড্রয়েডের পুরোনো ভার্সন ১.৬ ব্যবহার করবে বলে জানা গেছে। এটি চলবে ইনটেল অ্যাটম এন৪৫৫ ১.৬৬ গিগাহার্জ প্রসেসরে।
এতে ১ জিবি র্যম, ১৬ জিবির স্টোরেজ সুবিধা থাকছে। এই ডিভাইসটির দাম হবে ৬০০ ডলার।
ভিউসনিক ভিউপ্যাড ৭
ভিউসনিকের এই ট্যাবলেটটি কেবল ভিউপ্যাড ১০০ এর চেয়ে ছোটোই নয় এর শক্তিও কম। এতে ৬০০ মেগাহার্জের প্রসেসর ব্যবহার করা হবে। এর টাচস্ক্রিন ক্যপাসিটিভ ডিসপ্লে হবে ৭ ইঞ্চির।
থ্রিজি সংযোগ, ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাইসহ এটি চলবে ২.২ অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে।
ক্নো
এই ট্যাবলেটটিই এই তালিকায় সবচেয়ে বড়ো। ডিভাইসটিতে আছে ২ টি ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন এবং প্রত্যেকটি ১৪ ইঞ্চি আকারের। এতে এনভিডিয়া টেগ্রা ২ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে এবং ১৬ গিাবাইট স্টোরেজ সুবিধা আছে। এর দাম হতে পারে ১ হাজার ডলার।
নোশন ইঙ্ক অ্যাডাম
এই ট্যাবলেটটিকে বলা হচ্ছে অনেক সম্ভাবনাময়। এতে ১০ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন থাকছে যা নিয়মিত স্ক্রিন হিসেবে ব্যবহার করার পাশাপাশি ই-ই্কং স্ক্রিন আকারেও ব্যবহার করা যাবে এবং ই বুক পড়া যাবে। এতে ব্যবহার করা হবে এনভিডিয়া টেগ্রা ২ প্রসেসর, থ্রিজি সংযোগ, ফ্ল্যাশ এবং হাই ডেফিনিশন ভিডিও সুবিধা। এর দাম হবে ৪৯৮ ডলার।
হ্যানসপ্রি ট্যাবলেট
এই ট্যাবলেটটি নোশন ইঙ্ক অ্যাডাম এর মতোই।
তবে এর স্ক্রিন আকারে ছোটো। এতে থাকছে ১৬ গিগাবাইট স্টোরেজ সুবিধা। এর দাম ৫০০ ডলার।
ডেল লুকিং গ্লাস
ডেলের লুকিং গ্লাস অনেকটাই ডেল স্ট্রেক এর মতো। এর স্ক্রিন হবে ৭ ইঞ্চির।
টেগ্রা ২ প্রসেসরে চলা এই ডিভাইসটি অপারেটিং সিস্টেম অ্যন্ড্রয়েড ২.১। ডিভাইসটিতে আছে টিভি টিউনার এবং ৪ জিবির র্যাম। এর একটি ১০ ইঞ্চির সংস্করণও বের করবে ডেল।
নিয়োফোনি উই ট্যাব
এটিকে উই ট্যাব বলা হলেও এটি উইপ্যাড নামেই পরিচিত। ডিভাইসটিতে ১.৬৬ গিগাহার্জ ইনটেল অ্যাটম এ৪৫০ প্রসেসর, জিএমএ ৩১৫০ গ্রাফিক্স, ওয়েবক্যাম, ৩২ গিগাবাইট স্টোরেজ, ওয়াই-ফাই, থ্রিজি এবং ৬ ঘন্টার ব্যাটারি ব্যাক আপ সুবিধা আছে।
এটি যৌথভাবে মিগো অপারেটিং সিস্টেমেও চলে। এর দাম ৫৭০ ডলার।
আসুস ট্রিপল ই প্যাড
আসুস দুটি ট্যাবলেট তৈরি করছে। এই ট্যাবলেটগুলোর নাম হবে আসুস ট্রিপল ই প্যাড। ১২ ইঞ্চির এই ডিভাইসগুলো উইন্ডোজ ৭ এ চলবে আর দাম হবে ১ হাজার ডলার।
তবে ১০ ইঞ্চির অ্যান্ড্রয়েডে চলা সংস্করণটির দাম হবে ৪০০ ডলার।
রাইডিন জি প্যাড
রাইডিন মোবাইল তৈরি করছে এই ৭ ইঞ্চির অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটটি। জি প্যাড জিসিওএম ৭০১ নামের এই ডিভাইসটিতে থাকছে ৮০০ মেগাহার্জের প্রসেসর, ২৫৬ মেগাবাইট র্যাম এবং রেজিসটিভ টাচস্ক্রিন।
কিসকো সিআস
কিসকো সিআস হবে ৭ ইঞ্চির ডিসপ্লে, ওয়াই-ফাই, থ্রিজি এবং ৭২০ পিক্সেল সুবিধার ট্যাবলেট। ৮ ঘন্টা ব্যাটারি সুবিধার এই ডিভাইসটি ব্যবসা কাজে ব্যবহারের জন্য ভিডিও কনফারেন্সিং ফিচার থাকবে।
হানভন টাচপ্যাড
হানভন টাচপ্যাড বি ১০ এ ব্যবহার করা হবে ১.৩ গিগাহার্জ সেলেরন প্রসেসর এবং এতে কেবল সাড়ে তিন ঘন্টার ব্যাটারি ব্যাকআপ থাকবে। উইন্ডোজ ৭ এ চলা এই ডিভাইসটি ১০ ইঞ্চির মাল্টিটাচ ডিসপ্লে।
সম্ভাবনাময় ট্যাবলেট
যেসব ট্যাবলেটের আসার কথা তার মধ্যে আছে এলজি ইউএক্স ১০, লেনোভো লি প্যাড, সনি ট্যাব, বেস্ট বাই রকেটফিশ,এমএসআই উইন্ড প্যাড ১০০, এমএসআই অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট, এইচপি ওয়েব ওএস ট্যাবলেট, এইচপি জিন সি৫১০, এইচপি ট্যাবলেট, ভেরিজন/গুগল ট্যাবলেট, ভেরিজন/ মোটোরোলা ট্যাবলেট। এছাড়াও নকিয়া ট্যাবলেট, গুগল ট্যাবলেট, অগেন ট্যাবলেট, ভিলভিক্স এক্স ১০, আইসিডি জিমিনি, ওপেনপিক ওপেন ট্যাবলেট ৭ এর নামও শোনা গেছে।
বন্ধ ঘোষণা করে দেওয়া ট্যাবলেট কম্পিউটার প্রকল্প
আসার কথা ছিলো কিন্তু চিরতরে আলোর মুখ দেখবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছে এমন কিছু ট্যাবলেটও আছে।
এই তালিকায় আছে মাইক্রোসফট কুরিয়ার, এইচটিসি ট্যাবলেট, এসার ট্যাবলেট, লেনোভো আইডিয়াপ্যাড আই ১ হাইব্রিড।
মাইক্রোসফট কুরিয়ার
এটি বর্তমানের সম্ভাবনাময় একটি ট্যাবলেট হবার কথা ছিলো। এতে ডুয়াল ফোল্ডিং স্ক্রিন ব্যবহার করার কথাও জানানো হয়েছিলো। আর এর ইন্টারফেস বিষয়ে জানানো হয়েছিলো এটি হবে সম্পূর্ণ নতুন এবং উদ্ভাবনী কিছু। তবে দূঃখজনক হলেও সত্যি মাইক্রোসফট ঘোষণা দিয়েছে তারা আর মাইক্রোসফট কুরিয়ার ট্যাবলেট তৈরি করবে না।
তাই আলোর মুখ আর দেখছে না মাইক্রোসফট কুরিয়ার।
এইচটিসি ট্যাবলেট
এইচটিসির স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তা দেখে কোম্পানিটি ট্যাবলেট ক্ষেত্রে কাজ করার কথা জানিয়েছিলো। কিন্তু পরে আবার কোম্পানিটি নিশ্চিত করেই জানিয়ে দেয় তাদের এই ট্যাবলেট বাজারে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ তারা ট্যাবলেটের বদলে স্মার্ট ফোনই বানাবে।
এসার ট্যাবলেট
এসার ট্যাবলেট আনার ঘোষণা দিলেও তাদের নেটবুক এবং ল্যাপটপ ব্যবসায় গুছিয়ে উঠতে না পারায় ট্যাবলেট জগতে আসার পরিকল্পনা বাদ দিয়েছে।
লেনোভো আইডিয়াপ্যাড ইউ ১ হাইব্রিড
আইডিয়াপ্যাড ইউ ১ হাইব্রিড দেখতে অনেকটাই নেটবুকের মতো। কিন্তু এক্ষেত্রে কি বোর্ডের সঙ্গে স্ক্রিনের কোনো সম্পর্ক নেই। আলাদা কিবোর্ড এবং স্ক্রিন আলাদা ট্যাবলেট তৈরি করতে সক্ষম হবে এমন কথা জানিয়েছিলো লেনোভো। কিন্তু তারা জানিয়ে দিয়েছে এই ডিভাইসটি তারা আর বানাবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।